সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

  • Font increase
  • Font Decrease

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রোববার সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল মাসে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। আবার মাত্র ৬৩ বছরের একই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।

সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণময় দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে।


বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন এবং দেশের মুসলিমরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন। দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদরাসা।

এক তথ্য বিবরণীতে পিআইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন শুরু করেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।


 

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এর আগে তিনি বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না'ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের স্কুলগুলোয় নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনবিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।

এ ছাড়াও, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০ ইসলামিক মিশন ও ৭ ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

   

বদ আকিদায় দেশ ছেয়ে গেছে : ছারছীনার পীর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছারছীনা দরবারের ১৩৩তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল, ছবি : সংগৃহীত

ছারছীনা দরবারের ১৩৩তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. আবদুর রহমান ছারছীনা থেকে : বর্তমানে বদ আকিদায় দেশ ছেয়ে গেছে। আলেমরা কোনটি সঠিক ও কোনটি বদ আকিদা- সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আলেম-উলামারাও তা পার্থক্য করতে পারছেন না। বাতিল ফেরকাকেই অনেকে সঠিক আকিদা হিসেবে গণ্য করে আমল করে থাকেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছারছীনা দরবার শরিফের ১৩৩তম বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বাদ মাগরিব তালিমের পর আলোচনায় আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরিফের পীর সাহেব হজরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এসব কথা বলেন।

উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব ছারছীনা বলেন, ছারছীনা শরিফের মরহুম দাদা হুজুর কেবলা আল্লামা শাহ্সূফী হজরত মাওলানা নেছার উদ্দীন আহমদ (রহ.) যাবতীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। মুসলামনদেরকে কালেমা, নামাজ, রোজা ইত্যাদি শিক্ষা দেন।

এ সময় তিনি জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে তালিমি জলসা কায়েমের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাহফিল কায়েমের ক্ষেত্রে ফেসবুকে ভাইরাল দেখে নয় বরং সঠিক আকিদা ও আমলের অনুসারী আলেমদের দ্বারা মাহফিল করার পরামর্শ দেন।

পীর সাহেব ছারছীনা আগামীকাল বাদ জুমা আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানান।

ছারছীনার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমির ও হজরত পীর সাহেব কেবলার বড় সাহেবজাদা হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছার উদ্দিন আহমদ হুসাইন।

বাদ মাগরিব আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ, দীনিয়া মাদ্রাসা, তালিমি জলসা ও এলাকায় ছারছীনা সিলসিলার প্রচার-প্রসারকল্পে ওয়াজ মাহফিল কায়েমের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ছারছীনা দরবার দলীয় রাজনীতি করে না। নির্দিষ্ট কোনো দলের সঙ্গে এই দরবারের কোনো সখ্যতা বা বৈরিতা নেই। আমরা সরকারের ভালো কাজ যেমন সমর্থন করি, তেমনি ভালো কাজে সহযোগিতা করি। আমরা মুসলিম জনসাধারণকে পরহেজগার মুসলমানে রূপান্তরিত করতে চাই।

এছাড়া দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন- মাওলানা মো. রূহুল আমিন ছালেহী, মাওলানা আ জ ম ওবায়দুল্লাহ্, মাওলানা আবদুল গফফার কাসেমী, ড. মাওলানা সৈয়দ মুহা. শরাফত আলী, মাওলানা কাজী মফিজ উদ্দিন, মাওলানা মো. রূহুল আমীন আফসারী ও মাওলানা হাফেজ মো. বোরহান উদ্দীন ছালেহী প্রমূখ।

;

গোনাহ মাফকারী দুই আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গোনাহ মাফকারী দুই আমল, ছবি : সংগৃহীত

গোনাহ মাফকারী দুই আমল, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দয়াময় আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন উসিলায় তার বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। বান্দাকে শুধু সেই ক্ষমা পাওয়ার জন্য কোরআন-হাদিসের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু আমলের কথা বলেছেন, যেগুলো গোনাহমাফকারী।

দুই ওমরার মাঝের গোনাহ মাফ
আমাদের দেশের অনেক মধ্যবিত্তেরও ওমরা পালনের তওফিক হয়। অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের হজের সামর্থ্য নেই, কিন্তু কষ্ট করে ওমরার টাকা যোগাড় করে ফেলেন। বহু কষ্টে জমানো অর্থ দিয়ে তারা বায়তুল্লাহ জিয়ারতের তৃষ্ণা মেটান, পূরণ করেন বুকের মাঝে লালিত দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।

আর যে সব ধনীদের আল্লাহতায়ালা বায়তুল্লাহর মহব্বত দান করেছেন, তারা তো বছরের বিভিন্ন সময় ছুটে যান বায়তুল্লাহয়। তেমনি যারা আরবের বাসিন্দা বা বায়তুল্লাহর প্রতিবেশী তারাও। যাকে আল্লাহতায়ালা অর্থ বা সুযোগ কিংবা সামর্থ্য দিয়েছেন সঙ্গে আল্লাহর মহব্বতও দান করেছেন সে কি বারবার বায়তুল্লাহর জিয়ারত না করে পারে?

