নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি, এরা কারা?



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন-কনস্যুলেটে চেনামুখী অতিথি

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াতকারী চেনামুখী অতিথিদের নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মী ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মীসহ চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের উপস্থিতি দেখে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ যখন ভয়াবহ আর্থিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসছে ডলারের রিজার্ভ। রাষ্ট্রীয় ব্যয় সংকোচনের আহবানসহ দুর্ভিক্ষের আগাম বার্তা দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় সভার নামে পৃথক পৃথকভাবে নৈশ্যভোজ (ভুড়িভোজ)-এর ব্যবস্থা করা হয়। এতে অংশ নেন সামাজিক কথিত নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীরা। শুধু নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়েই নয়, এমন দৃশ্য দেখা যায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের নানা অনুষ্ঠানাদিতেও। এ নিয়ে নিউইয়র্কের সর্বত্রই চলছে আলোচনার ঝড়।

শনিবার নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে সরকার ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তার দূতাবাসের দরজা সকল প্রবাসীর জন্য খোলা। পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। স্বাধীনতার পঞ্চশ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা তুলে ধরতে হবে। এজন্য সকল প্রবাসীকে দলমতের ঊর্ধ্বে সকলকেই একজন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গত সেপ্টেম্বরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এটাই প্রথম মতবিনিময়। এর আগে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কনস্যুলেটে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বৈধপথে প্রবাসীদের দেশে বেশি বেশি অর্থ প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কনস্যুলেট বা দূতাবাসের করণীয় সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসাইন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে নিযুক্ত মিনিস্টার (প্রেস) নূর-এ ইলাহী মিনা ও সোনালী এক্সচেঞ্জ ইনক’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবশ্রী মিত্র উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গত কয়েক বছর যাবত নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিমাসেই নানা ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ্যভোজের ব্যবস্থা। এসব অনুষ্ঠানে বরাবরই দলীয় নেতাকর্মীসহ চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঘুরে ফিরে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তাদের চেহারাই দেখা যায়। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের আওতাধীন ৮টি অঙ্গরাজ্য থাকলেও বাকি ৮টি অঙ্গরাজ্যের কোন অতিথিকেই কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় না।

শুধু তাই নয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বেলায়ও একই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যাম্পশয়ার, মেইন, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও ভারমন্টের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান শিল্পী ও কলা কুশলীদের কখনই আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কের দু'টি সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা) ও বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) দিয়েই দায়সারা গোছের অনুষ্ঠান করা হয়। প্রবাসীদের ধারনা যে এ দু'টি সংস্থার সাথে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শত বছরের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের খাতায় কবে অতিথিদের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে তালিকায় রয়েছে তথাকথিত গণমাধ্যমকর্মী, তথাকথিত কমিউনিটি ও দলীয় নেতাকর্মী, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবাসী ভবঘুরে ব্যক্তিবর্গ। এসব লোকদেরকে কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অনুষ্ঠানে দেখলে অনেকেই হাসাহাসি করেন। তবে অতিথিদের তালিকা সংশোধনের জন্য অনেকবার মিডিয়াকর্মীরা তাদেরকে তাগিদ হয়েছিলো কোন কাজ হয়নি।

নিউইয়র্কের জনৈক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিউইয়র্কে লাখ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। এদের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ, যারা নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ দেশে প্রেরণ করে থাকেন। এমন ব্যক্তিদের কখনই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। যারা কালেভদ্রে দেশ টাকা পাঠান তাদেরকেই বারবার কেন কনস্যুলেট জেনারেলে ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আমন্ত্রণ জানিয়ে দাওয়াত খাওয়াতে হবে তা নিয়েও প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশ্যভোজ ব্যতিরেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সকল প্রকার অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন সচেতন প্রবাসীরা।

তাদের মতে অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গুটিকয়েক চিরাচরিত চেনামুখী তথাকথিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা না করে বড় পরিসরে জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করলে প্রবাসীরা বেশি আনন্দ পেতো।

