স্কটল্যান্ডে প্রথম মুসলিম শাসক হামজা ইউসুফ



সাঈদ চৌধুরী
হামজা ইউসুফ

হামজা ইউসুফ

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কটল্যান্ডে সরকার প্রধান তথা ‘ফার্স্ট মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন প্রথম কোন মুসলিম রাজনীতিক। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি-এসএনপির সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ। ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশের প্রথম মুসলিম শাসক হতে চলেছেন কৌশলী ও সাহসী সংগঠক হামজা ইউসুফ।

ব্রিটেনসহ ইউরোপ জুড়ে এটা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মুসলিম কমিউনিটি এতে বেশ উৎফুল্ল। বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব হামজা ইউসুফকে প্রাণখােলা অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

এর আগে, ২০২১ সালের মে মাসে লন্ডনের মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা সাদিক খান। বর্তমান সরকার দল কনজারভেটিভ পার্টির সাউন বেইলিকে হারিয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ-পাকিস্তানি সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য সাদিক খান যখন ২০১৬ সালে প্রথম লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন, তিনি ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোন দেশের রাজধানী শহরের প্রথম মুসলমান মেয়র। তখন নতুন প্রজন্মের মুসলিম তরুণেরা মূলধারার রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণে আশাবাদী হয়েছেন।

শুধুমাত্র মুসলিম কমিউনিটি নয়, হামজা ইউসুফের বিজয়ে ব্রিটেনের এশিয়ান রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সয়লাব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এশিয়ান রাজনীতিক ঋষি সুনাক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। ঋষি সুনাকই প্রথম একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীর সন্তান, একজন অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষ পদে বসেছেন।

২০২১ সালে স্কটল্যান্ডে আরেক মুসলিম রাজনীতিক আনাস সারওয়ার স্কটিশ লেবার পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এশীয় বংশোদ্ভূত এবং মুসলমান প্রতিনিধি হিসেবে আনাসই প্রথম ব্যক্তি ব্রিটেনের কোনো বড় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন। গ্লাসগো সেন্ট্রাল আসনের স্কটিশ পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই আসনে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন আনাস সারওয়ারের বাবা ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম এমপি মোহাম্মদ সারওয়ার। ২০১০ সালে বাবার আসনে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন আনাস সারওয়ার।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত একমাত্র স্কটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ফয়ছল চৌধুরী এমবিই জানালেন, স্কটল্যান্ডে এখন ৪ জন মুসলিম এমপি। সকলেই স্কটল্যান্ডের স্বার্থ এবং নিজেদের শিকড়ের সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি-এসএনপির সর্বোচ্চ নেতা এবং স্কটল্যান্ডে ‘ফার্স্ট মিনিস্টার’ নির্বাচিত হওয়ায় তিনি হামজা ইউসুফকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একজন সাহসী, অমায়িক ও গণমুখী রাজনীতিক হিসেবে হামজা ইউসুফের সাফল্য তিনি প্রত্যাশা করেন।

ফয়ছল চৌধুরী এমবিই আরেও বললেন, সেখানকার পার্লামেন্ট সদস্য ও লেবার পার্টির নেতা আনাস সারোয়ার এবং মুসলিম নারী সদস্য কোকাব স্টুয়ার্ডও রাজনীতিতে ভাল করছেন। মুসিলম এমিপদের মধ্যে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য রয়েছে। এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য চারজন বাংলাদেশি এমিপ রয়েছেন। তারা হলেন, রুশনারা আলী, রূপা হক, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও আফসানা বেগম ৷ ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপির সংখ্যাও কম নয়।

এদিকে হামজা ইউসুফের অতীত নিয়ে মূলধারার সংবাদ পত্রে নানা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তরুণ এই সংগঠক গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতিতে ডিগ্রি নিয়েছেন। তারপরই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ইরাকে বুশ-ব্লেয়ারের আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন থেকেই হামজার রাজনীতিতে পদার্পণ। অল্পদিনে সর্বকনিষ্ঠ স্কটিশ এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন। মুসলিম এবং সংখ্যালঘু হিসেবেও তিনি ছিলেন প্রথম সংসদ সদস্য।

