মর্যাদাকর ডব্লিউজিইএস নোভা অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন আজিজ আহমদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ার্ল্ড গ্রিন এনার্জি সিম্পোজিয়াম-ডব্লিউজিইএস কাউন্সিলের নোভা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন বাংলাদেশি আমেরিকান আইটি থিংকট্যাংক ও উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। ডব্লিউজিইএস'র সাইটেশনে বলা হলা হয় অনুকরণীয় নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী দক্ষতা ও সামাজিক অসমতা নিরসনে টেকসই ও শিক্ষণীয় সমাধান দিতে অসাধারণ সক্ষমতা দেখানোয় ২০২২ সালে আজিজ আহমদকে দেওয়া হচ্ছে সম্মানজনক এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার।

আজিজ আহমদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটস, কোডার্সট্রাস্ট ও প্রবিটি কেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাধারে একজন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবক, গবেষক, শিক্ষক ও উদ্যোক্তা। একজন জনহিতৈষী, সমাজসেবক হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্রে সুবিদিত এই বাংলাদেশি-আমেরিকান।

মর্যাদাকর এই আন্তর্জাতিক নোভা অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়ায় আজিজ আহমদ বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আর বার বার মনে পড়ছে সেইসব মুখগুলো যারা আমাদের এগিয়ে দেওয়া সুবিধা নিয়ে এখন আইটি জগতে তাদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। গ্লোবাল মার্কেট থেকে আয় করছে। তাদের একেকটি হাসিমুখ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। 

কিছু বিবেচক ও প্রত্যয়ী মানুষ বিশ্বটাকে বদলে দিতে পারেন, এমনটাই বলেছিলেন মার্গারেট মিড। এবারের নোভা পুরষ্কার হস্তান্তরের সময় এই উক্তিটিই স্মরণ করে ডব্লিউজিইএস।

আর প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ডেইজি গ্যালাগার বলেন, আমাদের এবারের সিম্পোজিয়াম ও পুরস্কার মূল প্রতিপাদ্যে রয়েছে মানুষ। যারা এবার অ্যাওয়ার্ড ভূষিত হলেন তারা তাদের কাজ দিয়ে মানুষের কাছে যেতে পেরেছেন।

আজিজ আহমদ ছাড়া নোভা অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এ ভূষিত হয়েছে অপর দুই আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের একজন ফাদার এলবার্স জর্জ। এলডার জর্জ নামে যিনি সমধিক পরিচিত। গ্রিসের এই ক্যারিসম্যাটিক ধর্মযাজক মানবতা ও প্রকৃতির সেবায় নিয়োজিত একজন অন্যতম রোলমডেল। অপরজন হচ্ছেন কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি-সিএসআর এর পরিচালক মাইকেল জোন্স বে। টেকসই কর্পোরেট ব্যবস্থার চ্যাম্পিয়ন বলা হয় তাকে।

ডেইজি গ্যালাগার আরও বলেন, ভীষণ ভিন্নরকম এই তিনটি মানুষকে পুরষ্কৃত করতে পেরে আমরা নিজেরা গর্বিত বোধ করছি।

বাংলাদেশি আমেরিকান আজিজ আহমদ তাদেরই একজন। যিনি ১৯৮০'র দশকের শেষভাগে উচ্চশিক্ষা লাভে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সেখানে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজ কৃতিত্বে তিনি অর্জন করেছেন মূলধারার একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গৌরব।

এর আগে পুরষ্কার ঘোষণার পর ডব্লিউজিইএস এর নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক জর্জ রবার্টস বলেন, আজিজ আহমদের মতো ব্যক্তিত্বকে নোভা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করতে পেরে ডব্লিউইজিএস গর্ববোধ করছে। আজিজ আহমদ একজন প্রভাবক ও গেম চেঞ্জার, বলেন রবার্ট গ্যালাগার। 

আজিজ আহমদ তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান কোডার্সট্রাস্টের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রযুক্তিনির্ভর কাজের সুবিধা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এশিয়া ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি বাংলাদেশেও রয়েছে তার কার্যক্রমের বড় বিস্তৃতি। এই মানুষগুলোর জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কোডার্সট্রাস্টের মাধ্যমে তাদের দেওয়া হচ্ছে বিশ্বমানের আইটি দক্ষতা। আর তার মাধ্যমেই তারা অর্জন করতে পারছেন বিশ্ববাজার থেকে আইটি খাতে কাজের সুযোগ। 

