হন্তারক শৈত্য কবলিত উত্তর আমেরিকা!

হন্তারক শৈত্য কবলিত উত্তর আমেরিকা!
হন্তারক শৈত্য কবলিত উত্তর আমেরিকা!
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডো আঘাতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে এ টর্নেডো আঘাত হানে। বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিসিসিপি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এমইএমএ) জানিয়েছে, পশ্চিম মিসিসিপির সিলভার সিটিতে ঝড়টি আঘাত হানার পর উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আহতদের উদ্ধার করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসিসিপির বেশ কয়েকটি মফস্বল শহরে এ ঘূণিঝড় আঘাত হেনেছে। যেখানে গাছ এবং বিদ্যুতের পিলারগুলো উপড়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী এ ঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে।
মিসিসিপির বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক শিলা ও ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। শিলাগুলোর আকৃতি ছিল গলফ বলের সমান।
ঠিক কতগুলো টর্নেডো ওই এলাকায় আঘাত হেনেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও গতকাল জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস দূরবর্তী বেশ কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছিল।
পশ্চিম মিসিসিপির একটি ছোট শহর রোলিং ফর্কের বাসিন্দারা বলেছেন, একটি টর্নেডো তাদের বাড়ির পেছনের জানালাগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্র্যান্ডি শোয়াহ সিএনএনকে বলেছেন, আমি কখনো এ রকম কিছু দেখিনি...এটা একটা ছোট ও সুন্দর শহর ছিল। এখন আর কিছুই নেই।
ছবি: সংগৃহীত
বেসামরিক জনবহুল এলাকায় বিমান হামলার পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে এতথ্য জানিয়েছে।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি এবং ছয়টি সংস্থার ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জঙ্গি বিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা এবং তা আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে সংকট চলছে।
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী।
মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যূত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা এবং সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা উত্তোরত্তর জনবহুল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।
দেশটির সামরিক শাসকরা নিজেদের জনগণের ওপরই দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আপতিত করছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন।
ছবি: সংগৃহীত
‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
ওই আইন বলছে, সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়া রাহুল অন্তত আগামী ছয় বছর কোনো ভোটে লড়তে পারবেন না।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলায় দুই বছরের সাজা দেয় দেশটির আদালত।
একই সঙ্গে আপিল করার জন্য তাকে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছে আদালত। গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত রাহুলের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক বিধায়ক। সুরাটের আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল চার বছর ধরে।
বৃহস্পতিবার সকালে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গুজরাটের সুরাতে গিয়ে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের নেতারা।
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতার করা হলে যুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) টেলিগ্রামে এক ভিডিওবার্তায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয়েছিল। সম্প্রতি আদালত সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছে। যুদ্ধের জন্য এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটানোর দায়ে পুতিনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই হুঁশিয়ারি বার্তা দেন মেদভেদেভ।
দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট গেলে তাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে রাশিয়া পুরোদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা করবে। বস্তুত, উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন—ধরা যাক পুতিন জার্মানি গেলেন এবং সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হলো। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সব মিসাইল বার্লিনের পার্লামেন্ট লক্ষ্য করে ছোঁড়া হবে। বার্লিন ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’
হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে এই রায় ঘোষণার পরে এই প্রথম রাশিয়ার কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুললেন। মেদভেদেভ জানান, আন্তর্জাতিক আদালতের প্রসিকিউটর করিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। যেভাবে পুতিনের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে, তা ভুল। কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না। এভাবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায় না।
করিম খান উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছেন বলে রাশিয়ার দাবি। এই কারণেই তার বিরুদ্ধে রাশিয়ার কোর্টে মামলা শুরু হয়েছে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৬টি দেশ পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়াকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু হাঙ্গেরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই রায় মানছে না। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া তারা পছন্দ করছে না। পুতিন হাঙ্গেরি গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে, জার্মানি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে খুশি বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।