১১০ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্দী কুমির 'ক্যাসিয়াস'র অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৪৮ মিটার (১৮ ফুট), ওজন এক টনেরও বেশি।
শনিবার (২ নভেম্বর) স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
অভয়ারণ্যের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট অনুসারে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের পর্যটন শহর কেয়ার্নসের কাছে গ্রিন আইল্যান্ডের একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ৩৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিল ক্যাসিয়াস।
মেরিনল্যান্ড মেলানেশিয়া ক্রোকোডাইল হ্যাবিট্যাট জানিয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর থেকে কুমিরটির স্বাস্থ্যের অবনতি শুরু হয়। ক্যাসিয়াসের উৎপত্তি দেশটির উত্তরাঞ্চলে। এই অঞ্চলে কুমিরগুলো পর্যটন শিল্পের একটি মূল অংশ।
বিজ্ঞাপন
"ক্যাসিয়াসকে মিস করা হবে, তবে তার প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং স্মৃতি চিরকাল হৃদয়ে থাকবে"- বলেও জানিয়েছে মেরিনল্যান্ড মেলানেশিয়া ক্রোকোডাইল হ্যাবিট্যাট।
ক্যাসিয়াস লবণাক্ত পানির কুমির এবং বন্দিদশায় থাকা অবস্থায় বিশ্বের বৃহত্তম কুমির হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খেতাব অর্জন করে।
এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলো ফিলিপাইনের কুমির 'লোলং'। এর দৈর্ঘ্য ছিলো ৬ দশমিক ১৭ মিটার (২০ ফুট ৩ ইঞ্চি)। ২০১৩ সালে কুমিরটির মৃত্যুর পর এ রেকর্ড নিজের করে নেয় ক্যাসিয়াস।
উত্তরে ঠান্ডা বাতাস আর শরীরে হিমধরানো আবহাওয়া মানেই শীতকাল। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে বছর ঘুরে বাংলার প্রকৃতিতে এসেছে কনকনে শীত। সেই সঙ্গে হিমেল পরশ। এবছর হেমন্ত আসতে না আসতেই শীতের আগমন ঘটেছে। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, সেই সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশাও।
শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, এবছরে শীতকালের শুরুতেই সারাদেশে হাড় কাঁপানো শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এবছর বেশ কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বঙ্গদেশে। ইতোমধ্যেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনসাধারণের অবস্থা নাজেহাল হওয়ার মন্তব্য আসছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছে চায়ের দোকানে।
তবে এই শীতের প্রকটতা আচমকা কোনো ঘটনা নয়। আগেই বিশ্ব আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন চলতি বছর লা নিনার প্রভাব দেখা যাবে। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বাংলাদেশের শীতকালীন আবহাওয়ার আপডেট জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নতুন এই প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের শেষের দিকে ‘লা নিনা’ উদ্ভবের সম্ভাবনা রয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। তারই পূর্বপ্রভাব স্বরূপ এইরকম শীত পড়েছে সারাদেশে।
এর আগে ‘ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টার’ এর আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে লা নিনার প্রভাবের কথা। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এবারের ‘লা নিনা’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাংশ আরো বেশি আর্দ্রতার ভেতর দিয়ে যাবে। বিশেষ করে উত্তরপশ্চিম প্রশান্ত অঞ্চলে বেশি আর্দ্রতা বিরাজ করবে। সেইসঙ্গে মধ্যপশ্চিম এবং উত্তরপশ্চিমের প্রান্তেও একই অবস্থা বিরাজ করবে। মধ্যপশ্চিম জুড়ে শুষ্ক ও খরার প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে শীতকালে ‘লা নিনা’ চলাকালে ক্যারোলিনার উত্তরাংশে বেশি আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
২০২৪ সালে এর আগে গরমের মৌসুমেও ভেঙেছে তাপমাত্রার রেকর্ড। জাতিসংঘ জানায় এলনিনোর কারণে এই বছর গত ৫ বছরের গরমের রেকর্ড ভেঙেছে। গরম প্রধান দেশগুলোতে এলনিনোর কারণে অনেক প্রাণী মারা গিয়েছিল। এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশের উষ্ণ হয়ে ওঠার প্রাকৃতিক ঘটনা। এতে সারা বিশ্বের আবহাওয়া প্রভাবিত হয়। শুধু গরম নয়, এবছর শীতও পড়েছে মনে রাখার মতো।
লা নিনা এবং এল নিনো একে অপরের বিপরীত তবে একই রকম রূপ। নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে নিম্ন সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের ফল এল নিনো এবং লা নিনা। তীব্র শীত হোক বা কড়া রোদ, জলবায়ুর প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
মানুষের মধ্যে সাপ সম্পর্কে সহজাতই একটি ভয় রয়েছে। সেটা হোক বিষধর কিংবা বিষহীন। ভয় অবধারিত! তবে অনেককেই আবার এই ভয়কে জয় করে সাপের সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে তুলতে দেখা যায়। তেমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের কল্যাণে ভাইরাল হয়েছে।
প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বিশাল আকৃতির এক অজগরের পাশে শুয়ে বই পড়ছেন। তার পায়ের কাছেই শান্তভাবে বসে আছে একটি কুকুর।
ভিডিওটি দেখে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীরা বেশ অবাক হয়েছেন। ভিডিওটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। শেয়ারের পর থেকে ভিডিওটি দেখেছেন চার মিলিয়নের (৪০ লাখ) বেশি মানুষ। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই নিজেদের ভয় এবং নিছক বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন।
যদিও কেউ কেউ এমন একটি বিপজ্জনক প্রজাতির সাপের চারপাশে তার স্বাচ্ছন্দ্য এবং সংযম দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। অনেকেই আবার এতো বড় আকৃতির সাপকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কেউ কেউ কুকুর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এটি আকর্ষণীয় কিন্তু ভয়ঙ্করও। এটা কি নিরাপদ?"
