আইনস্টাইনের বিরল পাণ্ডুলিপি নিলামে, বিক্রি হলো ১৪ কোটি টাকায় 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আলবার্ট আইনস্টাইন ও তাঁর বিরল পাণ্ডুলিপি। ছবি: সংগৃহীত

আলবার্ট আইনস্টাইন ও তাঁর বিরল পাণ্ডুলিপি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি বিরল অটোগ্রাফকৃত পাণ্ডুলিপি নিলামে ভারতীয় মুদ্রায় ১০ কোটি ৭০ লাখ রূপিতে বিক্রি হয়েছে, বাংলাদশি মুদ্রায় যা ১৪ কোটির উপরে। তবে যে ক্রেতা পাণ্ডুলিপিটি কিনেছেন, তার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। খবর এনডিটিভি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর চীনের বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে এক নিলামে বিক্রি হয়েছে পাণ্ডুলিপিটি। ‘বিংশ/একবিংশ শতাব্দির শিল্প বিক্রয় সন্ধ্যা’ নামের সেই নিলামের আয়োজক ছিল সাংহাইভিত্তিক নিলাম সংস্থা ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া সাংহাই। 

বিক্রি হওয়া পাণ্ডুলিপিটি আইনস্টাইনের বিখ্যাত আপেক্ষিকতাতত্ত্ব (থিওরি অব রিলেটিভিটি) সম্পর্কিত দু’টি প্রবন্ধ থিওরি অব স্পেশাল রিলেটিভিটি এবং থিওরি অব জেনারেল রিলেটিভিটির হাতে লেখা অনুলিপি। ‘থিওরি অব স্পেশাল রিলেটিভিটি’ তিনি লিখেছিলেন ১৯০৫ সালে এবং এর জন্য ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আর ‘থিওরি অভ জেনারেল রিলেটিভিটি’ লেখা হয়েছিল তার ১০ বছর পর অর্থাৎ ১৯১৫ সালে।

পাণ্ডুলিপিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে জার্মান ভাষায়। এর ৮ বছর পর এ দু’টি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

১৪ পৃষ্ঠার এই পাণ্ডুলিপিটিতে, কীভাবে তিনি আপেক্ষিকতাতত্ত্বের উদ্ভাবন করলেন, কীভাবে এই তত্ত্বটি কাজ করে এবং আরও কিছু তথ্য রয়েছে। এটিতে দুটি সমীকরণ এবং বৈজ্ঞানিক সূত্রের দুটি পৃষ্ঠা সহ স্থান-কাল ধারাবাহিকতার গঠন চিত্রিত একটি চিত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রাচীন পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই কোম্পানির মুখপাত্র রেবেকা ইয়াং জানিয়েছেন, আইনস্টাইনের এই বিরল পাণ্ডুলিপিটি, চীনের মূল ভূখণ্ডের ‘ক্লাসিক আর্ট’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ছিল । 

   

দক্ষিণ ও উত্তর গাজার সংযোগস্থলে ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৫৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর টানা হামলায় ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র উত্তর গাজা এবং দক্ষিণ গাজার সংযোগস্থলেই অন্তত ১৫৮ জন নিহত হয়েছে। এরা সবাই মূলত বেসামরিক। রাস্তার যানবাহন, হাসপাতাল ও অবকাঠামোয় পরিচালিত হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েরেলের সেনাবাহিনীরা মূলত রাফাহ সীমান্ত এলাকা এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অনবরত হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালটিকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

গাজার ৬টি হাসপাতালের মধ্যে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল একটি যেখানে এখনও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল বর্তমানে হাসপাতালটিকে ঘিরে রাখায় ভয়ে আতঙ্কিত হাসপাতালের শরণার্থীরা।

আল-শিফা ও ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পর উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ভিতরে অবস্থানরত যেকেউ বের হলেই গুলি ছুঁড়ছে তারা। এ পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালেও 'গণহত্যার' সতর্কবার্তা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ।

;

উন্মুক্ত আদালতে ইমরান-কোরেশির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইফার (রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস) মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশেষ আদালত। ১২ ডিসেম্বর দুজনকে আবারও অভিযুক্ত করা হবে বলে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিশেষ আদালত এ সিদ্ধান্ত জানান। 

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইমরান খান ও কোরেশিকে অভিযুক্ত করার পর থেকেই কারাগারের ভেতরে গোপনে মামলাটির শুনানি চলছিল। এভাবে গোপনে বিচার করাকে বেআইনি ঘোষণা করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পরে কারা চত্বরে উন্মুক্ত আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ আদালত।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারা চত্বরে বিশেষ আদালতে মামলাটির শুনানি চলছে। এ কারাগারেই আছেন ইমরান ও কোরেশি। মামলাটিতে পাকিস্তানের এক সাবেক সেনাপ্রধান ও এক মার্কিন কূটনীতিককে তলবের জন্য বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে আরজি জানিয়েছেন ইমরান।

