রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিপুল ভোটে নিন্দা প্রস্তাব পাস
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এতে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবটি ১৪১টি দেশ সমর্থন করে, ৩১টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল। রাশিয়াসহ সাতটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। খবর বিবিসির।
এদিকে ভিয়েনায় একটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংস্থার সংসদীয় অধিবেশনে রাশিয়ার ভাষণ চলাকালে বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি ওয়াক আউট করেন।
আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীর একদিন আগে এসেছিল অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপে (ওএসসিই) ওয়াকআউট এবং জাতিসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন আসে।
জাতিসংঘের ভোটে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করেছে। এটি দখল করা দেশের অংশগুলোতে রাশিয়ার যে কোনও দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সেপ্টেম্বরে মস্কোর এমপিরা ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে অবৈধভাবে সংযুক্ত করার পক্ষে ভোট দেন।
জাতিসংঘ চায়, রাশিয়ান ফেডারেশন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে তার সব সামরিক বাহিনীকে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে প্রত্যাহার করে নেবে এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
যদিও রেজুলেশনটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর দ্বারা বাধাহীনভাবে পাস হয়েছিল, সেখানে কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ বিরত ছিল।
ভোটে বিরত থাকা ৩২টি দেশের মধ্যে চীন, ভারত, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল।
বিপক্ষে ভোট দেওয়া সাতটি দেশ হলো- রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়া।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, ভোট এটা স্পষ্ট করেছে যে রাশিয়াকে অবশ্যই তার অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
‘রাশিয়া ইউক্রেনের জন্য তার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার এক বছর পর বিশ্বব্যাপী সমর্থন জোরালো রয়েছে,’ টুইটে লেখেন তিনি।
এর আগে ভিয়েনায় ওএসসিইতে রুশ প্রতিনিধি দলকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
রাশিয়ার কিছু কর্মকর্তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা সত্ত্বেও মস্কো থেকে আমন্ত্রণ জানানোর অস্ট্রিয়ার সিদ্ধান্তের কারণে সেশনটি সম্পূর্ণভাবে বয়কট করে ইউক্রেন ও লিথুয়ানিয়া।