কদমতলীতে ট্রিপল মার্ডার: বড় মেয়ের দোষ স্বীকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডে মধ্যবয়সী এক দম্পতি ও তাদের মেয়ে খুনের মামলায় ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহেজাবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরার আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন চারদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেছিলেন।

১৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তাদের মেয়ে মেহেজাবিন মুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) এবং তাদের কন্যা সন্তান জান্নাত (১৮)।

বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল।

ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, মানুষের সেবার জন্য: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিষয়টি নিয়ে শুনানির সময় আদালত বলেছেন, কারাগারে অধিকাংশ গরিব মানুষ থাকে। চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান। ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য বলে মন্তব্য করেন আদালত।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ জুন) শুনানি হয়। রিটের পক্ষের এডভোকেট মো. জে আর খান রবিন এ কথা জানান।

কারা অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী এটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

আইনজীবী মো: জে আর খান রবিন আদালতে বলেন, কারাগারে শূন্যপদে এখনও চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। তখন আদালত বলেন, বাংলাদেশে তো ডাক্তারের অভাব নেই। রাস্তায়ও ডাক্তার ঘুরতে দেখা যায়। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও অনেকে ডাক্তারি পড়ছেন। কারা অধিদফতরের আইনজীবী বলেন, ১৪১ পদের মধ্যে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিচ্ছি।

আদালত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা অধিদফতরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিঠি চালাচালি থেকে বের হয়ে দ্রুত নিয়োগ দিন। এতদিনেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ক্ষমতা অ্যাবিউজ করার জন্য না, ক্ষমতা মানুষকে সেবার জন্য। এটা মনে রাখবেন।

আদালত বলেন, কারাগারে তো গরিব মানুষ থাকে। ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। তাই কারাগারে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষকে বাঁচান। এরপর আদালত এক মাসের মধ্যে কারাগারের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন।

;

রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহীদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

তিনি বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে তার নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সমর্থকরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাণিজ্যমন্ত্রী চলে যান।

বিকেলের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

;

ডা. সাবরিনার মুক্তিতে বাধা নেই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় দণ্ডিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ মাসের জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী জামিন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে সাবরিনার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদুল হক। তিনি জানান, বাকি মামলাগুলোতে জামিনে আছেন সাবরিনা। এই মামলায় জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।

এর আগে, করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। গত বছরের ১৯ জুলাই অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরদিন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জালিয়াতির ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

;

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ৭ হাজার ১টি মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উপস্থাপন করা হয়।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়। সেই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এর তিনদিনের মাথায় ১১ অক্টোবর প্রথম এই আইনের অধীনে মামলা দায়ের হয়। মোকাব্বির খান তার প্রশ্নে ডিজিটাল মামলা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা জানতে চান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা থাকায়, ওই অংশ সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪ এর অনুচ্ছেদ ২১৩(২) অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি। আর ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।

তিনি জানান, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা চলমান। খাগড়াছড়িতে সর্বনিম্ন ৬ হাজার ৬৩০টি মামলা চলমান রয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।

;