করোনা: অস্ট্রেলিয়ায় পাব, ক্যাফে ও উপাসনালয় বন্ধ

  করোনা ভাইরাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: ব্লুমবার্গ

ছবি: ব্লুমবার্গ

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পাব, ক্লাব, উপাসনালয়সহ অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যার কোনো জরুরি প্রয়োজন নেই সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। রোববার (২২ মার্চ) মন্ত্রীসভার এক মিটিং এর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাব, ক্লাব, ক্যাফে, উপসনালয়সহ অন্যান্য জনসমাগম স্থান বন্ধ থাকবে। আর সোমবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে সুপারমার্কেট, পেট্রোল স্টেশন, ফার্মেসী ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।

শনিবার বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক জনসমাগম হওয়ার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়া সরকার।

এই ঘোষণা দিয়ে মরিসন বলেন, বন্ডি সমুদ্র সৈকতে যে অবস্থা বিরাজ করেছিল তা আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। এই ঘটনা থেকে আমরা আমাদের পলিসি আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সামনের দিকে পরিস্থিতি খারাপ হলে গোটা অস্ট্রেলিয়া লকডাউন করা হবেও বলে সতর্ক করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি স্কুল খোলা রাখার পক্ষে। কিন্তু অভিভাবকরা চাইলে তাদের সন্তানদের বাড়িতে রাখতে পারেন।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে দেশটিতে মারা গেছে ৭ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১৫ জন। যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে সিডনির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যেখানে আক্রান্ত শনাক্ত করা গেছে ৫৩৩ জন। অন্যদিকে ভিক্টোরিয়ায় ২৯৬ জন ও কুইন্সল্যান্ডে ২৫৯ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে।

এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিক্টোরিয়া ও অন্যান্য স্টেট তাদের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।

   

নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। ছবি: সংগৃহীত

শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজারবাইজানের সামরিক বিজয়ের কারণে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের নাগর্নো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে আর্মেনিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

আর্মেনিয়া বলেছে, তারা নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে আসতে চাওয়া ওই আর্মেনিয়ানদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক আর্মেনিয়ায় ঢুকবে, কারণ তারা আজারবাইজানের অংশে থাকতে চায় না এবং জাতিগত নির্মূলের শিকার হওয়ার ভয় পায়।

তিনি বলেন, ‘এই সম্ভাবনা বাড়ছে যে, নাগর্নো-কারাবাখের আর্মেনীয়রা তাদের মাতৃভূমি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়াকেই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হিসেবে দেখছে।’

রাশিয়ার নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, পাশিনিয়ান আরও বলেছেন, ‘নাগর্নো-কারাবাখ থেকে আসা আমাদের ভাই ও বোনদের স্নেহের সঙ্গে স্বাগত জানাবে আর্মেনিয়া।’

আর্মেনিয়া জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত কিন্তু বর্তমানে আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র দ্বারা শাসিত নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযানের পর গত বুধবার একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়৷

আজারবাইনের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ গত বৃহস্পতিবার বিজয় ঘোষণা করে বলেছেন, ‘স্বাধীন নাগর্নো-কারাবাখের ধারণাটি শেষ পর্যন্ত ইতিহাসেই সীমাবদ্ধ রইল।’

তিনি ওই অঞ্চলে বসবাসরত আর্মেনিয়ানদের অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, আর্মেনীয়দের মধ্যে যারা খ্রিস্টান, তারা চাইলে চলে যেতে পারে।

আজারবাইজান বলেছে, তারা অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে এবং ওই অঞ্চলকে একীভূত করবে। কিন্তু, আর্মেনীয়রা বলেছে যে তারা দমন-পীড়নের আশঙ্কা করছে।

কারাবাখ নেতৃত্বের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বলেন, ‘আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। ৯৯ শতাংশ আর্মেনিয়ান আমাদের ঐতিহাসিক ভূমি ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক।’