ইমরান-কোরেশিকে অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মামলার শুনানিতে বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন রাষ্ট্রপক্ষকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের সরবরাহ করার নির্দেশনা দেন।

বিচারক বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ের আলোকে মামলার আসামিদের নতুন করে অভিযুক্ত করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক। পরে আদালত মামলার শুনানি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।




;

বছরের পর বছর হামলার পরিকল্পনা করেছিল হামাস : ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
হামাসের হামলার পর দক্ষিণ ইসরায়েলের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

হামাসের হামলার পর দক্ষিণ ইসরায়েলের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামাসের যোদ্ধাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথিগুলো থেকে জানা গেছে বছরের পর বছর পরিকল্পনা করে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ওই গোষ্ঠী।

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মৃত বা বন্দীকৃত ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের কাছ থেকে পাওয়া উপাদানগুলো হামলার জন্য বিশদ পরিকল্পনা প্রদর্শণ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের চেতনা ভেঙে ফেলার মতো একটি পদক্ষেপ।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাব, জিপিএস ডিভাইস, গোপ্রো ক্যামেরা, মানচিত্র এবং নোটবুক থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বোঝা গেছে কীভাবে ঘাঁটি এবং কিবুতজিমকে আক্রমণ করতে হবে, সে সম্পর্কে বছরের পর বছর পরিকল্পনা করেছে হামাস।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর শত শত হামাস এবং এর সহযোগী সংগঠনের যোদ্ধারা গাজা জঙ্গিরা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। ওই হামলায় ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ছিল।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামলার পর প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস।

জবাবে ইসরায়েল অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং একটি স্থল আক্রমণের মাধ্যমে হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজায় প্রায় ১৫,৯০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস গত ১ ডিসেম্বরে প্রতিবেদন করেছে যে, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা হামাসের হামলার একটি পরিকল্পনা জেনেছিল। কিন্তু, তারা এটিকে একটি কাল্পনিক বিষয় হিসাবে বিবেচনা করেছিল।

;

কঠোর ভিসা নীতির পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্য



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিবাসন রোধ করতে ভিসা নীতিকে আরও কঠোর করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি কঠোর ভিসা নীতি প্রসঙ্গে পাঁচ দফার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

যুক্তরাজ্য সরকারের চলতি বছরের নভেম্বরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে দেশটিতে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ অভিবাসন হিসেবে প্রবেশ করেছে, যা যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এর ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় নতুন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।

জেমস ক্লেভারলি ভিসা নীতিতে যেসব পরিবর্তনের কথা বলেছেন সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে- অভিবাসী দক্ষ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি। আগে যেখানে তাদের ন্যূনতম বেতন ছিল ২৬ হাজার ২০০ পাউন্ড, এখন সেটি বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর এই বেতন বৃদ্ধির ফলে গত বছর যে তিন লাখ নতুন অভিবাসী যুক্তরাজ্যে আসার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন, তারা আর আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।

এছাড়া নতুন এই পরিকল্পনায় পারিবারিক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আয়ের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাজ্যে যেতে হলে আবেদনকারীর ন্যূনতম আয় থাকতে হবে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড।

আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের লাগাম টানা প্রয়োজন। বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ভিসার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অভিবাসনের তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে অভিবাসন কমিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা।

দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যায় এমন বৃদ্ধি সুনাক ও ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ তারা ২০১০ সাল থেকেই অভিবাসন কমানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

এদিকে, নতুন এই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ইভেট কুপার বলেছেন, সোমবারের ঘোষণা এটিই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, অভিবাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি- উভয় ক্ষেত্রেই বছরের পর বছর ধরে টোরিরা কীভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, অভিবাসীদের সংখ্যায় লাগাম টানা উচিত, অথচ এ বিষয়ে কনজারভেটিভরা আর উল্লেখযোগ্য কোনও টেকসই সংস্কার আনতে পারছে না।

অন্যদিকে, ব্রিটেনের ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসনের জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিস্টিনা ম্যাকানিয়া নতুন অভিবাসন নীতিকে নিষ্ঠুর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যার ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে।

তিনি বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করা হয়েছিল, কারণ উভয় সেক্টরেই কর্মীদের যথেষ্ঠ অভাব রয়েছে। হাসপাতাল ও কেয়ার হোমগুলো এসব অভিবাসী শ্রমিকদের ছাড়া কাজ চালাতে পারবে না।’

তবে নতুন এই পরিকল্পনাকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক সংসদ সদস্য স্বাগত জানিয়েছেন।

;