শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান এ রিট দায়ের করেন।

এর আগে গত ২৮ জুন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় রিট আবেদন নিয়ে আসতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনলে আদালত এ পরামর্শ দেন।

আদালতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান। তখন হাইকোর্ট বলেন, আপনারা রিট আবেদন নিয়ে আসুন। আমরা শুনব।

জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় গত ১৭ জুন ফেসবুকে ভারতে মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ‘প্রণাম নিও বস নূপুর শর্মা, ‘জয় শ্রী রাম’ ক্যাপশন দেয়। এরপর ১৮ জুন সকালে তাকে কলেজে দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপস্থিত শিক্ষকদের জানান। এরপর স্থানীয় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুরসালিন, কলেজের জিবির সভাপতি অচিন চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়।

এরপর মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুরসালিন কলেজে থেকে রাহুলকে নিয়ে যেতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন এবং বাধা দেন। কিছু সময়ের মধ্যে নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছান। কিন্তু রাহুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম আরও পুলিশ নিয়ে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে যান। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের বুঝিয়ে রাহুলকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ধীরে ধীরে লোকজন বাড়তে থাকে আর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আরও অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় সেখানে যান। রাহুলের উপযুক্ত বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই এলাকার সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রাহুল রায়কে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন।

কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন যোগ দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ফলে কলেজ চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এরপর কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বাথরুমে আটকে রাখা হয়। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাস, শিক্ষক প্রশান্ত রায় ও শিক্ষক অরুন কুমার মণ্ডলের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

ওই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দু’জন মিলে উপযুক্ত বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে রাহুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় একদল যুবক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে মারপিট করে।

আলোচিত এই ঘটনার ১০দিন পর পুলিশ বাদী হয়ে ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত, দিতে হবে ১২ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের কর ফাঁকি প্রমাণিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ২০১১ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত এ তিন বছরের জন্য কর ফাঁকি বাবদ দিতে হবে ১২ কোটি টাকা।

বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। করফাঁকি নিয়ে এটিই তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রথম রায়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রায় শেষে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতেই ট্রাস্ট করেছেন ড. ইউনূস। মৃত্যুভীতি থেকে টাকা দেয়াটা তার একটি কৌশল। 

ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০১২-১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

;

শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।

ড. ইউনূসের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।

পরে অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল।

তিনি আরও বলেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।

শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।

শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।

;

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে নারীর যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে লিপি বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোস্তফা শাহরিয়ার খান এই রায় দেন।

দণ্ডিত লিপি আক্তার মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলী এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস আকবর খান জানান, ২০২২ সালের ৬ মার্চ টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আহসান হাবীব ১০০ গ্রাম হেরোইন ও হেরোইন বিক্রির দুই লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ লিপি আক্তারকে (৩৬) গ্রেফতার করেন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক তাকে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে লিপি আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

তিনি জানান, মামলা চলাকালে লিপি আক্তার কারাগার থেকে একাধিকবার জামিন আবেদন করলেও প্রতিবারই আদালত না মঞ্জুর করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা সাধারণত এত অল্প সময়ে শেষ হয় না। আদালতের সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা থাকায় মাত্র এক বছরের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।

;

বিএনপি নেতা টুকুর ৯ ও আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ ও আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে ওই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

 

;