উল্লেখ্য বিহির্বিশ্বে বাংলাদেশ কনসুলেটগুলোর মধ্যে জেদ্দার পরেই নিউ ইয়র্কের স্থান। পাসপোর্ট, ভিসাসহ যাবতীয় কনস্যুলেট সেবার কাজে বড় ধরণের আয় করে থাকেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। রাষ্ট্রীয় এ তহবিলের অর্থ তথাকথিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য নয়। এতে সকল প্রবাসীদের সমান অধিকার রয়েছে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানাদির ওসিলায় মোটা অঙ্কের অর্থের অপচয়ের বিষয়টিও এসেছে প্রবাসীদের নানা আলোচনায়।

   

দৃষ্টিনন্দন আল-কুদরা হৃদে বিপিসি'র বনভোজন



দুবাই করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর বুকে বিলাসবহুল আর আকাশচুম্বি অট্টালিকার শহর হিসেবে পরিচিত দুবাই। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি ভ্রমণ প্রেমিক মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথমস্থানে নাম রয়েছে এই শহরের। দুবাইয়ে এমন এমন জায়গা রয়েছে যা বিশ্ব পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টুরিস্ট আর সম্ভাবনাময় ব্যবসাকেন্দ্র হওয়ায় দুবাই এখন বহুজাতিক সংস্কৃতির মিলনমেলার কেন্দ্র হয়ে গেছে। 

দুবাইয়ে দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। প্রতি বছর বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে তৈরি হয় দর্শনীয় বিভিন্ন স্পট। বিশ্বের দীর্ঘতম টাওয়ার এবং শপিং মল ছাড়াও সেখানে আছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন আকর্ষণ। তেমনই একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান হলো আল কুদরা’র দৃষ্টিনন্দন হৃদ বা লেক। দিন দিন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় ও অন্যতম পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ লীলাভুমি দুবাইয়ের আল-কুদরা লেক পাড়ে প্রতি বছরের মতো এবছরও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত পেশাজীবি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব (বিপিসি) এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বনভোজনের উদ্ভোধন করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র সভাপতি ও সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি শিবলী আল সাদিক, সাধারণ সম্পাদক ও এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি কামরুল হাসান জনি। নানা আয়োজনে দিনব্যাপী বনভোজন উপভোগ করেন প্রেসক্লাবের সদস্যরা। ফলে বনভোজনটি সহকর্মীদের ঐক্যের মিলনে পরিণত হয়।

আয়োজনের মধ্যে ছিল, শুভেচ্ছা বিনিময়, মধ্যাহ্নভোজ, আলোচনা সভা, ফুটবল খেলা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উপভোগ করার মতো ছিল গানের তালে তালে মনোমুগ্ধকর নাচ। ছিল ফটোসেশান পর্বও। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বল নিক্ষেপ খেলা। এতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, সদস্য শামসুল হক, খোরশেদুল আলম জাসেদ, এসএম শাফায়েত, ইয়াছির আরাফাত, মেহেদী, ন ম জিয়াউল হক চৌধুরী, সৈয়দ খোরশেদ আলম, ওসমান চৌধুরী, আরিফ সিকদার বাপ্পি, তোফায়েল আহমেদ ও কে এম জাহেদ প্রমুখ। 

জানা গেছে, ২০১৮ সালে দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম নিজের ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে আল কুদরা’র দৃষ্টিনন্দন লেক এর ছবি আপলোড দেন। এরপর থেকেই ৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটারের বিশাল লেকটি পর্যটকদের পছন্দের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে। দালানকোঠার শহরের বাইরে গিয়ে দুবাই থেকে বেশ কিছুটা দূরে আল কুদরার মরুভূমি পর্যটকদের এক নতুন ঠিকানা। যেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মন কাড়া সৌন্দর্যের পসরা। তবে মরুভূমি নয়, এটি সবুজ শ্যামল মনোরম এক প্রাকৃতিক ঠিকানা। 

;

