শুরু হলো হিজরি চান্দ্রবর্ষের দ্বিতীয় মাস 'সফর'



আবুল খায়ের মোহাম্মদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শুরু হলো হিজরি চান্দ্রবর্ষের দ্বিতীয় মাস 'সফর'

শুরু হলো হিজরি চান্দ্রবর্ষের দ্বিতীয় মাস 'সফর'

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজরি ১৪৪৪ সালের সফর শুরু হয়েছে, যে মাস মাস ইসলামি হিজরি চান্দ্রবর্ষের দ্বিতীয় মাস এবং একইসঙ্গে 'মহররম মাসের জোড়া মাস' হিসাবে পরিচিত।

ইসলাম-পূর্ব জাহিলি যুগে মহররম ও সফর এই দুই মাসের নাম ছিল ‘আস সফরুল আউয়াল’ ও ‘আস সফরুস সানি’, অর্থাৎ ‘প্রথম সফর’ ও ‘দ্বিতীয় সফর’। ইসলামি ক্যালেন্ডার বছরের প্রথম মাস ‘আস সফরুল আউয়াল’, বা ‘মুহাররামুল হারাম’। এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ তখনো নিষিদ্ধ ছিল; কিন্তু আরবের লোকেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাদের সুবিধামতো অনৈতিকভাবে এ মাস দুটি আগে-পরে নিয়ে যেত। তাই পরবর্তী সময়ে তাদের এ অপকৌশল নিরসনের জন্য প্রথম মাসের নামকরণ করা হয় মহররম (নিষিদ্ধ); সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় মাসের বিশেষণ ‘আস সানি’ বা ‘দ্বিতীয়’ শব্দটিও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। ফলে এ দুই মাসের নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান ‘মহররম’ ও ‘সফর’ রূপ লাভ করে।

মহররম ও সফর, এ দুই মাস মিলে একই ঋতু; সুতরাং এ সফর মাস মহররম মাসের সমান না হলেও নানাদিক থেকে কিছু কিছি গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে।

মূলত ‘সিফর’ মূল ধাতু থেকে উদ্ভূত ‘সফর’ মানে হবে শূন্য, রিক্ত। আর ‘সাফর’ ক্রিয়া মূল থেকে উৎপন্ন হলে এর অর্থ হবে হলুদ, হলদেটে, তামাটে, বিবর্ণ, ফ্যাকাশে, পাণ্ডুবর্ণ, ফিকে, ঔজ্জ্বল্যবিহীন, দীপ্তিহীন, রক্তশূন্য ইত্যাদি। এহেন নামকরণের হেতু এই যে, তখন আরবরা সৌরবর্ষ হিসাব করত; চান্দ্রমাস গণনা করলেও ঋতু ঠিক রাখার জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর বর্ধিত এক মাস যোগ করে ১৩ মাসে বছর ধরে সৌরবর্ষের সঙ্গে সমন্বয় করত। সুতরাং মাসগুলো মোটামুটিভাবে ঋতুতে স্থিত থাকত। ঋতু ও ফল–ফসলের সঙ্গে আদিকাল থেকেই মানুষের জীবন ও জীবনধারার সব ক্রিয়াকর্ম পরিচালিত হতো।

প্রাকৃতিক কারণে এবং ঋতুগত প্রভাবে আরব দেশে সে সময় সফর মাসে খরা হতো এবং খাদ্যসংকট, আকাল দেখা দিত। মাঠঘাট শুকিয়ে চৌচির, বিবর্ণ ও তামাটে হয়ে যেত। ক্ষুধার্ত মানুষের চেহারা রক্তশূন্য ও ফ্যাকাশে হতো। তাই তারা বলত ‘আস সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ ‘বিবর্ণ সফর মাস’। আরবের জাহিলরা এই মাসকে দুঃখ-কষ্টের মাস মনে করে চাঁদ দেখা থেকেও বিরত থাকত এবং দ্রুত মাস শেষ হওয়ার অপেক্ষা করত।