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, "এই লোকটি সত্যিকারের নির্ভীক, মাইক হোলস্টন সবসময় আমাকে তার ভিডিও দিয়ে নির্বাক করে রাখে।"
তৃতীয় একজন লিখেছেন, "কিভাবে ওই জিনিস (অজগরটি) কুকুর খেতে চায় না?"
উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন মাইক হোলস্টন নামে এক ব্যক্তি। তিনি সামাজিক মাধ্যমে "দ্য রিয়েল টারজান" নামেও পরিচিত। ইন্সটাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১২ মিলিয়নেরও বেশি।
এর আগেও অবশ্য তিনি সাপকে সঙ্গী করে ভিডিও প্রকাশ করেছেন। গত বছর, তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ, কিং কোবরার মাথায় তাকে চুম্বন করতে দেখা যায়।
আবহমান বাংলায় শীত মৌসুমে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের রসের চাহিদা বাড়ে অনেকাংশে। বছরজুড়ে খেজুর গাছ অযত্ন-অবহেলায় পরে থাকলেও শীতের আগেই চর্চা শুরু হয় রসের চাহিদায়। কুয়াশাচ্ছন্ন কাক ডাকা ভোরে খেজুরের রস পান করতে দূর দূরান্তে ছুটে যান রসনাপ্রেমীরা। প্রকৃতির এই নজরকাড়া সৌন্দর্যে গাছ থেকে কলসভরা খেজুরের রস পেরে তৃষ্ণা মেটানোর দৃশ্য যেন হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত।
বাঙালির সংস্কৃতিতে পিঠাপুলির মত শীতের অংশ খেজুরের রস। আর তাই গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে চাহিদা মেটানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের।
প্রতি মৌসুমের মত এবারও রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় খেজুরগাছের রস সংগ্রহের দৃশ্য চোখে পড়ার মত। গাছ প্রস্তুত শেষে রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। মনের আনন্দে এই দৃশ্য উপভোগ করে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করছেন দর্শনার্থীরা।
গাছিরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও শীত মৌসুমে খেজুর রস সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। আকারভেদে প্রতিটি গাছ থেকে ৩-৫ লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ করে আয় করেন গাছিরা।
গাছিরা বলেন, এবছরে গাছের সংখ্যা কমেছে। কয়েক বছর আগেও খেজুর গাছের সংখ্যা বেশি ছিল। তাই খেজুরের রসের চাহিদা পূরণ করেও গুড় তৈরি করা হতো। এখন গাছের সংখ্যা কমে গেছে, গাছের দামও বেশি। গাছ চুক্তিতে নিয়ে মিঠাই তৈরি করা বেশ ব্যয়বহুল। তবুও মৌসুমী এই ব্যবসা বংশগত খেজুরের রস সংগ্রহ একটা নেশা। যতদিন বেঁচে আছি খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করবো। এটা সখের বসেও করা হয়ে থাকে অনেকেরই৷
রংপুর শহর থেকে শ্যামপুরে খেজুরের রস খেতে যাওয়া রসনাপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন। কাক ডাকা ভোড়ে আনন্দের সঙ্গে রস খেতে যান তারা। অনুভূতি প্রকাশ করে রুবেল, শাওম, আনোয়ার নামের তিন যুবক বলেন,প্রতি বছর খেজুরের রস খেতে অপেক্ষায় থাকি। খেজুরের রস না খেলে শীত মনেই হয় না। বন্ধুসহ প্রায় ৪-৫ দিন খেজুরের রস খেতে প্রস্তুত থাকি। ভোরে গিয়ে পৌঁছে গাছ থেকে রস নামিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। শহরে বিক্রি হয় স্যালাইন বা অন্য কিছু মেশানো থাকে তাই পরিবারের জন্য বোতলে করে নিয়ে যাই। সবমিলিয়ে অনুভূতিটা অন্যরকম।
খেজুরের রস বিক্রেতারা বলেন, ‘ঘুম থাকি উঠিয়াই ভাল নাগে, দূর হাতে মানুষ গাড়িত করি রস কাবার জইনতে আইসে। হামার সাতে ছবি তোলে খুব ভাল নাগে। একেক দিন না হইলেও প্রায় একশোর বেশি মানুষ আইসে। এক গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা করি কিনি খায়। দামও কম আছে আর লিটার হিসাবে নিলে ৫০ টাকা করি নেয়া হয়। এক গাছে ৩-৫ রিটার রস হয় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার খেজুর রসও বিক্রি হয়। শীত যত বাড়বে খেজুর রসের স্বাদও তত বাড়ে।’