তরুণ সমাজ, বিশেষ করে নারীরা যারা একটু সাচ্ছন্দের জীবনের সন্ধানে সংগ্রাম করে যাচ্ছে তারাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বলেন আজিজ আহমদ। শিক্ষার্থী-প্রশিক্ষণার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তির কিছু সফট-স্কিল দিতে পারলেই তারা বিশ্ববাজার থেকে কাজ খুঁজে নিয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা। আমরা তাদের কাছে প্রশিক্ষণের উপযোগী টুলসগুলো সহজলভ্য করে দিতে পারছি, দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিতে পারছি, যা হয়তো তাদের নাগালের মধ্যে ছিলো না। কিন্তু সামান্য সুযোগই তাদের করে তুলতে পারে বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী, যার প্রমাণ আমরা আমাদের উদ্যোগসমূহের মধ্য দিয়ে পেয়েছি, বলেন এই ফিলানথ্রপিস্ট আইটি উদ্যোক্তা। কেবল বাংলাদেশেই এরই মধ্যে ৬০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে আইটি দক্ষতা দিয়েছে কোডার্স ট্রাস্ট, জানান তিনি।

কেবল উদ্যোক্তাই নন, আইটি খাতে বিশ্ববরেণ্য একজন থিংকট্যাঙ্ক ও সুবক্তা হিসেবেও রয়েছে আজিজ আহমদের সুনাম। ভ্যাটিক্যান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে আলোচনা করেছেন ডিজিটাল যুগে সাধারণের জন্য ভালো কি হতে পারে তা নিয়ে। বেলজিয়ামে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তিনি কথা বলেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অর্থবহ ব্যবহার ও নীতি কর্মকাঠামো নিয়ে। গুয়াতেমালায় সেন্ট্রাল আফ্রিকান কনফারেন্সে প্রযুক্তির অগ্রসরতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেছেন। ডেভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামেও তিনি প্যানেলিস্ট হিসেবে আইটি খাতে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন বিশ্বের অন্যান্য থিংকট্যাংকের সঙ্গে।

পুরষ্কার নেওয়ার পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ সিম্পোজিয়ামে মাস্টারক্লাস কিনোট স্পিকার হিসেবে আজিজ আহমদ কথা বলেন, টেকসই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল নিয়ে।

উপস্থাপনায় তিনি জোর দেন আজিজ আহমদ বলেন, প্রযুক্তি যতটা এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে সাথে মানুষের এগিয়ে যাওয়াটাও সমানভাবে জরুরি। সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, অগ্রসরতার পাশাপাশি আমরা কিছু অপরাধপ্রবণতাও দেখতে পাচ্ছি এই জগতে। সাইবার অপরাধের একটি তালিকা উপস্থাপন করে তিনি বলেন, এই অপচেষ্টাগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

অতীতে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই ডব্লিউইজিএস নোভা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে টেকসই কর্মসূচি গ্রিনওয়ার্কসের জন্য সিটি অব ফিলাডেলফিয়া। যার পুরস্কার গ্রহণ করেন সিটি মেয়র মাইকেল নাটার। রিও ডি জেনেরিওতে টেকসই কর্মসূচির জন্য দেশ হিসেবে এই পুরষ্কার পায় ব্রাজিল, কর্পোরেট লিডারশিপের জন্য পুরস্কার পেয়েছে তিশমান, ডিওডব্লিউ, জনসন কন্ট্রোলস, উদ্ভাবনী পণ্য ও প্রযুক্তির জন্য পেয়েছে ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিন ও শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি স্মার্ট হাউজের জন্য এই পুরস্কার পান। সাসটেইনেবল ডিসি প্ল্যান তৈরির জন্য ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া এই পুরস্কারে ভূষিত হয়, যা গ্রহণ করেন এর মেয়র ভিনসেন্ট গ্রে। ইউনিভার্সিটি অব ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া ককাস এই পুরস্কার পায় তাদের আরবান ফুড হাবের জন্য। যা গ্রহণ করেন এর ডিন সাবিন ও'হারা। শহুরে কৃষির একটি মডেল তৈরি করেছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়।   