পরবর্তীতে ইসলামি বিশ্বাসমতে, কল্যাণ-অকল্যাণ সময় বা ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং তা নির্ভর করে বিশ্বাস ও কর্মের ওপর। তাই মহানবী (সা.) এ মাসের নামের নেতিবাচক বিশেষণ পরিবর্তন করে সুন্দর ইতিবাচক বিশেষণ যুক্ত করে নামকরণ করলেন ‘আস সাফারুল মুজাফফার’, অর্থাৎ ‘সাফল্যের সফর মাস’। ইতিবাচক চিন্তা ও সৃজনশীল কর্মকাল দ্বারা এই বিবর্ণ সফরকে সুবর্ণ করে তোলাই এর অন্তর্নিহিত দর্শন। শুভচিন্তা, সু-ধারণা, মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা ও সৃজনশীল উদ্দীপনা সাধারণ জিনিসকেও অসাধারণ করে তোলে; শূন্যতাকে পূর্ণতায় পরিণত করে। ইসলাম এমনই ইতিবাচকতায় বিশ্বাসী এবং আশাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ।

ইসলাম যেহেতু বিশ্বাস করে যে, দুনিয়া হলো আখেরাতে সাফল্যের কর্মক্ষেত্র এবং মানুষের জীবন সময়ের সমষ্টি, তাই কর্মগুণে প্রতিটি ক্ষণ, দিন ও মাসকে বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ করাই কর্তব্য। অতএব, আল্লাহ তাআলার রহমত ও বরকত পেতে এ মাসেও বেশি বেশি কাজকর্ম তথা আমল করা বাঞ্ছণীয়। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতসমূহ যথাযথভাবে আদায় করার পাশাপাশি নফল ইবাদতে মশগুল হওয়াও উচিত।

মহান আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেছেন, ‘মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।’ (সুরা-১০৩ আসর, আয়াত: ১-৩)।

উম্মে সালমা (রা.) বলেছেন, ‘একদা রাতে নবীজি (সা.) জাগ্রত হয়ে বললেন, সুবহানাল্লাহ! এ চমৎকার সুন্দর রাত! এতে কতই না বিপদ আপতিত হয়; আর এতে কতই না রহমতের ধনভান্ডার খুলে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, প্রথম খণ্ড, হাদিস নম্বর ১১৬)।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সময়কে মন্দ বোলো না, কারণ আমিই সময়।’ (হাদিসে কুদসি)।

হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘কোনো অশুভ-অযাত্রা নেই, কোনো ভূত-প্রেত বা অতৃপ্ত আত্মার অশুভ ক্ষমতা নেই এবং সফর মাসের অশুভ কিছুর কোনো অস্তিত্ব নেই।’ (বুখারি, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস: ২১৫১, ২১৬১, ২১৭১ ও ২১৭৭)।

অতএব, কোনো দিন, ক্ষণ বা মাসকে অকল্যাণকর রূপে চিহ্নিত করা ইসলাম-পূর্ব অজ্ঞতাকালীন মানসিকতার পরিচায়ক। বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রাপ্ত দিন, ক্ষণ বা মাসকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো। সুকর্ম ও সুবচনের মাধ্যমে দিন, ক্ষণ বা মাসকে ফলবতী করা তাই প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন না করে হতাশা, অলসতা, অপচয়, কুকর্ম ও কুবাক্যে দিন, ক্ষণ বা মাসকে নষ্ট করা হলে মানবজীবনের সাফল্য বিনষ্ট হতে বাধ্য। ফলে আল্লাহ তাআলার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, সৎকর্ম, সদুপদেশ ও ধৈর্যকে সাফল্যের নিয়ামক ধরে সফর মাসে সুকর্ম ও সুবচনের আত্মনিয়োগ করাই কাম্য এবং লাভজনক।

   

বদ আকিদায় দেশ ছেয়ে গেছে : ছারছীনার পীর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছারছীনা দরবারের ১৩৩তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল, ছবি : সংগৃহীত

ছারছীনা দরবারের ১৩৩তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. আবদুর রহমান ছারছীনা থেকে : বর্তমানে বদ আকিদায় দেশ ছেয়ে গেছে। আলেমরা কোনটি সঠিক ও কোনটি বদ আকিদা- সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আলেম-উলামারাও তা পার্থক্য করতে পারছেন না। বাতিল ফেরকাকেই অনেকে সঠিক আকিদা হিসেবে গণ্য করে আমল করে থাকেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছারছীনা দরবার শরিফের ১৩৩তম বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বাদ মাগরিব তালিমের পর আলোচনায় আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরিফের পীর সাহেব হজরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এসব কথা বলেন।

উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব ছারছীনা বলেন, ছারছীনা শরিফের মরহুম দাদা হুজুর কেবলা আল্লামা শাহ্সূফী হজরত মাওলানা নেছার উদ্দীন আহমদ (রহ.) যাবতীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। মুসলামনদেরকে কালেমা, নামাজ, রোজা ইত্যাদি শিক্ষা দেন।

এ সময় তিনি জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে তালিমি জলসা কায়েমের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাহফিল কায়েমের ক্ষেত্রে ফেসবুকে ভাইরাল দেখে নয় বরং সঠিক আকিদা ও আমলের অনুসারী আলেমদের দ্বারা মাহফিল করার পরামর্শ দেন।

পীর সাহেব ছারছীনা আগামীকাল বাদ জুমা আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানান।

ছারছীনার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমির ও হজরত পীর সাহেব কেবলার বড় সাহেবজাদা হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছার উদ্দিন আহমদ হুসাইন।

বাদ মাগরিব আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ, দীনিয়া মাদ্রাসা, তালিমি জলসা ও এলাকায় ছারছীনা সিলসিলার প্রচার-প্রসারকল্পে ওয়াজ মাহফিল কায়েমের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ছারছীনা দরবার দলীয় রাজনীতি করে না। নির্দিষ্ট কোনো দলের সঙ্গে এই দরবারের কোনো সখ্যতা বা বৈরিতা নেই। আমরা সরকারের ভালো কাজ যেমন সমর্থন করি, তেমনি ভালো কাজে সহযোগিতা করি। আমরা মুসলিম জনসাধারণকে পরহেজগার মুসলমানে রূপান্তরিত করতে চাই।

এছাড়া দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন- মাওলানা মো. রূহুল আমিন ছালেহী, মাওলানা আ জ ম ওবায়দুল্লাহ্, মাওলানা আবদুল গফফার কাসেমী, ড. মাওলানা সৈয়দ মুহা. শরাফত আলী, মাওলানা কাজী মফিজ উদ্দিন, মাওলানা মো. রূহুল আমীন আফসারী ও মাওলানা হাফেজ মো. বোরহান উদ্দীন ছালেহী প্রমূখ।

;

গোনাহ মাফকারী দুই আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গোনাহ মাফকারী দুই আমল, ছবি : সংগৃহীত

গোনাহ মাফকারী দুই আমল, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দয়াময় আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন উসিলায় তার বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। বান্দাকে শুধু সেই ক্ষমা পাওয়ার জন্য কোরআন-হাদিসের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু আমলের কথা বলেছেন, যেগুলো গোনাহমাফকারী।

দুই ওমরার মাঝের গোনাহ মাফ
আমাদের দেশের অনেক মধ্যবিত্তেরও ওমরা পালনের তওফিক হয়। অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের হজের সামর্থ্য নেই, কিন্তু কষ্ট করে ওমরার টাকা যোগাড় করে ফেলেন। বহু কষ্টে জমানো অর্থ দিয়ে তারা বায়তুল্লাহ জিয়ারতের তৃষ্ণা মেটান, পূরণ করেন বুকের মাঝে লালিত দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।

আর যে সব ধনীদের আল্লাহতায়ালা বায়তুল্লাহর মহব্বত দান করেছেন, তারা তো বছরের বিভিন্ন সময় ছুটে যান বায়তুল্লাহয়। তেমনি যারা আরবের বাসিন্দা বা বায়তুল্লাহর প্রতিবেশী তারাও। যাকে আল্লাহতায়ালা অর্থ বা সুযোগ কিংবা সামর্থ্য দিয়েছেন সঙ্গে আল্লাহর মহব্বতও দান করেছেন সে কি বারবার বায়তুল্লাহর জিয়ারত না করে পারে?

