বুড়োর বিলে পদ্ম ফুলের রঙ-রূপ!



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বুড়োর বিলে পদ্ম ফুলের রঙ-রূপ!

বুড়োর বিলে পদ্ম ফুলের রঙ-রূপ!

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিয়াকে দেওয়ার জন্য কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার কেউ কথা রাখেনি কবিতায় বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে মাত্র ১০৮টি নীল পদ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষকে পদ্ম ফুল দিতে চান তাহলে ১০৮টি নয়, অগণিত পদ্ম ফুল দিতে পারবেন অনায়াসে তার হাতে।

আর এ জন্য আপনাকে আসতে হবে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির “বুড়োর বিলে”। এই বুড়োর বিল এখন সৌন্দর্য্যরে প্রতীক। প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য আগত সকল দর্শনার্থীকেই মুগ্ধ করছে। অপরুপ সৌন্দর্য এই বুড়োর বিলটি বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মঠবাড়িয়াতে অবস্থিত।


বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে থৈ-থৈ করছে পানির জলধারা। উপড়ে নীল আকাশ নিচে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। বিলের চারিপাশে সবুজের সমাহার আর ফুটে থাকা অজস্র পদ্ম ফুল আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের। প্রতিদিন পদ্ম ফুল দেখার জন্য বুড়োর বিলে ভিড় করছে সৌন্দর্যপিপাসু হাজারো মানুষ। স্নিগ্ধতার রঙ আর পূব আকাশের অস্তিম সূর্য মিলে একাকার এখানকার প্রকৃতি।

বিশুদ্ধতম এই পদ্ম ফুল দেখতে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থীরা ভিড় করছে বিলটির চারপাশে। হতাশার কথা হলো দর্শনার্থীদের চরম নিষ্ঠুরতায় নষ্ট হতে বসেছে বিলটির সৌন্দর্য। বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করে যাওয়ার সময় নিষ্ঠুর ভাবে ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে পদ্ম ফুল। ফলে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য।


তবে বিলটির সৌন্দর্য রক্ষার্থে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পদ্ম ফুল যাতে কেউ ছিড়তে না পারে সে জন্য বিলটি পাহাড়া দিচ্ছে গ্রাম পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, বিলটিতে বর্ষাকালে দেখা যায় গোলাপি আভা। এখানে প্রচুর পরিমাণে পদ্ম ফুল ফোটে। কিন্তু এই জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানায় হওয়ায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে বিলটিতে চাষাবাদ শুরু করা হয়। ফলে পদ্ম ফুল আর থাকে না। আমরা দাবি জানাই- প্রশাসন এই বিলটি সংরক্ষণ করে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলুক। তাহলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।


পদ্ম ফুল দেখতে আসা একাধিক দর্শনার্থী বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই পদ্ম ফুল সৌন্দর্য, ভালোবাসা ও পবিত্রতার প্রতীক। সনাতন ধর্মাম্বলীদের পূজার সময় এই ফুলের প্রয়োজন হয়। এই বিলটিতে যে পরিমাণ পদ্ম ফুল ফুটেছে তাতে প্রশাসনের উচিত বিলটি সংরক্ষণ করা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিলটির সৌন্দর্য যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে এবং আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওখানে গ্রাম পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় কিনা সেটা আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।

   

মেডেলিনে তাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ‘গ্রিন করিডোর’



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী মেডেলিনে ‘গ্রিন করিডোর’ প্রকল্প শহরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশগত সুবিধার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে পুরো শহর জুড়ে গাছের শীতল ছায়ার ব্যবস্থা করেছে দেশটি।

মেডেলিনকে ‘বসন্তের শহর’ বলা হয়। মেডিলিনের নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু সারা বছরই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। নতুন নির্মিত ভবন ও রাস্তাগুলো তাপ শোষণ করে ধরে রাখে। তবে স্থানীয় সরকারী তথ্য অনুসারে, নতুন গ্রিন করিডোরগুলো শহর জুড়ে ২ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস করেছে।

