বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জামাতগুলোতে পৃথক পৃথক আলেমরা ইমাম ও মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন।

ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. ইসহাক মুয়াজ্জিন।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী এবং মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. আব্দুল মান্নান।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী ইমাম হিসেবে থাকবেন এবং মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান থাকবেন।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক ইমাম হিসেবে থাকবেন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম, হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।

এছাড়া ৫টি জামাতে নির্ধারিত ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

   

একতরফা নির্বাচন আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহ্বান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই

বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই

  • Font increase
  • Font Decrease

একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকে চরম খেসারত দিতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্ব) জুমার নামাজের পর রাজধানীর মিরপুর-১ ঈদগাহ মাঠে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

পীর সাহেব চরমোনাই তার বক্তব্যে আরও বলেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটা দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে। এই ভয়াবহ সংঘাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে কেবল জাতীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পরবে। ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংস হবে। ইসলামি শিক্ষা ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে।

মুফতি রেজাউল করিম সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

মিরপুরের সমাবেশ থেকে পীর সাহেব চরমোনাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশে ইউনিয়ন ইউনিয়নে সদস্য সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে নগর সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দীন, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নগরসহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি সিরাজুল, ইসলাম, মুফতি মোঃ মাছউদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

;

তুরস্কের মসজিদে মসজিদে নবীর স্মরণে নানা আয়োজন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তুরস্কের মসজিদে মসজিদে নবীর স্মরণে নানা আয়োজন

তুরস্কের মসজিদে মসজিদে নবীর স্মরণে নানা আয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তুরস্কের মসজিদগুলোতে নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদসহ বড় বড় সব মসজিদে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

আনাদোলু এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের মসজিদগুলোতে ‘মাওলিদ আল-শরিফ’উপলক্ষে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। দিবসটি উদযাপনে তুর্কিদের রয়েছে বেশ আগ্রহ।

এদিন তারা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তা ছাড়া পবিত্র কোরআন পাঠের পাশাপাশি নবী কারিম (সা.)-এর জীবনী পঠন-পাঠন অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে মসজিদে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত দোয়ায় অংশ নেয় সবাই।

ইস্তাম্বুলের আল-ফাতিহ মসজিদ, সুলতান আইউব মসজিদ, সুলেমানিয়া মসজিদ, গ্র্যান্ড ক্যামলিকা মসজিদসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদে উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে ছিল পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ইসলামি বিশেষজ্ঞদের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান। এতে পুরুষদের পাশাপাশি শিশু ও নারীরাও অংশ নেয়।

আয়োজন শেষে আল-ফাতিহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইস্তাম্বুল ছাড়াও তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলে নবী কারিম (সা.)-এর জীবন নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে নবী কারিম (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তুরস্কসহ সারা বিশ্বের সব মুসলিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।

এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মহানবীর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি আমার জাতি ও মুসলিম বিশ্বকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহর কাছে কামনা করছি, তিনি যেন অনুগ্রহপূর্ণ এই রাতকে পুরো মানবতার জন্য কল্যাণের বাহক করেন, যা উভয় জগতের সর্দার আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.)-এর জন্মের সাক্ষী ছিল।’

;

দুশ্চিন্তা ও হতাশামুক্ত জীবন লাভে করণীয়



তৌফিক সুলতান, অতিথি লেখক, ইসলাম
দুশ্চিন্তা ও হতাশামুক্ত জীবন লাভে করণীয় বিষয়গুলো নিয়মিত আমল করা

দুশ্চিন্তা ও হতাশামুক্ত জীবন লাভে করণীয় বিষয়গুলো নিয়মিত আমল করা

  • Font increase
  • Font Decrease

নানাবিধ দুশ্চিন্তা ও হতাশার কারণে মানুষের মাঝে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ সমাধান হিসেবে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। আবার কেউ জীবনের স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে ফেলে।

তবে, মুসলিম হিসাবে আমরা বিশ্বাস করি; পৃথিবীতে এমন কোনো রোগ নেই যার চিকিৎসা আল্লাহতায়ালা দেননি। মানসিক চাপসহ নানাবিধ রোগবালাই থেকে উত্তরণে ইসলামি ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।

অহেতুক দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মতো। যত দূর করতে চাইবেন, তত আপনাকে জেঁকে ধরবে। কথায় আছে, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।’ মস্তিষ্ক যত অলস বসে থাকে, তত মাথায় জমা হয় অহেতুক চিন্তা। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখা ভালো কাজের সঙ্গে।