তাছাড়া ওমরার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা গোনাহ মাফ করেন। এক উমরা তার পূর্ববর্তী ওমরার মাঝের গোনাহগুলো মিটিয়ে দেয়।

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এক ওমরা পূর্ববর্তী ওমরার মাঝের গোনাহগুলোর কাফফারা হয়ে যায়।’ -সহিহ বোখারি : ১৭৭৩

বায়তুল মাকদিসে নামাজের উদ্দেশ্যে গমন
বায়তুল মাকদিস। মুসলিমের প্রথম কেবলা। মসজিদে হারাম কেবলা হওয়ার পূর্বে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিরা ষোলো-সতেরো মাস এদিক ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। -সহিহ মুসলিম : ৫২৫

মসজিদে হারামের পরই আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগির উদ্দেশ্যে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। -সহিহ মুসলিম : ৫২০

পবিত্র মেরাজের সময় এখান থেকেই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঊর্ধ্বজগৎ ভ্রমণ শুরু হয়েছে। -সহিহ মুসলিম : ১৬২

এছাড়াও বায়তুল মাকদিসের রয়েছে আরও অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। কেউ যদি কেবল নামাজের উদ্দেশ্যে বায়তুল মাকদিসে যায় তাহলে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় সে গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন- হজরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম যখন বায়তুল মাকদিসের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করলেন তখন আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় চাইলেন- এক. আমাকে এমন ফয়সালার যোগ্যতা দিন, যা আপনার ফয়সালার অনুগামী হয়। দুই. আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন, যেমন রাজত্ব আর কাউকে দেওয়া হবে না। তিন. যে ব্যক্তি কেবল নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে এ মসজিদে আসবে সে সদ্যভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো গোনাহমুক্ত হয়ে যাবে।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তার দুটি আরজি তো কবুল করা হয়েছে; তিনি এ প্রথম দুটি লাভ করেছেন। আর আমি আশা করি, তার তৃতীয় আরজিও কবুল করা হয়েছে। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৪০৮

;

ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল গণির ইন্তেকাল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাওলানা আবদুল গণি, ছবি : সংগৃহীত

মাওলানা আবদুল গণি, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস (শায়খে সানি) মাওলানা আবদুল গণি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়। মরহুমের জামাতা মাওলানা মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাওলানা আবদুল গণি দেশের বরেণ্য আলেম, প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিস হিসেবে সমাদৃত। তিনি অনেক মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই সঙ্গে মুগদা ব্যাংক কলোনী মসজিদের খতিব ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মাওলানা আবদুল গণি। পরে রাত ২টায় তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে আইসিউতে নেওয়া হয়। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

২০১৬ সালে সর্বপ্রথম মরহুমের পাকস্থালিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তথন থেকেই দেশীয় চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারত যান। সেখানে কলকাতা সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধীনে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দেশে ফিরে আসেন। পরে গত কয়েক মাস আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। এতে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। অবশেষে গত সোমবার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

;

দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জেনে নিন দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী

জেনে নিন দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মাবলী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ০১-১৪ রমজান (১২ মার্চ-২৫ মার্চ ২০২৪) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ২৭তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিকদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগ্রহীরা আবেদনের নিয়মাবলি জেনে নিন

প্রতিযোগিতার বিষয় : তাজবীদসহ পূর্ণ কোরআন হিফজ।
প্রতিযোগীর বয়স : ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ২৫ বছর।
প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, সকাল ১০টা
চূড়ান্ত বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টা
পরীক্ষার স্থান : দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা।

শর্তাবলি
প্রার্থীকে ১ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি এবং জীবনবৃত্তান্তসহ নির্ধারিত নমুনা আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট www.islamicfoundation.gov.bd থেকে সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। তবে এর আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আবেদন ফি
আবেদনকারীকে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ শিরোনামে ৩০০/- (তিনশত) টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট দরখাস্তের সঙ্গে সংযোজন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়
আবেদনপত্র আগামী ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে কুরিয়ারে/সরাসরি/ [email protected] এই মেইলে পৌঁছাতে হবে অথবা www.mygov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৭০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন ১৪ বছর বয়সি বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি পান আড়াই লাখ দিরহাম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৭ লাখ।

এছাড়া প্রতিযোগিতায় গতবার প্রথমবারের মতো শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ নামে বাংলাদেশি একজন বিচারক বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ পান। তিনি মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইলমুল কেরাত ওয়াত তাজবিদ’ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাড়ি ঢাকার শ্যামপুরে।

;