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেডেলিনে বায়ু দূষণ ও ক্রমবর্ধমান তাপ নিয়ে উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে "গ্রিন করিডোর" প্রোগ্রাম শুরু হয়। ৩০ টিরও বেশি সবুজ করিডোর রয়েছে এ শহরে। করিডোরগুলো নতুন রাস্তার প্রান্ত, উদ্যান, পার্ক এবং নিকটবর্তী পাহাড়গুলোকে সংযুক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে শহর জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০হাজার গাছ লাগানো হয়। ১২ হাজার ৫০০ টি গাছ রাস্তা ও পার্কে রোপন করা হয়। এছাড়া আরো ২৫ লক্ষ ছোট গাছের চারা রোপন করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে শহর জুড়ে ৮ লক্ষাধিক বড় গাছ রোপন করা হয়।

স্থানীয় সরকারের মতে, প্রকল্পটি জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় ১৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ লক্ষ২৫ হাজার মার্কিন ডলার।

ওইসিস কাস্ত্রো যিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে শহরের ওরিয়েন্টাল অ্যাভিনিউয়ের একটি স্ট্যান্ডে ফল বিক্রি করেন। কয়েক দশক আগের কথা মনে করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার একটি ট্রাফিক প্রকল্পের কাজের সময় রাস্তার সারিবদ্ধ গাছগুলো উপড়ে ফেলেছিল।

কাস্ত্রো বলেন, বর্তমানেও ওরিয়েন্টাল অ্যাভিনিউ রাস্তাটি ট্রাফিক ও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখন রাস্তার দুপাশে বড় বড় ফল গাছ, ফুল গাছ ও ঝোপঝাড়ে সবুজ এলাকায় পরিণত হয়েছে।

এখানকার তাপমাত্রা সারা বছরই উপভোগ্য মনে হয়। শহরের যেসব অঞ্চলে বেশি গাছপালা নেই সেসব জায়গার তুলনায় অনেক সতেজ থাকে এই এলাকা। সাইকেল লেনের দুপাশে সারিবদ্ধ গাছের পাশে বেঞ্চগুলোতে পথচারীরা বিশ্রাম নিতে পারেন।

শহরের তাপমাত্রা কমিয়ে শীতল করার জন্য প্রকল্পটি এখন বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বায়ুর গুণগত মান উন্নয়নে ভালো কাজ করছে। এটি শহরে বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে এনেছে।

একটা সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্চ তাপপ্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শহরগুলোতে।

সবুজ করিডোরের প্রতি মেডেলিনের দৃষ্টিভঙ্গি একটি কম খরচে, জনপ্রিয় সমাধান দেয় যা অন্যান্য শহরগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে প্রতিলিপি করতে চাইছে। এটি কি ভবিষ্যতের একটি জলবায়ু-স্থিতিশীল শহরের জন্য একটি মডেল হতে পারে?

মেডেলিন কম খরচে ‘গ্রিন করিডোর’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাপ প্রবাহ কমানোর একটা জনপ্রিয় সমাধান দেয়। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের তাপপ্রবাহ কমাতে মেডেলিনকে অনুসরণ করছে। মেডেলিনকে ভবিষ্যতের জলবায়ু-স্থিতিশীল শহরের জন্য একটি মডেল ভাবা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার মতে, মেডেলিনের বায়ুদূষণের মাত্রা পিএম ২.৫। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ডব্লিউএইচও জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট ও বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।

যাইহোক, শুষ্ক মৌসুমে যখন শহরটিতে বৃষ্টিপাত হ্রাসের কারণে বায়ুর অবস্থার সবচেয়ে খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয় তখন মেডেলিন বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) পিএম২.৫ এর ৫৫ µg/m3-এ পৌঁছাতে পারে। যখন দূষণ ৩৮ µg/m3-এর বেশি হয়ে যায়, তখন উপত্যকার প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা স্বরুপ গাড়ি ব্যবহারে বিধিনিষেধ দিতে পারে।

