১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর জঙ্গলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া একটি জীবন্ত বাছুরকে গিলে ফেলার চেষ্টা করছিল। তবে বাছুরটিকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার আগেই এই দৃশ্য রাখলরা দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা অজগরের চোয়াল থেকে বাছুরটিকে লাঠির সাহায্য উদ্ধার করে। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হয়নি বাছুরটির। উদ্ধারের আগেই বাছুরটি মারা যায়। পরে অবশ্য এলাকাবাসী সাপটিকে না মেরে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রার চিত্রহাট এলাকার পারনা গ্রামের যমুনা জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞাপন
গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, ঘটনাটি তারা বন বিভাগকে জানালেও তাদের দল পশুটিকে উদ্ধার করতে সময়মতো পৌঁছায়নি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে পৌঁছালে হয়তো বাছুরটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো।
এ ঘটনাটির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এক বয়স্ক দম্পতির নাচ ঝড় তুলেছে ইনস্টাগ্রামে। এই দম্পতি ভারতের একটি রাজ্যের এক উৎসবে স্থানীয় রীতির পোশাক পরে তালে তালে পা মিলিয়ে এমনভাবে নেচেছেন যে, তা দেখে কোটি মানুষ বিস্মিত হয়েছেন!
এমন নিখুঁত এবং তালে তালে পা মেলানো একমাত্র যারাই নিয়মিত অনুশীলন করেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব এত নিখুঁত ও এত সুন্দর করে নাচতে পারা।
ইতোমধ্যে, লাখ লাখ মানুষ তাদের সেই মনকাড়া ভিডিও দেখেছেন এবং এখনো অনেকেই সে ভিডিও দেখেই চলেছেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি, গুজরাটের এক বয়স্ক দম্পতি রাজ্যের একটি উৎসব নভরাত্রির অনুষ্ঠানে এমন দুর্দান্ত তালে তালে পা মিলিয়ে এবং নিখুঁতভাবে নেচেছেন যে, যারাই তাদের সেই নাচ দেখেছেন, তারাই মন্তব্য করেছেন- বয়স একটি সংখ্যামাত্র!
ওই দম্পতির নাম জানা না গেলেও বলা হয়, তাদের সেই দানদিয়া নৃত্য পরিবেশনা ছিল অতুলনীয়! সে কারণে ভিডিওটি এত ভাইরাল হয়ে যায়।
ইনস্ট্রাগ্রামের প্রভাবশালী সেলিব্রেটি তানিশ শাহ এই ভিডিটিও পোস্ট করেন। এরপর এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ দর্শক ভিডিও ডান্সটি দেখেছেন। শুধু তাই-ই নয় প্রতিনিয়ত এর দর্শক সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার দশমী ছিল আজ রোববার (১৩ অক্টোবর)। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলায় দুর্গার বিদায় জানাচ্ছেন ভক্তরা। পুণ্যার্থীদের পূজা-অর্চনায় মুখর ছিল মণ্ডপ। ছবিগুলো বিকেলে তুলেছেন বার্তা২৪.কমের ফটোগ্রাফার নূর-এ-আলম। বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য ছবিগুলো তুলে ধরা হলো-
শারদীয় দুর্গা উৎসবে মেতেছে দেশ। তিথি অনুযায়ী আশ্বিন মাসের দেবীপক্ষ অর্থাৎ, শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী সনাতন ধর্মীরা দুর্গাপূজা উদযাপন করে। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। নানা আয়োজনে সারাদেশে পূজা উদযাপন করা হয়।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পুজোর ৩য় দিন। দেখতে দেখতে মহাষ্টমী তিথি শেষ হয়ে সন্ধিক্ষণে সন্ধিপূজার মাধ্যমে নবমী তিথির সূচনা হয়েছে। নবমী বলতেই মনে আসে ধুনুচি নাচের কথা। সাধারণত মহানবমী তিথিতে পূজার পরে এই ধুনুচি নাচ নাচা হয়। দেবী দুর্গাকে ধুনুচি নাচ উৎসর্গ করা হয়। অনেক স্থানে দশমীতে প্রতিমা ভাসানের আগেও ধুনুচি নাচ করা হয়।