বোস্টনে বেইনের নতুন সভাপতি খোকা, সম্পাদক রাজিব



বিশেষ প্রতিনিধি বার্তা২৪.কম বোস্টন
মাহবুব-ই-খোদা (খোকা) এবং রাজিবুর রহমান রাজিব। ছবি : সংগৃহীত

মাহবুব-ই-খোদা (খোকা) এবং রাজিবুর রহমান রাজিব। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ডের (বেইন) দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে প্রবাসীদের বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুব-ই-খোদা (খোকা) এবং সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাজিবুর রহমান রাজিব।

গত শুক্র ও শনিবার (১০ ও ১১ নভেম্বর) দু’দিনের নির্বাচনের ফলাফলে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ প্রবাসীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

শুক্র ও শনিবার (১০ ও ১১ নভেম্বর) নির্বাচনের প্রায় ৬ হাজার ভোটারের মধ্যে মোট ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ৬ শত ২৯ জন। সভাপতি পদে খোকা পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৫৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তানভির মুরাদ পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট। বেইন-এর নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সহ-সভাপতি পদে সাজ্জাদুর রহমান সাজু পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭৯ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ তাজ উদ্দিন পেয়েছেন ৪ শত ৪১ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে রাজিবুর রহমান রাজিব পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শান্তা বাকী পেয়েছেন ৫ শত ৫৯ ভোট।

যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে আশিকুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাশিবুল আমিন সৈকত পেয়েছেন ৪ শত ৫৪ ভোট। সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদক পদে জহিরুল হুসেইন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ২৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী প্রিতম বড়ুয়া পেয়েছেন ৪ শত ৮৭ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে মনিরুজ্জামান খান পেয়েছেন ১ হাজার ১শত ৩৯ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ইবনুল হাসান ইপু পেয়েছেন ৪ শত ৬৮ ভোট। যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ পদে এডি শুভ পেয়েছেন ১ হাজার ১শত ৩৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সেলিনা চৌধুরী পেয়েছেন ৪ শত ৭৮ ভোট।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রেহানা পারভীন ইতি পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৩ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাহের নোহা আহমেদ পেয়েছেন ৪ শত ৭৩ ভোট। যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মৌসুমি রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৫১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নাসরিন শাহরিয়ার পেয়েছেন ৪ শত ৫৯ ভোট।

সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে বিএম রায়হানুজ্জামান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ২৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ইসতিয়াক আহমেদ পেয়েছেন ৪ শত ৭৭ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে একরামুল পিজন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ৫ শত ১৯ ভোট।

শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে আমিন হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৩১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ মেরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ শত ৭৪ ভোট। গণসংযোগ সম্পাদক পদে পঙ্কজ চন্দ্র দাস পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাসুদ আকবর পেয়েছেন ৪ শত ৯৮ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে (এক) এসএম সাইফুর ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ১২ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমতিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৪ শত ৯৮ ভোট এবং নির্বাহী সদস্য পদে (দুই) পদে মোঃ মাসুদ রানা পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৪ শত ৫৮ ভোট।

উপরোক্ত ফলাফল থেকে এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা ৬৯৪টি ভোট বিয়োগ করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনার সালাউদ্দিন খান সৈকত অপর প্যানেল তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদে সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলাউদিন খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির খবর পাওয়া যায়। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের এক সপ্তাহ আগে তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট গ্রহণ করেন।

সবচেয়ে বড় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছিল গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ‘ডাকযোগে ভোট প্রদান’ প্রক্রিয়া। শুরু থেকেই খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ ডাকযোগে ভোট প্রদানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন।

নির্বাচন কমিশন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের কোন অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ আদালতের শরণাপন্ন হন। আইনজীবির দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গবার (৭ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটসের দেওয়ানী কার্যবিধি বিধির ৬৫ ধারায় উক্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। আইনজীবির দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গবার (৭ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের দেওয়ানী কার্যবিধি বিধির ৬৫ ধারায় লরেন্স সুপরিয়র কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক জেনিস ডব্লিউ. হাউ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।