তাছাড়া ওমরার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা গোনাহ মাফ করেন। এক উমরা তার পূর্ববর্তী ওমরার মাঝের গোনাহগুলো মিটিয়ে দেয়।

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এক ওমরা পূর্ববর্তী ওমরার মাঝের গোনাহগুলোর কাফফারা হয়ে যায়।’ -সহিহ বোখারি : ১৭৭৩

বায়তুল মাকদিসে নামাজের উদ্দেশ্যে গমন
বায়তুল মাকদিস। মুসলিমের প্রথম কেবলা। মসজিদে হারাম কেবলা হওয়ার পূর্বে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিরা ষোলো-সতেরো মাস এদিক ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। -সহিহ মুসলিম : ৫২৫

মসজিদে হারামের পরই আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগির উদ্দেশ্যে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। -সহিহ মুসলিম : ৫২০

পবিত্র মেরাজের সময় এখান থেকেই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঊর্ধ্বজগৎ ভ্রমণ শুরু হয়েছে। -সহিহ মুসলিম : ১৬২

এছাড়াও বায়তুল মাকদিসের রয়েছে আরও অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। কেউ যদি কেবল নামাজের উদ্দেশ্যে বায়তুল মাকদিসে যায় তাহলে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় সে গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন- হজরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম যখন বায়তুল মাকদিসের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করলেন তখন আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় চাইলেন- এক. আমাকে এমন ফয়সালার যোগ্যতা দিন, যা আপনার ফয়সালার অনুগামী হয়। দুই. আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন, যেমন রাজত্ব আর কাউকে দেওয়া হবে না। তিন. যে ব্যক্তি কেবল নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে এ মসজিদে আসবে সে সদ্যভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো গোনাহমুক্ত হয়ে যাবে।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তার দুটি আরজি তো কবুল করা হয়েছে; তিনি এ প্রথম দুটি লাভ করেছেন। আর আমি আশা করি, তার তৃতীয় আরজিও কবুল করা হয়েছে। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৪০৮

;

ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল গণির ইন্তেকাল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাওলানা আবদুল গণি, ছবি : সংগৃহীত

মাওলানা আবদুল গণি, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস (শায়খে সানি) মাওলানা আবদুল গণি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়। মরহুমের জামাতা মাওলানা মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাওলানা আবদুল গণি দেশের বরেণ্য আলেম, প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিস হিসেবে সমাদৃত। তিনি অনেক মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই সঙ্গে মুগদা ব্যাংক কলোনী মসজিদের খতিব ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মাওলানা আবদুল গণি। পরে রাত ২টায় তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে আইসিউতে নেওয়া হয়। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

২০১৬ সালে সর্বপ্রথম মরহুমের পাকস্থালিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তথন থেকেই দেশীয় চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারত যান। সেখানে কলকাতা সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধীনে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দেশে ফিরে আসেন। পরে গত কয়েক মাস আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। এতে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। অবশেষে গত সোমবার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

;

দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জেনে নিন দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী

জেনে নিন দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ০১-১৪ রমজান (১২ মার্চ-২৫ মার্চ ২০২৪) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ২৭তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিকদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগ্রহীরা আবেদনের নিয়মাবলি জেনে নিন

প্রতিযোগিতার বিষয় : তাজবীদসহ পূর্ণ কোরআন হিফজ।
প্রতিযোগীর বয়স : ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ২৫ বছর।
প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, সকাল ১০টা
চূড়ান্ত বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টা
পরীক্ষার স্থান : দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা।

শর্তাবলি
প্রার্থীকে ১ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি এবং জীবনবৃত্তান্তসহ নির্ধারিত নমুনা আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট www.islamicfoundation.gov.bd থেকে সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। তবে এর আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আবেদন ফি
আবেদনকারীকে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ শিরোনামে ৩০০/- (তিনশত) টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট দরখাস্তের সঙ্গে সংযোজন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়
আবেদনপত্র আগামী ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে কুরিয়ারে/সরাসরি/ [email protected] এই মেইলে পৌঁছাতে হবে অথবা www.mygov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৭০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন ১৪ বছর বয়সি বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি পান আড়াই লাখ দিরহাম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৭ লাখ।

এছাড়া প্রতিযোগিতায় গতবার প্রথমবারের মতো শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ নামে বাংলাদেশি একজন বিচারক বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ পান। তিনি মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইলমুল কেরাত ওয়াত তাজবিদ’ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাড়ি ঢাকার শ্যামপুরে।

;