ঢাকের তালে দেবীর সামনে ধুনুচি হাতে নিয়ে সুশৃঙ্খলে করা হয় এই ধুনুচি নাচ। ধুনুচিতে নারকেলের খোসা জ্বালিয়ে তাতে ধুপ ছিটিয়ে তৈরি করা হয় ধোঁয়া। এক বা একাধিক ধুনুচি হাতে নিয়ে ঢাকের আওয়াজের আন্দোলনে নাচে মেতে ওঠে লাল-সাদা সাজে বাঙালি নারী-পুরুষ।
দুর্গাপূজা মানেই শিউলি ও কাশফুল, শরতের আকাশ, ঢাকের বাদ্য। তার সাথে উলুধ্বনি, ঘণ্টা ও শাঁখের আওয়াজ, আনন্দ উদযাপন এবং তার সাথে ধুনুচি নাচ। বাঙালির দুর্গাপূজার অতি প্রাচীন ঐতিহ্যসম্পন্ন ধুনুচি নাচ ছাড়া যেন পূজাই অসম্পন্ন। চণ্ডীপাঠ, দেবীর ব্র্রতকথা, অঞ্জলি প্রদান, আরতি, পূজা-অর্চনার মাধ্যমে দুর্গাপূজা করা হয়। তবে এসব তো পুজোর নিয়মের অংশ। পুজো মানেই আনন্দ উৎসব। তাই আনন্দ প্রকাশ করে দেবীর উদ্দেশ্যে সঙ্গীত আরাধনা, সিঁদুর খেলার পাশাপাশি ধুনুচি নাচ করারও প্রচলন রয়েছে।
এই ধুনুচি নাচের উল্লেখ পুরাণেও রয়েছে। ধারণা করা দেবী দুর্গা নিজেই ধুনুচি নাচ নেচেছিলেন। মহিষাসুরকে বধ করার আগে নিজের মধ্যে সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চার করার জন্য দেবী ধুনুচি নাচ করেন। দেবীর প্রতি সমগ্র একাগ্রতা নিবেদন করতে আজও ভক্তরা ধুনুচি নাচ করেন। বিভিন্ন জায়গায় একক বা দলীয়ভাবে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।
সময়ের সাথে ধুনুচি নাচের প্রচলন কমে আসছে। তবে এখনো দুর্গাপুজো এলেই ছোট-বড় সকলে মিলে ধুনুচি নাচ নাচা হয়। কালের গর্ভে এই ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়, সেজন্য অবশ্যই ধুনুচি নাচের চর্চা বাড়ানো উচিত। এতে পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়। ধুনুচি নাচ ছাড়া দুর্গাপূজা যেন অসম্পূর্ণ।
আশ্বিনের মাসের দেবীপক্ষে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজার ৩য় দিন আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর)। দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন মহাঅষ্টমী।
বসন্তে দেবী পূজার প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গেছিলেন মহাপুরুষ শ্রীরাম। রাবণকে বধ করার উদ্দেশ্যে শরতে দেবীর অকালবোধন করেন তিনি। সেই থেকে শরতেই দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়।
আশ্বিনের শুক্লাষ্টমীকে বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এইদিনে ১০৮টি পদ্মফুল উৎসর্গ করা হয় দেবীর পায়ে। জ্বালানো হয় ১০৮টি ঘিয়ের প্রদীপ। অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণ অবধি দেবীর পুজো চলতে থাকে। এই ক্ষণকে বলে সন্ধিক্ষণ। কেননা, অষ্টমী তিথির অন্তিম এবং নবমী তিথির প্রারম্ভের সম্মলনের সন্ধিঘটে এই বিশেষ ক্ষণের। তাই এই সন্ধিক্ষণে বিশেষ সন্ধিপূজা হয়। চণ্ডীপাঠ, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘণ্টা- সব মিলিয়ে চারদিক মুখোরিত হয় দুর্গা আরাধনায়।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী আজকের দিনেই দেবীদুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। অষ্টমী তিথিকে সকল দেবতাগণ অসুর বধে সাহায্য স্বরূপ দেবীকে নানাবিধ অস্ত্র উপহার দেন। দেবীর দশ হাত দেবতাদের বিশেষ শক্তিসম্পন্ন অস্ত্রে পরিপূর্ণ হয় ওঠে। অসুর বিনাশী দেবী দুর্গার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করে আজ মহোৎসব পালন করে ভক্তরা।
এছাড়াও আরও কিছু কারণে অষ্টমী পুজোর দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বিশেষত্ব পায়। আজকে দিনে কুমারীপূজা করা হয়। অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী কোনো বালিকা বা কিশোরীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করার এই রীতিই মূলত কুমারী পূজা। প্রতিটি নারীই দেবীর অংশ, তাদের দেবীজ্ঞানে শ্রদ্ধাভক্তি প্রদান করা উচিত- সেই বার্তা প্রচার করা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় কুমারী পুজার মাধ্যমে।