নারী সংবাদকর্মীর চরিত্রহনন করে ইমেইল, যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক নারী সংবাদকর্মীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক কথা তুলে ধরে সম্মানহানির অপরাধে মির্জা শামীম হাসান (৩১) নামের এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

মির্জা শামীম হাসান বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জোরগাছা গ্রামের মির্জা সেলিম রেজার ছেলে।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ভুক্তভোগী নারী জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বগুড়া অফিসের ‘অফিস এক্সিকিউটিভ’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালের ২০ জুন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক কথা তুলে ধরে চরিত্রহনন করে ইমেইল বার্তা পাঠান ওই অফিস প্রধানের কাছে। একই মেইল তিনি বগুড়ার অন্যান্য সাংবাদিকদের ইমেইলেও পাঠান। এ ঘটনায় তার সম্মানহানি হয়।

পরে তিনি এ ঘটনায় অজ্ঞতনামা আসামি করে সংশ্লিষ্ট ইমেইলটি যুক্ত করে বগুড়া সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনার মূল অপরাধী হিসেবে মির্জা শামীম হাসান হাসানকে শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলে শুনানি শেষে আদালত আজকে রায় ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৯(২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। আসামির মূল হাজতবাস কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় মেয়র তাপসকে আদালতে তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল এ মামলা দায়ের করেন। অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি সমর্থিত এডহক কমিটির আহ্বায়ক।

এর আগে, গত ২৪ মে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম।

ওইদিন ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ আপিল বিভাগে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো। গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।’

আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল বলেন, আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।

;

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত, দিতে হবে ১২ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ২০১১ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত এ তিন বছরের জন্য কর ফাঁকি বাবদ দিতে হবে ১২ কোটি টাকা।

বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। করফাঁকি নিয়ে এটিই তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রথম রায়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রায় শেষে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতেই ট্রাস্ট করেছেন ড. ইউনূস। মৃত্যুভীতি থেকে টাকা দেয়াটা তার একটি কৌশল। 

ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০১২-১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

;

শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।

ড. ইউনূসের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।

পরে অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল।

তিনি আরও বলেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।

শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।

শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।

;

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে নারীর যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে লিপি বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোস্তফা শাহরিয়ার খান এই রায় দেন।

দণ্ডিত লিপি আক্তার মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলী এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস আকবর খান জানান, ২০২২ সালের ৬ মার্চ টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আহসান হাবীব ১০০ গ্রাম হেরোইন ও হেরোইন বিক্রির দুই লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ লিপি আক্তারকে (৩৬) গ্রেফতার করেন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক তাকে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে লিপি আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

তিনি জানান, মামলা চলাকালে লিপি আক্তার কারাগার থেকে একাধিকবার জামিন আবেদন করলেও প্রতিবারই আদালত না মঞ্জুর করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা সাধারণত এত অল্প সময়ে শেষ হয় না। আদালতের সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা থাকায় মাত্র এক বছরের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।

;