২০১৫-১৬ সালে আমরা বায়ু দূষণের শীর্ষে পৌঁছেছিলাম বলে জানিয়েছেন সে সময়কার মেডেলিনের স্থানীয় অবকাঠামো সচিব পাওলা প্যালাসিও। তিনি বলেন, পরিবেশগত সমস্যায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।

২০২০ সালে মেডেলিনের অ্যান্টিওকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে আবুরা উপত্যকা অঞ্চলে দূষণের কারণে ১হাজার ৯৭১ জনের অকালমৃত্যু ঘটেছে। যানবাহন থেকে ধোয়া নির্গমনের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে দূষণের কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

গবেষকরা বলছেন, গ্রিন করিডোরে ব্যবহৃত গাছগুলো এই বিপজ্জনক কণার বিরুদ্ধে বাধা হিসাবে কাজ করে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দূষণ শোষণ করে নেয়।
মেডেলিন প্রকল্পে ব্যবহৃত কিছু প্রজাতির গাছ দূষণ শোষণে বিশেষভাবে দক্ষ বলে পরিচিত।

গ্রিন করিডর প্রকল্প বায়ু দূষণ কতটা কমিয়েছে তা নিয়ে কোনো সামগ্রিক সমীক্ষা বা পর্যালোচনা এখনও দেখা যায়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, এর প্রভাব অধ্যয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, গবেষণা ফলাফল ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশিত হবে।

৩০টি গ্রিন করিডোরের পাশাপাশি, প্রায় ১২৪ টি পার্কও প্রকল্পের অংশ হিসেবে করিডোর দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে। শহর জুড়ে সবুজের এই বৃদ্ধি জলবায়ুর ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অ্যান্টিওকিয়ার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, এই পার্কগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি, নুটিবারা এবং ভোলাডোর পাহাড় বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতি বছর ৪০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) অপসারণ করে থাকে।

;

সিংহের সমুদ্র বিলাস!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আরব সাগরের তীরে সিংহের সমুদ্রবিলাস । ছবি: সংগৃহীত

আরব সাগরের তীরে সিংহের সমুদ্রবিলাস । ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রের পানিতে পা ভেজাতে কার না ভালো লাগে। তার উপর বিশাল ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়ে তা উপভোগ করা সত্যিই মনোমুগদ্ধকর। মানুষের মতোই হয়তো সিংহেরও সমুদ্র বিলাস করতে ইচ্ছে হয়েছে! তা না হলে সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে সিংহের কাজ কি? এমন এক দৃশ্যেরই দেখা মিলেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের জুনাগড় শহরে আরব সাগরের তীরে। ভাইরাল হওয়া সেই ছবিতে সিংহটিকে আরব সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে দেখা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এমন তথ্য দিয়েছে। 

জুনাগড়ের এক বন কর্মকর্তা এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) শেয়ার করে লিখেছেন, ভাদ্র পুর্ণিমার টহল চলাকালীন দরিয়া কাঁথা এলাকায় সাগরের তীরে একটি সিংহ দেখা গেছে।

পরে, ভারতীয় বন পরিষেবা অফিসার পারভীন কাসওয়ানও এ সুন্দর দৃশ্যের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, একটি সিংহকে গুজরাট উপকূলে আরব সাগরের জোয়ার উপভোগ করতে দেখা যায়। দৃশ্যটি অসাধারণ!

সিংহের সমুদ্র বিলাসের ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ছবিটি বিভিন্ন লেখা দিয়ে শেয়ার করেছেন।

ছবিটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, অত্যাশ্চর্য! গুজরাটের উপকূলে লায়ন কিং এর সমুদ্র তটের নির্মলতা। এই সৌন্দর্যের জন্য জুনাগড়ের মুখ্য বন কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ!