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, খেজুরের রস ও গুড় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। খেজুরের গাছ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যা করা হলে এ গাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে আয় করা সম্ভব।
ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে যুগ যুগ পার করার সাধ কার না হয়! বিয়ের সময় প্রেমের প্রকাশ হিসেবে জীবনসঙ্গীকে মানুষ কতরকমই প্রতিজ্ঞা করে। ১০০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দেব- আরও না জানি কত কি! কিন্তু সেই জীবনসঙ্গীর দেখাই যদি পান ১০০ বছর বয়সে, তখন?
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফিলাডেলফিয়ায়। ১০০ বছর বয়সের বার্নি লিটম্যান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ১০২ বছরের মার্জোরি ফিটারম্যানের সঙ্গে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নবদম্পতির রেকর্ড গড়লেন তারা। চলতি বছরের শুরুতে নতুনভাবে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। ৩ ডিসেম্বর এই দম্পতির নাম উঠেছে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নথিতে। তাদের দু’জনের বয়সের সমষ্টি ২০২ বছর ২৭১ দিন।
শতবর্ষী এই যুগলের প্রেম শুরু হয়েছিল ফিলাডেলফিয়ার একটি বৃদ্ধাশ্রমে। তারা দুজন কাছাকাছিই বসবাস করতেন। নয় বছর আগে তাদের একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় এবং শিগগিরই তারা প্রেমে পরে যান। যে অ্যাপার্টমেন্টে তাদের একসাথে যাত্রা শেুরু হয়েছিল সেখানেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৯ মে।
বার্নি এবং মার্জোরি দু’জনেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবন-যাপন করেছেন। তাদের আগের জীবনসঙ্গী মারা যাওয়ায় আগে দু’জনেই ৬ দশক সংসারজীবনে আবদ্ধ ছিলেন। যদিও পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় ছিল। তখন তারা জানতেন না ভাগ্য তাদের দেরীতে হলেও একই পথে নিয়ে এসে একে অপরের সঙ্গী করে তুলবে।
পেশাগতভাবে বার্নি ছিলেন একজন প্রকৌশলী। অপরদিকে মার্জোরি শিক্ষকতার পেশায় জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিয়ের দিন বার্নির নাতনি সারাহ সিকারম্যান ইহুদি ক্রোনিক্যালকে জানান,‘পৃথিবী অসংখ্য দুঃখ আর ভয়ে পরিপূর্ণ। এরমধ্যেও, এমনকিছু করতে পারা আসলেই ভালো, যা অন্যদের জীবনে আনন্দ এনে দেয়।
রাব্বি অ্যাডাম ওহলবার্গ ছিলেন বার্নি এবং মার্জোরির বিয়ের দায়িত্বে। ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন , ‘আজকাল যাদের বিয়ে হয়, তাদের বেশিরভাগই কোনো ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচিয় হয়৷ আমার ব্যক্তিগতভাবে আগের পদ্ধতিগুলোই পছন্দ। একই এলাকা বা বিল্ডিংয়ে থেকে পরিচয়। তারপর একে অন্যের জীবনে আগমন এবং অবশেষে প্রেমে পড়া।’
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যাওয়া এবং একে অপরের জন্য খাবার-দাবার ভাগাভাগি করার মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত আয়োজনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বার্নির ইহুদি পরিবারের ৪ প্রজন্মের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়। দু’জনেই হুইলচেয়ারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেও , নতুন জীবন শুরু করার আনন্দের কোনো কমতি ছিল না বার্নি এবং মার্জোরির।