তদন্তে গাফিলতি, দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী পুঠিয়ার একটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজে গাফিলতির দায়ে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।

দুই পুলিশ সদস্য হলেন, জাহাঙ্গীর আলম এবং সোহেল রানা।

জাহাঙ্গীর আলম মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। রাজশাহীর পুঠিয়া থানা থেকে তিনি তানোর থানায় বদলি হয়ে যাওয়ার পরে মামলার তদন্তভার পড়ে এসআই সোহেল রানার ওপর। তিনি পুঠিয়া থানাতেই আছেন। এ ঘটনায় সোহেল রানাকে বাদ দিয়ে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তা আদালতকে অবহিত করার জন্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর ধর্ষণের শিকার হন ৬ বছরের এক শিশু। ওই শিশুর চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ। এ ঘটনায় গত বছরের ১ নভেম্বর ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপরই অভিযুক্ত শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে আদালত তাকে যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠান। ওই শিশু এখন সেখানেই আছে। মঙ্গলবার এই শিশুর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে মামলা হওয়ার পরে ৮৯ কার্যদিবস অতিবাহিত হলেও দুই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। আদালত বলেছেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলা। মামলার পর চার মাস ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগীর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি মেডিকেল সার্টিফিকেটও নেওয়া হয়নি।

মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা আদালতে হাজির হয়ে বলেন, গতকাল (সোমবার) ভিকটিমের জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। এখনও মেডিকেল সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় শিশু হাতেনাতে ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবস এবং হাতেনাতে ধরা না পড়লে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে আইনে। কিন্তু এই মামলার পর ৮৯ কার্যদিবস অতিবাহিত হলেও আদালতে পুলিশ রিপোর্ট আসেনি।

আদেশে আদালত বলেন, কেন পুলিশ রিপোর্ট আসেনি সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করা হয়নি। ফলে মামলার বিচারকার্যে অযথা বিলম্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য ও আলামত ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা মূল মামলায় বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালকে সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে। দুইজন তদন্ত কর্মকর্তা ৮৯ কার্যদিবসেও মামলার উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেননি মর্মে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিচারকার্যে বিঘ্ন সৃষ্টির সামিল।

তাই আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা দায়ী বলে আদালত মনে করে। এটি তাদের অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলে বিবেচিত। তাই মামলা তদন্তে অযথা বিলম্ব, মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ না করা, আলামত জব্দ না করা এবং তদন্তের অন্যান্য আবশ্যকীয় কাজ করে পুলিশ রিপোর্ট যথা সময়ে আদালতে উপস্থাপন না করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আর বিষয়টি তদারকি করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার আমলী আদালতকে।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ার পরে দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। প্রথমজনের তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই করতে সময় লাগে। সে কারণে হয়তো পুলিশ রিপোর্ট দেওয়া যায়নি। আর তদন্ত রিপোর্ট না পেয়ে আদালতের দেওয়া আদেশের বিষয়টি আমি এখনও জানি না।

   

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম (৬০) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা প্রথম আদালতের বিচারক জজ মো.ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল ওরফে কালু একই উপজেলার নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে। পাশাপাশি রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার এক বছর আগে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম। সন্তানরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় তিনি ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার নিজ বাসায় একা থাকতেন। তার ভাই মামলার বাদী আব্দুল কাদির ও আব্দুল খালিক বোনের দেখাশোনা করতেন। ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা বলেন তার ভাই আব্দুল কাদির। এরপর ফোন বন্ধ পেয়ে ৩০ জুলাই বাদীর ছোট ভাই আব্দুল খালিক তার ছেলে আব্দুস সামাদকে পাঠালে ঘরের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ দেখে বাড়িতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে ফের রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলেও কোনো সাড়া শব্দ মেলেনি। ঘটনাটি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ছেলেমেয়েদের জানানোর হয়। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার ভেতরে ডাইনিং রুমের বাথরুমে গলাকাটা ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, ওই বছরের ২৮ জুলাই থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৩০ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ওসমানীনগরের ছোট বিরাই গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে এক আগস্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকালে পুলিশ নিহতের পার্শ্ববর্তী বাসার জলিল ওরফে কালু মিয়াকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করে। পরে স্বেচ্ছায় তিনি আদালতে হত্যায় নিজেকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেয়। তার দেখানো মতে, বসতঘর থেকে হত্যার আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জলিল ওরফে কালুকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।

মামলাটি এই আদালতে বিচারের জন্য ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আসামির নামে বিচারক কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ২১ সাক্ষীর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

;

যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুন, যুবকের ৬ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুনের ঘটনায় কর্মচারীকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

দণ্ডিত মো. ইউনুছ (৩৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম সরফভাটা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুন নগরীর চান্দগাঁও বহদ্দারহাট এলাকায় হক মার্কেটে নিজের সেলাই মেশিন ওয়ার্কশপে খুন হন কামাল উদ্দিন। পরদিন সকালে কামালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাদেক চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ইউনুছকে গ্রেফতার করে। ইউনুছ খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ইউনুছ জানান, মালিক কামাল তাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। ১২ জুন রাতে কামাল তাকে ওয়ার্কশপে নিয়ে তিনবার যৌন নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইউনুছ কামালকে ধাক্কা দেন। কামাল আবার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার গায়ে সেলাই মেশিন ছুড়ে মারেন। কিন্তু সেটা ইউনুছের শরীরে লাগেনি। এরপর তিনি ইউনুছকে গলাটিপে খুন করতে চান। পরে ইউনুছ কামালের গালে কামড় দেন এবং গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে কামাল মারা যান।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১০ সালের ৩ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউনুছের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ থেকে ৩০৪ ধারায় রূপান্তর করে এ রায় দেন। আসামি ইউনুছ জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের তারাগঞ্জে মাদক সেবনের অভিযোগে নুর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মাদকসেবী নুর হোসেন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার কপার উদ্দীনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। এসময় নিজ বাড়িতে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে নুর হোসেনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে সোপর্দ করে তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নুর হোসেনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ নুর হোসেন প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে এবং যুবসমাজকে নষ্ট করছে। এর আগেও মাদক কারবারির দায়ে সে কারাগারে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুবেল রানা বলেন, আটক ব্যক্তিকে মাদক সেবনের দায়ে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে। মাদক প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।’

মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

আশফাকুল ইসলাম ১৯৫৯ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ কে এম নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আর মাতা জাহানারা আরজু একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক।

;