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ওই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের রাজনৈতিক একীকরণ, আর্থসামাজিক সমস্যাসহ তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সরাসরি সংলাপের জন্য বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী শিলা পেলান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, আজারবাইজানের শাসনের অধীনে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আর্মেনিয়ানদের প্রতি ঘৃণার একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে। এটা শুধু রাতারাতি শেষ হবে না। কারাবাখের আর্মেনিয়ানদের জন্য কোনো নিরাপত্তা বা অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলে বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই। তারা এখন খুব বিপদে আছে।’

এদিকে, নাগোর্নো-কারাবাখে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের একটি দল মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া।

অন্যদিকে, নাগোর্নো-কারাবাখের শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। তারা কর্নিডজোর আর্মেনিয়ান গ্রামে পৌঁছেছে।

মেট শেন গ্রাম থেকে আসা এক বৃদ্ধ ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল। শনিবার আমাদের রাইফেলগুলো নামিয়ে রাখতে হয়েছিল। তাই আমরা চলে এসেছি।’

আজারবাইজান বাহিনীর এক মাসব্যাপী অবরোধ নাগোর্নো-কারাবাখের অনেককে খাদ্য ও জ্বালানিহীন করে ফেলেছে।

আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে প্রায় ১৫০ টন মানবিক সহায়তা এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) কর্তৃক পাঠানো আরও ৬৫ টন ময়দা নাগর্নো-কারাবাখে পৌঁছেছে।

আইসিআরসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য, ফরেনসিক সুরক্ষায় বিশেষ কর্মীদের নিয়ে সেখানে আমাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছি।’

  করোনা ভাইরাস

;

নিজ্জার হত্যার বিষয়ে কানাডাকে তথ্য দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
নিজ্জার হত্যার প্রতিবাদে কানাডায় শিখদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

নিজ্জার হত্যার প্রতিবাদে কানাডায় শিখদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের খালিস্তানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় শেষ হওয়ার পথে। দুই দেশেই একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে এবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কানাডাকে তথ্য দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই তথ্যের মাধ্যমেই নিজ্জার হত্যায় ভারতের যোগসূত্র খুঁজে পায় কানাডা।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাদের জোট ‘ফাইভ আইজ পার্টনার্স’-এর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা কানাডাকে তথ্য সরবরাহ করেছিল। তবে, সেই সময় ওই হত্যাকাণ্ডে ভারতের যুক্ত থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত ছিল না যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে নিজ্জার হত্যা ইস্যুতে শনিবার ট্রুডো দাবি করেন, এ বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ আগেই নয়াদিল্লির কাছে তথ্য পাঠিয়েছে কানাডা। তবে ভারত জানিয়েছে, তথ্য জানালেও ওই তথ্যের বিপরীতে কোনও প্রমাণ ভারতকে দিতে পারেনি কানাডা।

অন্যদিকে কানাডার গোয়েন্দারা দাবি করেছেন যে, নিজ্জার একজন ধর্মগুরু ছিলেন। জবাবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিজ্জার কোনও ধর্মীয় গুরু ছিলেন না, বরং সে ছিল এক খুনি।

ভারত জানিয়েছে, নিজের ভাই রাঘবীরকে ভয় দেখিয়েই গুরুদ্বারের প্রধান হয়েছিলেন নিজ্জার।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গত জুন মাসের ১৮ তারিখ গুরুদ্বারের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় খালিস্তানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারকে। হরদীপকে ২০বারেরও বেশি গুলি করা হয়েছিল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পাঞ্জাবি অধ্যুষিত সারি অঞ্চলে থাকতেন নিজ্জার। বিগত কয়েক বছরে কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খালিস্তানি বিক্ষোভের নেপথ্যে ছিলেন এই হারদীপ।

  করোনা ভাইরাস

;

