মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারের অন্তত ২০০ জন মারা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি। রোববার ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটি ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ে এই এলাকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের কারণে এখনও রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বু মা গ্রামের প্রশাসক কার্লো বলেন, শতাধিক নিখোঁজ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।  পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের ৯০% ধ্বংস হয়েছে।

সামরিক জান্তা সোমবার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। তবে কোথায় নিহত হয়েছে তা উল্লেখ করেনি।

ঝড়ে মানুষের মৃত্যু ছাড়াও ঘর বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এতে ভেঙে গেছে হাজার হাজার গাছপালা।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাখাইন রাজ্য। এখনও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের বাসিন্দারা।

বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১১টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় ১৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন অ্যালিন ইয়াং হতাহতের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করছে। তাদের হিসাবে, সিত্তওয়েতে ১২টি রোহিঙ্গা শিবির রয়েছে। যেখানে ১০০,০০০-এরও বেশি লোক বাস করে।

ঝড়ের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণে অনেকে মারা গেছে। প্রবল বাতাসের কারণে গাছ ভেঙে পড়ায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবকরা বলেছেন, তারা ১১০টি মৃতদেহ দাফন করেছেন, যার মধ্যে ৩০টি শিশু রয়েছে।

আলিন ইয়াংয়ের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, “আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। আরও মৃত্যু হবে, কারণ বন্যার কারণে শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।”

এএফপি জানিয়েছে, সিত্তওয়ের বু মা ও নিকটবর্তী খাউং ডোকে কার নামে আরও দুটি রোহিঙ্গা গ্রামে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিবিরের বাসিন্দারা বলেছেন, মিয়ানমারের জান্তা সৈন্যরা ঝড়ের আগে তাদের সরিয়ে নিতে ১০টি ট্রাকে এসেছিল। কিন্তু অনেকে অবিশ্বাসের কারণে সরে যেতে অনিচ্ছুক ছিল। আবার অনেকে মনে করেছে, ঝড় ততটা গুরুতর হবে না। সৈন্যরা কিছু বয়স্ক লোককে অস্থায়ী আশ্রয়ে নিয়ে ফিরে যায়।

সামরিক শাসনের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেত কায়ে পাইন গ্রামের একজন রোহিঙ্গা ব্যক্তি বলেন, “থাই চাউং এবং কাউং টাকা গ্রামে মাত্র দুটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৫০০ জন। অন্যরা স্কুল এবং হাসপাতালে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র যা ইতিমধ্যে পূর্ণ ছিল। যদি পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থাকত, তাহলে মৃতের সংখ্যা এত বেশি হতো না।”

জাতিসংঘের শরণার্থী কার্যালয় জানিয়েছে, ঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে না আসা মানুষেরাই মারা গেছেন বেশি।

স্থানীয় উদ্ধারকারী দল মায়িতা ইয়াংচি ফাউন্ডেশনের জানায়, রাজ্যের রাজধানীতে, পাঁচজন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে একজন নারী মারা গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কারণ সেই ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।

মিয়ানমারের সরকার-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাথেডাং টাউনশিপের একটি গ্রামে একটি মঠ ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি ভবন ধসে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সামরিক জান্তা সোমবার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। তবে কোথায় নিহত হয়েছে তা উল্লেখ করেনি।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, তাদের প্রাথমিক অনুমান প্রায় ৩.২ মিলিয়ন মানুষ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার ওসিএইচএ-এর তথ্যে বলা হয়েছে, “রাখাইনের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ছয়টি এলাকায় সহায়তা দেওয়া দরকার। এখন সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদন পেতে হবে।”

এদিকে রাখাইনে, স্থানীয় উদ্ধারকারী দল ও স্বেচ্ছাসেবকদের মতে, বুধবার পর্যন্ত সরকার ও সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ ও সহায়তা এখনও পৌঁছায়নি।

জান্তা মিডিয়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনে একটি জাহাজে রাখাইনের জন্য ত্রাণ সরবরাহের ফুটেজ প্রচার করেছে।

সিত্তওয়েতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা মিইত্তা ইয়াংচি ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের চালের মজুদ কমছে। এখানে আরও সহায়তা দরকার।”

একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, “কোন সাহায্য নেই, জাতিসংঘ নেই। আমরা নিজেরাই আছি।”

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;