তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২১ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পলাতক আসামি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ মে) আদালতে সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন, দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর পলাতক তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত গ্রেপ্তার পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন।

একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

   

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এবিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন– বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায়। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন।

আরও বলা হয়েছে, শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।

সংবিধানে ৯৫ এর ১ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিন বিচারকের নিয়োগে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারা তিনজনই হাইকোর্টের বিচারপতি। বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজন।

;

আপিল বিভাগে নিয়োগ পাচ্ছেন তিন বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন– বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বাংলাদেশের সংবিধানে ৯৫ এর ১ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিন বিচারকের নিয়োগে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারা তিনজনই হাইকোর্টের বিচারপতি। বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজনে।

;

এসকে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলায় প্রতিবেদন ২৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেওয়া এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ২৬ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় মামলা করা হয়। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

;

২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা

সাইমেক্স লেদারের এমডি ও তার স্ত্রী কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া এলসি খোলার মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। সিএমএম আদালতের ওই জামিন আদেশ বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

রিভিশন মামলার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আসামিরা মহাগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকা ব্যাংকের ধানমণ্ডি মডেল শাখায় একটি হিসাব খুলে ৩ জন বিদেশি বায়ারের নামে ১৯টি এলসি দাখিল করেন।

২০১৭ সালের ৫ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আসামিরা অপর আসামিদের যোসাজসে ভুয়া বিল অব এক্সপোর্ট, বিল অব লেডিংসহ পণ্য শিপমেন্ট রেকর্ডপত্র তৈরি করে ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৫ ডলারের ২৬টি এক্সপোর্ট বিল ব্যাংকটিতে দাখিল করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা সঠিকভাবে যাচাই না করেই ১৭টি বিল ক্রয়ের অনুমতি দিয়ে টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমানের হিসাবে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১শ ২৬ টাকা ট্রান্সফার করেন।

ওই ১৭টি বিলের মধ্যে ৪টি বাবদ ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার ৭শ ৮ টাকা ৫০ পয়সা ব্যাংকে জমা হলেও ১৪টি বিলের ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪শ ১৭ টাকা ৫০ পয়সা আসামিরা পরষ্পর যোগসাজসে আত্মসাৎ করেন।

২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।

;