চীনের ভাসমান বাধার নিন্দা জানালো ফিলিপাইন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সেই ভাসমান বাধা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সেই ভাসমান বাধা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় চীন কর্তৃক ভাসমান বাধা স্থাপন করার ঘটনায় রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিপাইন।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ঘটনায় চীনের উপকূলরক্ষীকে অভিযুক্ত করে ফিলিপাইন বলেছে, এটি ফিলিপাইনের মানুষের ওই অঞ্চলে প্রবেশ করা এবং মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপকূলরক্ষী এবং মৎস্য ও জলজ সম্পদ ব্যুরো স্কারবোরো শোলের অংশে চীনের বাধা স্থাপনের কঠোর নিন্দা করে দেশটির কোস্টগার্ডের মুখপাত্র কমোডর জে তারিয়েলা এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘চীনের ওই ভাসমান বাধা আমাদের জেলেদের মাছ ধরা এবং জীবিকা অর্জন থেকে বঞ্চিত করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ফিলিপাইন কোস্টগার্ড এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে, আমাদের সামুদ্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং আমাদের সামুদ্রিক এলাকাগুলোকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।’

এদিকে, ম্যানিলায় চীনা দূতাবাস ওই ঘটনায় বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। কিন্তু, এই সাগর অঞ্চল ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত।

বেইজিং ২০১২ সালে স্কারবোরো শোল দখল করে ফিলিপাইনের জেলেদের মাছ ধরার জন্য অন্যত্র যেতে বাধ্য করে।

ফিলিপাইনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলে বেইজিং ম্যানিলার জেলেদের শোলেতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

কিন্তু, তার উত্তরসূরি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আবারও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

তারিয়েলা বলেন, ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড এবং মৎস্য ব্যুরো কর্মীরা শুক্রবার একটি নিয়মিত টহলের সময় শোলের কাছে আনুমানিক ৩০০ মিটার দীর্ঘ চীনের ওই ভাসমান বাধাটি খুঁজে পায়।

তিনি বলেন, শোলেতে যাওয়ার সময় চীনের উপকূলরক্ষীদের তিনটি বোট এবং একটি চীনা মেরিটাইম মিলিশিয়া সার্ভিস বোট ফিলিপাইনের একটি জাহাজকে বাধা দেয়।

ফিলিপাইনের মৎস্যজীবীরা বলছেন, চীন সাধারণত ওই ধরনের বাধা তখনই স্থাপন করে, যখন তারা ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক জেলেদের উপর নজরদারি চালায়।

  করোনা ভাইরাস

;

৩০টি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে ইরান, আটক ২৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের কর্তৃপক্ষ তেহরানে একযোগে ৩০টি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৮ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের বরাতে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা তাসনিম।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আটককৃত সন্ত্রাসীরা ইসলামিক স্টেট (আইএস) ছাড়াও সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে তাকফিরি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, জঙ্গি গ্রুপ ইরানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৭ সালের মারাত্মক জোড়া বোমা হামলাও রয়েছে। ইরানের সংসদ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।

অতি সম্প্রতি গত অক্টোবরে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর শিরাজের একটি শিয়া মাজারে হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হয়।

এদিকে, ইরানের আইনপ্রণেতারা বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংসদে একটি নতুন বিল পাস করেছেন। ওই বিলে ইসলামিক পোষাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের জন্য শাস্তির বিধান কঠোর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, ওই বিলে ইসলামিক পোষাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ইরনা জানিয়েছে, সংসদ ট্রায়াল সময় হিসাবে তিন বছরের জন্য হিজাব ও পর্দার সংস্কৃতি সমর্থনের জন্য ওই বিল অনুমোদন করেছে।

তবে, বিলটিকে আইনে পরিণত করতে এখনও ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন।

ইরানের নারীরা গত বছরের গণবিক্ষোভের পর থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোষাক কোডকে ক্রমবর্ধমানভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে।

পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ২২ বছর বয়সি মাহসা আমিনির দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর পরে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

ওই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ শত শত লোক নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই খসড়া আইনের অধীনে বিদেশী বা শত্রু সরকার, মিডিয়া, গোষ্ঠী বা সংস্থার উস্কানিতে হেডস্কার্ফ বা উপযুক্ত পোশাক পরতে ব্যর্থ হলে দেশটির নারীরা পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর প্রজাতন্ত্রের প্রথম বছর থেকে ইরানে নারীদের জন্য মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক।

কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ টহল সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পোষাক বিধি মানতে ব্যর্থ নারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জোরদার করেছে৷

পোশাক বিধি লঙ্ঘন নিরীক্ষণের জন্য সর্বজনীন স্থানে নজরদারি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  করোনা ভাইরাস

;