ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত করার ঘোষণা পুতিনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভোটের পর ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুতিন এই ঘোষণা দেন। সেখানকার বাসিন্দাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুতিন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে যুক্ত করার রাশিয়ার পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি একে অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ্য করেন।

জাতিসংঘের প্রধান সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ লড়াইয়ের বিপজ্জনক অবনতি এবং তা শান্তির সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করবে।

রুশ বাহিনী–নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ৯৯ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে দাবি মস্কোর। এ চার অঞ্চল ইউক্রেনের গোটা ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই গণভোটকে মস্কোর ‘সাজানো’ এবং অবৈধ বলে দাবি করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে দেশটিকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের অধিবাসীদের রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার ‘পূর্ণ অধিকার রয়েছে’। তাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

   

চীনে কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝো প্রদেশে রোববার একটি কয়লা খনিতে ভযাবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।

পানঝৌ সিটি সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কনভেয়ার বেল্টে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগুনে ১৬ জন লোক খনিতে আটকা পড়েছিল।

অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কী ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিশদ কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, গুইঝো পাঞ্জিয়াং রিফাইন্ড কোল কোম্পানির ফাইলিং অনুসারে, রোববার দক্ষিণ চীনের গুইঝো প্রদেশের পানঝৌ শহরে একটি কয়লা খনি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ৩হাজার ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পানঝৌ শহরের এই কয়লা খনিটি অবস্থিত।

চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ। দেশটিতে হাজার হাজার কয়লা খনি রয়েছে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারের চেয়ে চীনে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ইতিমধ্যে অনেক বেশি। ২০৩০ সাল নাগাদ চীনে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ক্ষতিকর গ্যাসের বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে।

;

রুশ শিশুদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন পুতিন!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে; এরপরে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই যুদ্ধ। ভয়াবহ এই যুদ্ধে দুই দেশই কমবেশি সেনা হারিয়েছে। এমন অবস্থায় গত বছরের শেষের দিকে স্কুলে স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যার অংশ হিসেবে বর্তমানে রুশ স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের কলাকৌশল প্রশিক্ষণ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত আমলে স্কুলে স্কুলে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে পুরনো আমলের সেই প্রশিক্ষণ আবার চালু করল কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার স্কুলের খেলার মাঠগুলো এখন হয়ে উঠছে প্যারেড গ্রাউন্ড।

ইতিমধ্যে রাশিয়ায় নার্সারি গ্রেডের শিশুরা সামরিক ইউনিফর্ম পরে মার্চিং অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া তুলনামূলক বড় বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে কিভাবে পরিখা খনন করতে হয়, গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয় এবং গোলাবারুদ দিয়ে গুলি করতে হয়।

সিএনএন জানায়, দেশটির সকল স্কুলগুলোতে শিশু-কিশোরদের ‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ গঠন করা হচ্ছে এবং মাতৃভূমির প্রতিরক্ষার ওপর জোর দেওয়ার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম পর্যন্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে। যাকে বলে রাশিয়ার শিশুরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

এক ঘোষণায় রুশ শিক্ষামন্ত্রী সের্গেই ক্রাভতসোভ জানান, রাশিয়ান স্কুল এবং কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার ‘সামরিক-দেশপ্রেমিক’ ক্লাব রয়েছে প্রচুর লোক তাদের কাজে অংশ নেয়।

তিনি বলেন, এই ক্লাবগুলো সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টার অংশ। এর আওতায় স্কুল পাঠ্যক্রমের আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যক্রমের আওতায় সামরিক-দেশপ্রেমিক মূল্যবোধের উপর বাধ্যতামূলক ক্লাস আছে। এছাড়া হালনাগাদ ইতিহাসের বইগুলোতে রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের কথা বলা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন

গত আগস্টে পুতিন স্কুলগুলোতে ‘মাতৃভূমির সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষার মৌলিক বিষয়গুলো জানতে একটি নতুন বাধ্যতামূলক কোর্স চালু করার জন্য আইনে স্বাক্ষর করেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয় সামরিক ইউনিটে ভ্রমণ, সামরিক-ক্রীড়া গেমস, প্রবীণদের সঙ্গে আলোচনা ও ড্রোনের বিষয়ে জানতে স্কুলগুলোতে একটি কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রচার করে।

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘অভিজ্ঞ সামরিক ইউনিট অফিসার বা প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় ফায়ারিং লাইনে’ লাইভ গোলাবারুদ ব্যবহার করতে শেখানো হচ্ছে।

সিএনএনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাত বা আট বছর বয়সী শিশুরা মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। জুলাই মাসে বেলগোরোডের শিশুরা যে অনুশীলনে অংশ নিয়েছিল তার মধ্যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহার, বিচ্ছিন্ন একটি মেশিনগান একত্রিত করা এবং প্রতিবন্ধকতা কীভাবে টপকানো যায় তার প্রশিক্ষণ। বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ নিয়মিত স্কুলছাত্রী এবং স্কুলে যাওয়া শুরু করবে এমন শিশুদের অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মে মাসে ক্রাসনোদরে সাত বা আট বছর বয়সী কয়েক ডজন শিশু সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্যারেড করেছে। ভোলোগদা শহরে অনুষ্ঠিত একটি কুচকাওয়াজে একটি ছোট শিশু অভিবাদন জানিয়ে একজন কর্মকর্তাকে বলেছিল, কমরেড প্যারেড কমান্ডার! কুচকাওয়াজ প্রস্তুত। আমি কমান্ডার উলিয়ানা শুমেলোভা।

;

নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূতসহ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা ফ্রান্সের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নাইজারের সামরিক নেতারা। তারা এটিকে তাদের সার্বভৌমত্বের বিজয় হিসেবে দেখছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানান, নাইজারে অবস্থানরত ১৫০০ ফরাসি সেনা আগামী অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার শুরু হবে। বছরের শেষ নাগাদ তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে।

কিন্তু এটি কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি ম্যাক্রোঁ।

গত ২৬ জুলাই নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে রাজধানীতে থাকা ফরাসি সেনারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়ামেতে অবস্থিত সেনা ঘাঁটিকে ঘিরে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে নাইজারের জান্তা সরকার।

;

নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। ছবি: সংগৃহীত

শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজারবাইজানের সামরিক বিজয়ের কারণে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের নাগর্নো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে আর্মেনিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

আর্মেনিয়া বলেছে, তারা নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে আসতে চাওয়া ওই আর্মেনিয়ানদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক আর্মেনিয়ায় ঢুকবে, কারণ তারা আজারবাইজানের অংশে থাকতে চায় না এবং জাতিগত নির্মূলের শিকার হওয়ার ভয় পায়।

তিনি বলেন, ‘এই সম্ভাবনা বাড়ছে যে, নাগর্নো-কারাবাখের আর্মেনীয়রা তাদের মাতৃভূমি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়াকেই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হিসেবে দেখছে।’

রাশিয়ার নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, পাশিনিয়ান আরও বলেছেন, ‘নাগর্নো-কারাবাখ থেকে আসা আমাদের ভাই ও বোনদের স্নেহের সঙ্গে স্বাগত জানাবে আর্মেনিয়া।’

আর্মেনিয়া জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত কিন্তু বর্তমানে আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র দ্বারা শাসিত নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযানের পর গত বুধবার একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়৷

আজারবাইনের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ গত বৃহস্পতিবার বিজয় ঘোষণা করে বলেছেন, ‘স্বাধীন নাগর্নো-কারাবাখের ধারণাটি শেষ পর্যন্ত ইতিহাসেই সীমাবদ্ধ রইল।’

তিনি ওই অঞ্চলে বসবাসরত আর্মেনিয়ানদের অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, আর্মেনীয়দের মধ্যে যারা খ্রিস্টান, তারা চাইলে চলে যেতে পারে।

আজারবাইজান বলেছে, তারা অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে এবং ওই অঞ্চলকে একীভূত করবে। কিন্তু, আর্মেনীয়রা বলেছে যে তারা দমন-পীড়নের আশঙ্কা করছে।

কারাবাখ নেতৃত্বের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বলেন, ‘আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। ৯৯ শতাংশ আর্মেনিয়ান আমাদের ঐতিহাসিক ভূমি ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক।’

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ওই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের রাজনৈতিক একীকরণ, আর্থসামাজিক সমস্যাসহ তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সরাসরি সংলাপের জন্য বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী শিলা পেলান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, আজারবাইজানের শাসনের অধীনে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আর্মেনিয়ানদের প্রতি ঘৃণার একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে। এটা শুধু রাতারাতি শেষ হবে না। কারাবাখের আর্মেনিয়ানদের জন্য কোনো নিরাপত্তা বা অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলে বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই। তারা এখন খুব বিপদে আছে।’

এদিকে, নাগোর্নো-কারাবাখে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের একটি দল মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া।

অন্যদিকে, নাগোর্নো-কারাবাখের শরণার্থীদের প্রথম দল রবিবার আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। তারা কর্নিডজোর আর্মেনিয়ান গ্রামে পৌঁছেছে।

মেট শেন গ্রাম থেকে আসা এক বৃদ্ধ ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল। শনিবার আমাদের রাইফেলগুলো নামিয়ে রাখতে হয়েছিল। তাই আমরা চলে এসেছি।’

আজারবাইজান বাহিনীর এক মাসব্যাপী অবরোধ নাগোর্নো-কারাবাখের অনেককে খাদ্য ও জ্বালানিহীন করে ফেলেছে।

আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে প্রায় ১৫০ টন মানবিক সহায়তা এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) কর্তৃক পাঠানো আরও ৬৫ টন ময়দা নাগর্নো-কারাবাখে পৌঁছেছে।

আইসিআরসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য, ফরেনসিক সুরক্ষায় বিশেষ কর্মীদের নিয়ে সেখানে আমাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছি।’

;