হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজার জেলা আদালত

কক্সবাজার জেলা আদালত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফে কৃষক আব্দুল করিম হত্যা মামলায় পিতা, পুত্র ও স্ত্রীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিত আসামির একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও অপর দুইজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৫ এর বিজ্ঞ বিচারক নিশাত সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামের মো. মকবুলের ছেলে মঞ্জুর, মঞ্জুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন ও তাদের ছেলে মো. ফোরকান। মামলার প্রধান আসামি ফোরকান পলাতক রয়েছেন। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী বইল্যাছড়া এলাকায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা করা হয়। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করেন নিহত আব্দুল করিমের স্ত্রী খোরশিদা বেগম। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। তার আগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিমুল মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৪) মামলাটি পরিচালনা করেন।

   

২০ লাখ টাকা ছিনতাই: দুই পুলিশসহ ৫ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগের মামলায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আসিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাজাহান, হৃদয় ও রাসেল।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ৫ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে যান। সেখানে দুই পুলিশ সদস্য ‘ওয়ারেন্ট’ আছে বলে তাকে ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন।

এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন। ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।

ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

;

রানা প্লাজার ভবন নির্মাণে দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারের রানা প্লাজার ভবন নির্মাণে দুর্নীতির মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে দ্বিতীয় দিনের মত জবানবন্দি দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান অবশিষ্ট সাক্ষ্যের জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর ধার্য করেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন কর হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয় তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে আরো জানা যায়, নকশাবহির্ভূতভাবে নয়তলা ভবন নির্মাণ, সাভার পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে পোশাক কারখানা স্থাপন করার অনুমোদন ও গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করে আসামিরা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও দণ্ড বিধির ১০৯ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এই ঘটনায় রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তবে সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক মারা গেছেন। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, ভবন মালিক সোহেল রানা, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও ফারজানা ইসলাম পলাতক রয়েছেন। সোহেল রানা কারাগারে আছেন। অপর ৬ আসামি জামিনে আছেন।

;

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন শুনানি ২৩ অক্টোবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন শুনানি ২৩ অক্টোবর

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন শুনানি ২৩ অক্টোবর

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাজির দেন। একই সাথে চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করেন।

এছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ তারিখ ধার্য করেন।

আদালত খালেদা জিয়ার সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সময় আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জশুনানি করতে বলেন। এরপর তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ মোশাররফ হোসেনের অব্যাহতির চেয়ে শুনানি করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

;

ব্যাংকের ভেতরে ২১ লাখ টাকা ছিনতাই: ২ পুলিশসহ ৫ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যাংকের ভেতরে ২১ লাখ টাকা ছিনতাই: ২ পুলিশসহ ৫ জন রিমান্ডে

ব্যাংকের ভেতরে ২১ লাখ টাকা ছিনতাই: ২ পুলিশসহ ৫ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর পল্টন থানাধীন এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৫ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুবের আদালত প্রত্যেকের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন, ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আছিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাহাজান, হৃদয় ও রাসেল।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে যান। সেখানে দুই পুলিশ সদস্য ‘ওয়ারেন্ট’ আছে বলে তাকে ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন।

এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন।

ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।

ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

;