পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে হামলা: ৫১ আসামি কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে হামলা: ৫১ আসামি কারাগারে

পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে হামলা: ৫১ আসামি কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার দীর্ঘ ৯ মাস পর ৫১ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক এসএম শফিকুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে প্রধান আসামি শহিদুজ্জামান মণ্ডল ওরফে শহিদসহ ৫১ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর উপজেলার রামনাথপুরের করিমপুর উত্তর পাড়ার হিন্দুপল্লীতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাসাবাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে অংশ নেয় শত শত হামলাকারী।

এ ঘটনায় গ্রামটির ১৫টি পরিবারের ২১টি বাড়ির সবকিছু আগুনে পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীরা গরু-ছাগল, অলংকার ও টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় ৪টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে উপপরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ১৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহবুব হোসেন সকল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি শহিদুজ্জামান মণ্ডল ওরফে শহিদসহ শতাধিক আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

আজ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের সবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা সবাই সহায়-সম্বলহীন ও শ্রমজীবী। তাদেরকে অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে।

   

২২২ কোটি টাকা পাচার মামলায় সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ২২২ কোটি টাকা পাচারের মামলায় জামিনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে ঢাকার একটি আদালত। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক।

সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভিন হীরা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো এবং অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত চেয়ে দুটি পৃথক আবেদন জমা দেওয়ার পর সোমবার (২৮ আগস্ট) বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে উল্লেখ ছিল, সম্রাটকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আর জামিনের মেয়াদ হবে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত। জামিন আদেশের পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

প্রসঙ্গত, র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন। চলতি বছরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪ মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পরে ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২২ আগস্ট তিনি ওই মামলায় জামিন পান।

;

সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ নির্দেশ দেন।

এদিন মামলাটিতে ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোকের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি অর্থাৎ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। এরপর আদালত ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এতথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ জুলাই এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন আদালত। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেন।

এদিন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু আদালতে হাজিরা দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার গত ৯ এপ্রিল ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভূক্ত অপর দুই আসামি হলেন, বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে পিবিআই'র ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

;

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু: প্রতিবেদন ৩০ অক্টোবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১ অক্টোবর) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানা উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত বছর ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।

ময়নাতদন্তে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশের মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরেও আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে।

মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৮ জানুয়ারি বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

;

আনসার আল ইসলামের শাখা প্রধানসহ ৬ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ও র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াদুল হক আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জুলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬) ও সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে র‌্যাব-১ ও ডিজিএফআই এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তিকা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়েরি ও নোট বই উদ্ধার করা হয়।

;