ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিচার, পর্ব-৫

‘মানহানি’তে হাতিয়ার এখন সাইবার আইন



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছর আগেও মানহানির অপরাধের প্রতিকার ফৌজদারি দণ্ডবিধি নির্ভরই ছিল। সেই নির্ভরতা আর নেই বললেই চলে; সংক্ষুব্ধদের বেশিরভাগ এখন সমাধান খুঁজছেন ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। কারণ, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনে (পেনাল কোড) মানহানি জামিনযোগ্য ও প্রতিকার সময়সাপেক্ষ। যেখানে ডিজিটাল আইনে মামলার পরপরই বিবাদীকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। ফলে মানহানির মামলায় দণ্ডবিধির বিকল্প হয়ে ওঠেছে নতুন এই আইন। এর আগে ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর দণ্ডবিধির পরিবর্তে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মানহানির এসব মামলা হতো।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাজা ও জরিমানা বেশি হওয়ায় গত পাঁচ বছরে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সংবাদপত্রের সম্পাদক, প্রকাশক, প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১০২টি। এ সময়ে ৩৩টি মামলা হয়েছে দণ্ডবিধিতে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অধিকারের তথ্য অনুসারে, এ পাঁচ বছরে মামলা হয়েছে ১৩৫টি। এর মধ্যে চলতি বছরে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১২টি, ২০১৮ সালে ১৫টি, ২০১৭ সালে ৭টি , ২০১৬ সালে ৩১ টি, ২০১৫ সালে ১৮টি ও ২০১৪ সালে ৩৩টি মামলা হয়েছে।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের দুই মাসে মানহানির ৮৩ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১২টি মামলা হয়েছে। গত বছর ২২ অক্টোবর ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় ২২টি মামলা হয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর মানহানির মামলায় দ্বিতীয় দফায় এ সম্পাদককে কারাগারে পাঠান আদালত। অবশ্য একই আদালত তিনদিন পর তার জামিন মঞ্জুর করলে কারামুক্ত হন তিনি।

আইসিটি আইনের ১০২ মামলার সবকটিই বিতর্কিত ৫৭ ধারায় করা। সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ আর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মামলার পর ৫৭ ধারার ‘অপব্যবহার ও হয়রানির’ বিষয়টি দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। ডিজিটাল আইন কার্যকর হওয়ার পর ২৪, ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারা প্রয়োগ হচ্ছে মানহানির মামলায়।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সাইবার আইনে মামলার পর চটজলদি বিবাদীকে গ্রেফতার এবং কারারুদ্ধ করার অবারিত সুযোগ থাকায় এ ধারাগুলোতে মামলা করতে উৎসাহী হচ্ছে বাদীপক্ষ। আইনজীবীরাও বাদীর ক্ষোভকে কাজ লাগিয়ে ‘শর্টকাট’ প্রতিকার পাইয়ে দিতে ৫৭ ধারার পর ২৮, ২৯ ধারায় মামলা রুজুতে উদ্ধুদ্ধ করছেন।

দেশে মানহানি দেওয়ানি ও ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি ব্যবস্থায় দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারায় মানহানির মামলার প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি ব্যবস্থায় মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া যায়। ফৌজদারিতে মানহানি লঘু একটি অপরাধ। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। ফৌজদারি কার্যবিধির ২ নম্বর তফসিল অনুসারে এটি জামিনযোগ্য, আমলঅযোগ্য এবং আপোষযোগ্য অপরাধ। তবে নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা নিষ্পত্তির নজির খুবই কম।

বর্তমানে দেশের শতভাগ গণমাধ্যমেরই ডিজিটাল মাধ্যমে আছে। ছাপা সংবাদপত্রের রয়েছে অনলাইন ও ই-পেপার। প্রায় সব টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সন রয়েছে। আর অনলাইন নিউজ পোর্টাল তো আছেই। ডিজিটাল মাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ নিয়ে করা মানহানি মামলা ৫৭ ধারার আওতায় পড়ে। এ ধারাটি অজামিনযোগ্য এবং আমলযোগ্য। সাজা অনধিক ১৪ বছরের এবং অন্যূন ৭ বছরের। অর্থদণ্ড রয়েছে ১ কোটি টাকার। এ ধারায় মামলা করার পরপরই আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিবাদীকে গ্রেফতার করার নজির ভুরি ভুরি। আর এ কারণেই ৫৭ ধারায় মামলার হিড়িক পড়েছিল।

৫৭ ধারা বিলুপ্তির পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানি মামলা হচ্ছে। মামলায় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ২৮ ধারাও। ২৮ ধারায় ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাতের সাজা পাঁচ বছর ও অর্থদণ্ড ১০ লাখ টাকা। ২৯ ধারায় মানহানির তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের সাজা তিন বছর ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মো. মাসুদ আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪, ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় দৈনিক ‘সময়ের আলো’ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মফস্বল সম্পাদক, সময়ের আলোর শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হৃদয় দেবনাথ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি রিপন দে’সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে ‘কোটিপতি শ্রমিকের আলীশান বাড়ী’ শিরোনামে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন হৃদয় দেবনাথ। পরে গত ১১ জুন দৈনিকে সময়ের আলো পত্রিকায় ‘পেশায় দিনমজুর সম্পদ কোটি টাকার’ এবং জাগোনিউজে ১০ জুন ‘পত্রিকার হকার থেকে কোটিপতি, বানালেন রাজকীয় বাড়ি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।

সাংবাদিক ও কলাম লেখক আফসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন ৫৭ ধারায় মামলা হয়। একই বছরের ১২ জুন হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়ে কারারুদ্ধ হওয়া এড়াতে সক্ষম হন তিনি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা এ মামলায় ফেইসবুকে অসত্য বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করা হয়। ঢাকার তেজগাঁও লিংক রোডের পিকাসো রেস্টুরেন্টের অন্যতম মালিক বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি সাদমান সাকিফের বাবা মোহাম্মদ হোসেন জনি। আফসান চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাদমান সাকিফের বাবা হিসেবে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী উল্লেখ করায় মামলাটি করা হয়।

২০১৭ সালের ৬ জুলাই আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দৈনিক সকালের খবরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পিরোজপুরের রুস্তম আলী ফরাজী কলেজের প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলীকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে মঠবাড়িয়া থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পাঁচদিন পর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন আজমল হক হেলাল।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট ফরিদপুরের সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে আইসিটি আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল উত্তরাধিকার ৭১ এর সম্পাদক। সমালোচনার মুখে ২০ আগস্ট জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আইনগত প্রতিকারের আরো উপায় থাকা সত্বেও সবাই ডিজিটাল আইনে ঝুঁকছেন। এর কারণ যার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তাকে হয়রানি করা। মানহানির মামলার কারণে সব ধরনের মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় যে মামলাগুলো করা হয়েছিল সবকটিই ছিল হয়রানির জন্য করা। ৫৭ ধারা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮, ২৯ ও ৩২ ধারার উৎপত্তি। এই তিনটি ধারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক। মানহানির মামলা যদি করতে হয় তাহলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিধান রয়েছে। তা না করে ৫৭ ধারায় এবং ডিজিটাল আইনে করা মামলার উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

   

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;