মনে রাখতে হবে, জীবনে পাওয়া না পাওয়ার বেদনায় হতাশ হওয়া কিংবা মানসিক চাপ অনুভব করা নতুন কোনো বিষয় নয়। বিপদ-আপদ, চাপ কিংবা না পাওয়ার বেদনা যত বেশিই হোক না কেন- কোনো অবস্থায়ই হতাশ হওয়া ঈমানদারের কাজ নয়। বরং সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর দৃঢ় আস্থা রাখা রেখে সুস্থ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। এখানে দুশ্চিন্তা কাটাতে ও হতাশামুক্ত জীবন লাভে করণীয় কিছু আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

আল্লাহর ওপর ভরসা
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্ত থাকতে মহান আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের (ভরসা) কোনো বিকল্প নেই। কেননা তিনিই বলেছেন, ‘যে মহান আল্লাহর প্রতি ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’ -সুরা তালাক : ৩

সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা ও পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপনে মানুষের মনোবল বাড়ে। ফলে সে অন্তরে খুঁজে পায় এক অনাবিল সুখ ও পরিতুষ্টি। যে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করতে জানে, তার জন্য কোনো চিন্তা নেই। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘আমি সেরূপ, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে।’ -সহিহ বোখারি

দোয়া
মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত দোয়া করা উচিত। কারণ হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের মূল বলা হয়েছে। দোয়া করলে, কোনো কিছু চাইলে মহান আল্লাহ খুশি হন। না করলে বরং অসন্তুষ্ট হন।

তবে দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে জানি, কোনো বিপদে পড়া লোক যদি তা পড়ে তবে আল্লাহ সে বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে- আমার ভাই (হজরত) ইউনুস (আ.)-এর দোয়া। তাহলো- ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই, আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত।’ -সুনানে তিরমিজি

নামাজ
যেকোনো বিপদ-মুসিবত, পেরেশানির সময় নামাজের মাধ্যমেই প্রকৃত প্রশান্তি লাভ করা যায়। কেননা নামাজের মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করেন। তাই মানসিক প্রশান্তি লাভে নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার নিকটে সাহায্য প্রার্থনা করো। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সেসব বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ -সুরা বাকারা : ৪৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। -সুনানে আবু দাউদ

সাহাবায়ে কেরামও এই আমলে অভ্যস্ত ছিলেন। ছোট থেকে ছোট কোনো বিষয়ের জন্যও তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।

ইস্তেগফার
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে বেশি বেশি ইস্তেগফারের বিকল্প নেই। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন। তার সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। -সুনানে আবু দাউদ

কোরআন তেলাওয়াত
কোরআন তেলাওয়াত মানুষের অন্তরকে প্রফুল্ল এবং হৃদয়কে করে প্রশান্ত। কেননা কোরআন তেলাওয়াত মুমিনের প্রফুল্লতার অনন্য উৎস। কোরআনের আলোয় আলোকিত মানুষ সব দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়, আল্লাহ তাদের কোরআন দ্বারা শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে তাদেরকে কুফরির অন্ধকার থেকে বের করে ইমানের আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।’ -সুরা মায়িদা : ১৫-১৬

দরুদ পাঠ
দরুদ পড়লে আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি রহমত নাজিল করেন। এ রহমত মানুষকে যাবতীয় মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখে। এটি আত্মপ্রশান্তি লাভের সহজ উপায়ও বটে। কেননা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়া এমন একটি ইবাদত যে, আল্লাহতায়ালা তা কবুল করে নেন।

;

সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের নির্বাচন সম্পন্ন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
(বা থেকে ) প্রফেসর ড. মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, অধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা মো. আবদুল্লাহ্ শরীফ

(বা থেকে ) প্রফেসর ড. মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, অধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা মো. আবদুল্লাহ্ শরীফ

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এবং সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ্ শরীফ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা। এই কমিটি ২০২৩-২০২৭ কার্যকাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুলশানের শেজাদ প্যালেসের ৩য় তলায় (স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ২৮টি সদস্য ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটি, শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২য় বারের মতো সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকার উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা দি সিটি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংকের এবং বেক্সিমকো গ্রিন সুকূক শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মো. আবদুল্লাহ্ শরীফ দি সিটি ব্যাংকের শরীআহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়া এডভাইজরি কমিটি, ইসলামিক ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন কমিটি এবং অ্যাওইফির এডুকেশন বোর্ডের সদস্য। তিনি ৩য় বারের মতো সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন।

;