নির্বাচন কমিশনার সালাউদ্দিন খান সৈকত জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা মাথায় রেখে আমরা সংবিধান মোতাবেক শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সান্ধ্য ভোট ও শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনব্যাপী ভোট গ্রহন করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেসকে জানালেও সেটি তিনি পালন করেননি।

লরেন্স সুপরিয়র কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক জেনিস ডব্লিউ. হাউয়ের পুর্ব ঘোষিত নির্দেশনায় অগ্রিম ভোট গণনা বাতিল হলে সভাপতি পদে মাহবুব-ই খোদা ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে অপর প্রার্থী তানভির মুরাদকে পরাজিত করবেন।

বিচারকের নির্দেশ অমান্য করে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের প্রতিনিধিদের অসম্মতিতে জোর পূর্বক অগ্রিম ভোট (এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা) ৬৯৪টি ভোট যুক্ত করে তানভির মুরাদসহ তার প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান সালাউদ্দিন খান সৈকত। তার পাতানো ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)।

আদালতের পুর্ব ঘোষিত নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধান নির্বাচন কমিশনের পছন্দের প্যানেলকে তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলে পাতানো ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একটি প্যানেলের সম্মতি ছাড়াই এক তরফাভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, বেইনের কার্যকরী পরিষদের ১৫টি পদের জন্য এবার দুটি প্যানেলে ৩০ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়। এবারের নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি ও ভোট কারচুপির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ‘ডাকযোগে ভোট গ্রহণের’ ঘোষনা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন একটি প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর আপত্তি জানায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে নিজের মনগড়া সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

;

সৌদি আরবের বৃহত্তম কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদ



মো. সুমন, রিয়াদ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সৌদি আরবের বৃহত্তম কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদ

সৌদি আরবের বৃহত্তম কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদ স্থাপত্যের মহিমা এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটি সৌদি আরবের সাবেক শাসক বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদগুলোর একটি।

কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদটির আয়তন প্রায় ২৫ একর। ১৯৭৬ সালে মসজিদটি তৈরি করা হয়। এই মসজিদে একসঙ্গে ২২ হাজার জন জামাত আদায় করতে পারেন।

কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদের নকশায় আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্যের সমন্বয় ঘটেছে। এর বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণ, ডিজাইন করা গম্বুজ এবং মিনার দ্বারা সজ্জিত। অভ্যন্তরের প্রধান প্রার্থনা হলটি ঝাড়বাতি, ক্যালিগ্রাফি এবং জ্যামিতিক নিদর্শনগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত স্থানকে অলঙ্কৃত করে কারুকার্যের এক বিস্ময়।

মসজিদটিতে ২২ হাজার মানুষ এক সঙ্গে জামাত আদায় করতে পারেন

মসজিদটি শুধু উপাসনালয় হিসেবেই কাজ করে না বরং ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটিতে ইসলামিক সাহিত্যের বিশাল সংগ্রহসহ একটি লাইব্রেরি রয়েছে, যা দর্শকদের জন্য একইভাবে একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে পরিবেশন করে। শিক্ষার প্রতি মসজিদের প্রতিশ্রুতি তার ইসলামিক স্টাডিজ এবং রিসার্চ সেন্টারের দ্বারা আরও দৃষ্টাস্তমূলক।

কিং খালিদ গ্র্যান্ড মসজিদ শুধুমাত্র একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্রই নয় বরং এটি তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সৌদি আরবের উৎ্সর্গের প্রতীক। মসজিদটি বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যাতে তারা সৌদি আরবের স্থাপত্যে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ প্রত্যক্ষ করতে পারে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে, এটি জনগণের মধ্যে সম্প্রদায় এবং আধ্যাত্মিক ঐক্যের বোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

;

বৈরুতে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৈরুতে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত

বৈরুতে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান বলেন, জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর ১১ মাসেরও কম সময়ে বাঙালি জাতির মহান সংবিধান রচিত হয়, যা পৃথিবীর ইতিহাসের বিরল।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহিদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

;