ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিচার, পর্ব-৪

হয়নি আপিল ট্রাইব্যুনাল, ভরসা হাইকোর্ট



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৬ সালের আইনেই সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালের বিধান ছিল। এরপর ২০১৮ সালের ডিজিটাল আইনেও সে বিধান রাখা হয়। মাঝে ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনাল যাত্রা শুরুর এক বছরের মধ্যে একাধিক রায়ও হয়েছে।  তবে হয়নি সেই আপিল ট্রাইব্যুনাল। ফলে সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় বা আদেশে কেউ সংক্ষুব্ধ হলেও তার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারছেন না।

যেখানে এ ধরণের অন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনাল আছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলায় আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় ভরসা করতে হয় শুধু হাইকোর্টকে। সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। কারণ ফৌজদারি অপরাধের এখতিয়ারবান হাইকোর্টের বেঞ্চ সাইবার মামলার বিষয়ে শুনতে চান না।

২০১৭ সালের ফরিদপুরের একটি মামলায় পুলিশের দেওয়া ফাইনাল রিপোর্ট (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) নিয়ে বাদী পক্ষ সংক্ষুব্ধ। তাদের নারাজি আবেদন খারিজ হয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনালে। আপিল ট্রাইব্যুনাল না থাকায় ন্যায়বিচার পেতে একমাত্র হাইকোর্টে যাওয়ার পথই তাদের জন্য খোলা ছিল। পরে তারা হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন।

একইভাবে ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তি, রায়ে সাজা বা জরিমানা বৃদ্ধি করতে এবং খালাসের বিরুদ্ধে বাদী-বিবাদী পক্ষের আপিল বা রিভিশনের সুযোগ না থাকায় দারুন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের মতো অনেককেই। আইসিটি আইনে ৭৫২ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, ১৫টি মামলায় রায়ে সাজা হয়েছে ১৯ জনের। ৯১ মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এসবের বিরুদ্ধে একমাত্র হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ ছিল উভয়পক্ষের। যেখানে আপিল ট্রাইব্যুনাল থাকলে হাইকোর্টে যেতে হতো না কাউকেই।

আইনে সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালের বিধান থাকার পরেও তা গঠন না করায় বিষয়টিকে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না করা আইনের বরখেলাপ। আইনের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য আইন এ বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: সাত বছরে ২৬৫১ মামলা সাজা ১৫টিতে

পুলিশের ফাইনাল রিপোর্টেই শেষ ৩৩৪ মামলা

আইসিটি আইনের তৃতীয় অংশে সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, ইত্যাদি অংশের উল্লেখ রয়েছে। ৮২ (১) উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার  প্রজ্ঞাপন দ্বারা এক বা একাধিক সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। দফা (২) বলা হয়েছে আপিল ট্রাইবুনালে সরকার নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হবে। (৩) দফায় বলা হয়েছে আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এমন একজন ব্যক্তি হবেন যিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন, বা বিচারক নিযুক্তের যোগ্য এবং সদস্য হবেন যিনি বিচার কর্মবিভাগের কর্মকর্তা অথবা অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বা অন্যজন হবেন আইসিটি বিষয়ে নির্ধারিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। তাদের মেয়াদ হবে অন্যূন তিন বছর এবং অনুর্ধ্ব পাঁচ বছর।

এখতিয়ার ও পদ্ধতি রয়েছে ৮৩ ধারায়। এ ধারার (১) দফায় বলা হয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল এবং ক্ষেত্রমতে দায়রা আদালতের রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শোনা ও নিষ্পত্তির এখতিয়ার ট্রাইব্যুনালের থাকবে। আপিল শোনা এবং নিষ্পত্তিতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করবে আপিল ট্রাইব্যুনাল। বিধি না থাকলে হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য যে পদ্ধতি অনুসৃত হয়ে থাকে তা অনুসরিত হবে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় বা আদেশ বহাল, বাতিল, পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা থাকবে আপিল ট্রাইব্যুনালের।

আরও পড়ুন: একমাত্র ট্রাইব্যুনালে সারা দেশের চাপ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, আইসিটি আইন ও ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হয়ে আসছে। এ জন্য বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমাতে আইনের বিধান অনুসরণ করে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত। তাহলে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে সেখানে ন্যায়বিচারের আশায় যেতে পারবেন।

সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালের অনুপস্থিতিতে হাইকোর্টে আপিল করতে হচ্ছে সংক্ষুব্ধদের। আইনের ৮৪ ধারায় বলা হয়েছে ‘এই অংশের অধীন কোন সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হলে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, দায়রা আদালত বা ক্ষেত্রমত, সাইবার ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হাইকোর্ট বিভাগে করতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল বা রিভিশনের তিনটি বেঞ্চ রয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে বেঞ্চের পক্ষ থেকে শুনানি গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করা হয়েছে শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমের সক্ষমতা না থাকায়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় বা আদেশে বিরুদ্ধে আপিল বা দরখাস্তের শুনানি গ্রহণ করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেছেন, সাইবার ট্র্ইাব্যুনাল যে আইনে কাজ করছে সে আইনেই আপিল ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। একটি গঠন করা হলেও অপরটি করা হয়নি। অথচ আপিল ট্রাইব্যুনাল না থাকা নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, কেউ ট্রাইব্যুনালের আদেশ বা রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে তারা যাবেন কোথায়? উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অনেক বেঞ্চ এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নয় বলে আগ্রহী হন না। অনেক আগেই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত ছিল। এটা না করা প্রতারণার শামিল।

   

হাইকোর্টের রায় প্রকাশ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৬ বছর আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ৫২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

এর আগে, বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের অনুলিপিতে স্বাক্ষর করেন। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন— বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

রিটটি খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি একমত পোষণ করেছেন। তবে, রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দারের লেখা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত শুধু মৌলিক নীতিগুলো অন্য কোনও বিধানের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধানে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম মর্যাদা’ প্রদান করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ২(ক) অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পড়তে হবে এবং পড়লে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ধারণার সন্নিবেশ কোনোভাবেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করে না এবং সংবিধানে বাহুল্যও সৃষ্টি করে না।

রায়ে বলা হয়েছে, তর্কিত সংশোধনী সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রভাবিত করে না। অতএব, আমরা মনে করি যে, তর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২(ক) সন্নিবেশ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানবিরোধী নয়। বিষয়টিকে সহজ করার প্রয়াস হিসেবে, উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক আমরা আমাদের রায়ে আলোচনা করেছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২(ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, লেখক বদরুদ্দীন উমর, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

;

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;