সিম্পোজিয়ামে ডব্লিউজিইএস সেইসব মানুষের সমাগম ঘটায় যারা বৈশ্বিক ও স্থানীয় পর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় দক্ষ, নীতিনির্ধারক, ক্রেতা, উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও চিন্তক।

বিভিন্ন মাস্টার লেকচার, কেসস্টাডি ও ইন্টারঅ্যাকশনের মধ্য দিয়ে সবুজ জ্বালানি ও টেকসই প্রচেষ্টাসমূহের বাস্তবায়নে প্রযোজনীয় শিক্ষা ও তথ্য বিনিময় করা হয় এই সিম্পোজিয়ামে।

অন্যান্য বছরের মতো এবছরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চমাপের বহুমূখি প্রতিভার অধিকারী বক্তাদের আমন্ত্রণ জানায় ডব্লিউজিইএস। বক্তারা তাদের উপস্থাপনায় বাস্তবভিক্তিক কেসস্টাডি, টেকসই অর্থনৈতিক সুযোগ ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা কথা বলেন নিরাপদ ভবন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, জলবায়ূ, ক্লিন এনার্জি ও টেকসই অর্থায়ন, গ্রিড বিদ্যুতায়ন, সাইবার সিকিউরিটির সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা, পরিষ্কার পানির সুষ্ঠু সমাধান, সঠিক বিনিয়োগ, পরিবহণ ও ক্লিন এনার্জি কর্মসূচির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস নিয়ে।

কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে ছিলেন ডব্লিউইজিএস এর নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক জর্জ রবার্টস। গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনার মাধ্যমে দিনভর আলোচনাকে যারা সম্মৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন, ইউএস জেনারেল সার্ভিসেস এডমিন্সট্রেশনের প্রধান সাসটেইন্যাবিলিটি অফিসার, ফেডারেল হাই পারফরম্যান্স গ্রিন বিল্ডিংস কার্যালয়ের পরিচালক কেভিন ক্যাম্পস্রোয়ার,  প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রধান সাসটেইন্যাবিলিটি অফিসার এন্ড্রু নক্স,  ওয়াশিংটন এক্সিকিউটিভ ক্লাইমেট চেঞ্জ কাউন্সিলেন চেয়ারম্যান ও ক্লাইমেট উপদেষ্টা স্টেফেন অ্যাম্ব্রোস,  ইউএস এয়ারফোর্সের পরিবেশ বিষয়ক সাবেক সহকারী সেক্রেটারি ও জ্যেষ্ঠ জ্বালানি নির্বাহী, জেনারেশনস অ্যাডভাইজরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম এন্ডারসন,  ইউনিভার্সিটি অব ডিস্ট্রিক্ট কলাম্বিয়ার আরবান সাসটেইন্যাবিলিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের কলেজ অব এনভায়রনমেন্টর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও প্রতিষ্ঠাতা ডিন ড. স্যাবিন ও'হারা,  ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স এমবিডিএ'র ব্যবসা উন্নয়ন কার্যালয়ের ব্যবসা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও ভারপ্রাপ্ত সুপারভাইজর রন উবা,  ক্যাপিটাল অ্যাকসেস অ্যান্ড গ্লোবাল মার্কেট এর সিনিয়র অ্যাডভাইজর ব্লক চেইন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিশেষজ্ঞ জন রবার্ট বাগুইডি, রুবিক্স লাইফ সায়েন্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী ড. রেগিনাল্ড সুইফট, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট স্ট্রাটেজিস ডব্লিউ জিআই ইনকর্পোরেটেড এর পরিচালক গ্যারি লরেন্স, ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটস ও কোডার্সট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা আজিজ আহমদ, জিজিডব্লিউ ইনক. এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও ডেইজি গ্যালাগার, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট রিকভারি, কন এডিসনের পরিচালক মাইকেল জোনস-বে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি ব্রুকহেভেন ন্যাশনাল ল্যাবস-এর মেরি রজার্স, সাসট্যাপ এলএলসি'র কো-ফাউন্ডার ভার্জিনিয়া গিবসন, আইএমএমআই'র প্রেসিডেন্ট সেলেস্টে উয়ান্ডার, ডিসি আরচেঞ্জেলস ইনভেস্টর গ্রুপ'র প্রেসিডেন্ট ড্যান লোয়াগ প্রমুখ।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;