ইরানের জব্দ করা অস্ত্র ইউক্রেনকে দিবে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
জব্দ করা ইরানি অস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

জব্দ করা ইরানি অস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জব্দ করা হাজার হাজার ইরানি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের জন্য এখন প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সংকটে আছে ইউক্রেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে সংকট কাটাতে সাহায্য করবে এসব অস্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড ইতিমধ্যে ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা ১০ লাখ গোলাবারুদ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে পাঠিয়েছে।

এ খবর বুধবার (৪ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা জানিয়েছে, এসব গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে গত সোমবার।


সেন্ট্রাল কমান্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এসব গোলাবারুদ ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত ২০ জুলাই জব্দ করা এসব অস্ত্রের মালিকানা পায় সরকার।’

গত জুলাইয়ে মার্কিন বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা ৯ হাজারের বেশি রাইফেল, ২৮৪টি মেশিনগান, ১৯৪টি রকেট লঞ্চার, ৭০টির বেশি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ৭ লাখ গোলাবারুদের মালিকানা পেতে চায়। মন্ত্রণালয় জানায় যে মার্কিন নৌবাহিনী ইরানের কাছ থেকে এসব অস্ত্র জব্দ করে।

সেন্ট্রাল কমান্ডের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারওয়ান–১ নামের একটি জাহাজ থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে তারা। ইরানের আইআরজিসির পাঠানো এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় এসব জব্দ করা হয়।

   

গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে 'গণহত্যা‘র সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আল-শিফা ও ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পর উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘেরাও করেঝে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ভিতরে অবস্থানরত যেকেউ বের হলেই গুরি ছুঁড়ছে তারা। এ পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালেও 'গণহত্যার' সতর্কবার্তা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার  প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে একটি ভয়াবহ হত্যাকার্য হওয়ার আশঙ্কা করছে। হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক এবং স্নাইপাররা ঘিরে রেখেছে এবং যারা সরে যায় তাকেই গুলি করছে বলে জানিয়েছে।

হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহ জমা হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৭ হাজার ফিলিস্তিনি ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতিমধ্যে হাসপাতালের আশেপাশে ১০৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ভিতরে একটি গণহত্যার আশঙ্কা করছি, যেমনটি হয়েছিল আল-শিফা হাসপাতাল এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে।’ 

উল্লেখ্য, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল গাজা উপত্যকায় এখনও চালু থাকা মাত্র ছয়টি হাসপাতালের একটি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংস্থান এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রতিদিন শত শত আহতের চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে।

 

;

ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ নেই যুক্তরাষ্ট্রের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ আগ্রাসনে টানা প্রায় দুই বছর ধরেই চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসলেও  এই মুহুর্তে তা আর সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউসে ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ আটকে দিলে এমন ঘোষণা আসে। এতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ বাইডেন প্রশাসনের হাতে নেই বলে জানানো হয়। 

এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস যদি দ্রুত এই প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই।’

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য মোট ১০৬ বিলিয়নের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে  রিপাবনিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বাইডেন প্রশাসনকে এই অনুমোদন দেয়নি হাউস।

সোমবার হাউসের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কোনও জাদুর ঘড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনও অর্থ নেই। আর আমাদের হাতে সময়ও নেই।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস ওই প্য়াকেজে অনুমোদন না করে, তাহলে এই বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনও অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারি।  আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে পারবে না। তারা যেটুকু অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেটিও নষ্ট হবে।’

জতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যক সুলিভান বলেছেন, যদি প্যাকেজ অনুমোদিত না হয়, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে। তিনি সংবাদিকদের বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে, নাকি পুতিনের লাভ দেখবে।’



;

উগান্ডা-জিম্বাবুয়ের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় দেশটির ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির আওতায় যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অভিযুক্ত, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

কোনো ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে, সে বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ব্যক্তিকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা; গণতন্ত্র, শাসন বা মানবাধিকারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা। ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানো।

এর বাইরে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ব্যক্তিরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন বলে ঘোষণা করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা বা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেবল যেসব ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকবেন, তারাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত হতে পারেন। সোজা কথায়, যে বা যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন—২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় এবং তার পরে বা আগে—এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

উগান্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল ও ক্ষুণ্ন করায় ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় দেশটির সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় আমি উগান্ডার বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তাদের বা অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিসা-নীতির সম্প্রসারণ ঘোষণা করছি। যারা উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য বা প্রান্তিক সদস্যদের দমন করার লক্ষ্যে নীতি বা কর্মের জন্য দায়ী বা জড়িত তারাই এর লক্ষ্য।

এছাড়া পরিবেশকর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক, এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ সংগঠকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। জিম্বাবুয়ের মতোই বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণকারী ওই সব ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন।

;

উপকূল অতিক্রম করছে মিগজাউম



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৪.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০.২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধপ্রদেশের নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি বলেন, ঝড়টিকে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড্ডি জানান, নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত দলগুলো আরও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র সতর্ক করেছেন, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় শহরগুলোতে অত্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনামের মাঝামাঝি বাপাটলা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। কিছুটা উত্তাল থাকবে সমুদ্র উপকূল।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে সোমবার সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত হওয়ায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

;