একজন মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে নিজ দলে এবং স্কটিশ পার্লামেন্টে হামজা ইউসুফ অসাধারণ গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। প্রায় সকল মহল থেকেই তার এই বিচক্ষণতার প্রশংসা হচ্ছে। ২০১২ সালে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। সেই সময়ে স্কটিশ সরকারে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু ছিলেন হামজা ইউসুফ। ২০১৮ সালে তিনি বিচারমন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন।

হামজা ইউসুফ ৫২.১ শতাংশ ভোট পেয়ে এসএনপির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থ সচিব কেট ফোর্বস পেয়েছেন ৪৭.৯ শতাংশ ভোট। এর আগে, প্রথম গণনায় প্রাক্তন মন্ত্রী অ্যাশ রেগান ১১.১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। হামজা ইউসুফ সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার স্টার্জনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তার জয় অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল।

গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণকারী হামজা ইউসুফের বাবা পাকিস্তান থেকে ১৯৬০ এর দশকে স্কটল্যান্ডে যান। আর তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হামজা ইউসুফের জয়ের খবরে মা শায়েস্তা ভুট্টো ও স্ত্রী নাদিয়া এল নকলার আনন্দাশ্রু মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। হামজা ইউসুফ প্রথম স্কটিশ এশীয়, যিনি স্কটল্যান্ডের 'ফার্স্ট-মিনিস্টার' হলেন। তার বিজয় স্কটল্যান্ডের নেতৃত্বের 'প্রজন্মগত পরিবর্তনের' ইঙ্গিত দেয় বলেও সংবাদ পর্যালোচনায় আলোচিত হচ্ছে।

গতকাল এডিনবার্গে হামজা ইউসুফ বলেন, আমরা হচ্ছি সেই প্রজন্ম, যারা স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করবো। আমাদেরকে অবশ্যই দলের মধ্যে সব বিভাজন দূর করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকেল দল হিসেবে আমরা হব সব থেকে শক্তিশালী। আর আমাদের ঐক্যই কেবল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা উপহার দিতে সক্ষম হবে।

লেখক: লন্ডন প্রবাসী। সাংবাদিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক।

ভারতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলার পর একাধিক কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। অনেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিকে। তিনটি ট্রেনের এই সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল জারি রয়েছ।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভরতি অনেক যাত্রীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই আবহে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিকে এই দুর্ঘটনার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নিয়ে। এই আবহে ঠিক কী কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক রেল কর্মকর্তা জানান, প্রথমে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই সময় অন্য লাইনে ছিল ডাউন যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচের সঙ্গে এই আবহে ধাক্কা লাগে বেঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটির। এদিকে এই দুর্ঘটনার পর সারা রাত কেটে গেলও এখনও দুর্ঘটনাস্থলে চলছে উদ্ধারকাজ।

জানা গেছে, আহতদের অনেককেই বালাসোরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে যাদের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, তাদের কটকের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

;

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭, আহত ৯০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২ জুন) ওডিশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পথে ওডিশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় এই ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হতে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘণ্টাখানেক। এতে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ে।

ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, ঘটনাস্থল বালেশ্বরে ২০০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

এই শতাব্দীতে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওড়িশা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত গুরুতর আহত ২০০ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‌ লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া ১৫টি বগির মধ্যে এখনও তিনটি এসি কামরা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ওডিশার ত্রাণবিষয়ক বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ১৩২ জনকে আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটবার্তায় বলেন, ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়া হবে।

;

ওড়িশায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ৩০, আহত ১৭৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ওড়িশায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছেন।

শনিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শনিবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সোয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহানগা বাজারে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়।

ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ বাহিনী এনডিআরএফ শতাধিক কর্মী আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন।

;

কাশ্মিরে পর্যটকবাহী বাস খাদে, নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি পর্যটকবাহী বাস। এতে নিহত অন্তত ১০ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে উলটে পড়ে পর্যটকদের একটি বাস। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএনআইয়ের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে পর্যটকবাহী দূরপাল্লার বাসটি কাটরার দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসে চড়ে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেরই আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জম্মুর ডেপুটি কমিশনার অভনি লাভাসা জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝাজ্জার কোটলি নামের এলাকায় জাতীয় সড়কের কাছে গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ।

সিআরপিএফ কমান্ডান্ট অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে জম্মু ও কাশ্মিরে। পাহাড়ি রাস্তা ও খাড়া বাঁকের জন্য কাশ্মিরের পথে গাড়ি চালানো সমতলের তুলনায় অনেক কঠিন। সেখানে মুহূর্তের অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

;