অন্য একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, গুজরাটের সিংহের কাজকে আমরা সকলেই প্রশংসা করি। এতো বড় বড় ঢেউয়ের মধ্যেও স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবিশ্বাস্য।

 

;

দাঁত দিয়ে গাড়ি টেনে বিশ্ব রেকর্ড!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দিমিত্র হারুনাস্কি। ছবি: সংগৃহীত

দিমিত্র হারুনাস্কি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনিয়ান নাগরিক দিমিত্র হারুনাস্কি (৩৪) দাঁত দিয়ে ছয়টি গাড়ি টেনে অতীতের রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি মাত্র ১৫.৬৩ সেকেন্ডে ৬টি গাড়ি ৩০ মিটার পর্যন্ত টেনে এ রেকর্ড করেন। এর আগের রেকর্ডটি ছিল সিরিয়ার নাগরিক সালেহ ইয়াজানের দখলে। তিনি ২০২২ সালে মাত্র ১৮.১৩ সেকেন্ডে দাঁত দিয়ে ৬টি গাড়ি ৩০ মিটার পর্যন্ত গাড়ি টেনেছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে এ তথ্য জানা যায়। 

রেকর্ড সংরক্ষণকারী সংস্থা থেকে জানা যায়, দিমিত্র হারুনাস্কি সবচেয়ে কম সময়ে (১৫.৬৩ সেকেন্ড) দাঁত দিয়ে ৬টি গাড়ি টেনে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। তাঁর এই রেকর্ডের জন্য অভিনন্দন জানাই।

এই রেকর্ডের শর্ত হলো, সব গাড়িগুলো নিরপেক্ষ গিয়ারে থাকবে এবং ইঞ্জিনগুলো বন্ধ থাকবে। তবে, প্রতিযোগিরা যাতে একটি সোজা লাইনে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য চালকদের তাদের আস্তে আস্তে স্টিয়ার করতে হয়।

ছয়টি গাড়ি এবং চালকসহ মোট ওজন ছিল ৭৬০৪ কেজি (১৬,৭৬৪ পাউন্ড)।

দিমিত্র জানান, আমি এই বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙতে চেয়েছি এবং এটি এখন নিজের দখলে নিতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমার শখ হল চরম শক্তির কৌশল এবং লক্ষ্য হল একাধিক রেকর্ডধারী হওয়া।

তিনি আরও জানান, এই রেকর্ডটি করার জন্য আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করেছি, কখনও হাল ছেড়ে দেই নাই। আমি এই রেকর্ডটি আমার দেশ ইউক্রেনকে উৎসর্গ করছি। 

তিনি ইতোমধ্যেই দাঁত দিয়ে সাতটি গাড়ি টেনে নিজের রেকর্ডটি ভাঙার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।

;

হাতির বিনয়ী আচরণে বিস্মিত!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাতিটি শুঁড় দিয়ে শিশুটির জুতা ফিরিয়ে দিচ্ছে । ছবি: সংগৃহীত

হাতিটি শুঁড় দিয়ে শিশুটির জুতা ফিরিয়ে দিচ্ছে । ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্তিশালী এবং বিশাল দৈত্যকার হয়েও বিনয়ী। পশুদের মধ্যে হাতি অনেকটা এরকমই। তবে, প্রাণীটি উত্তেজিত হলে কি রূপ ধারণ করতে পারে তা নিশ্চয়ই সকলের জানা! কিন্তু, তারপরও তারা সবচেয়ে আদরের প্রাণীদের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। চতুরতা এবং কৌতুকপূর্ণ রঙ্গভঙ্গ দিয়ে সহজেই মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়। চীনের একটি চিড়িয়াখানায় একটি হাতি যেন ফের এই কথাগুলোই প্রমাণ করল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে, একটি হাতির ঘেরের মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি শিশুর জুতা ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর জানিয়েছে।

এ ঘটনাটি চীনের শানডং-এর ওয়েইহাই শহরের একটি চিড়িয়াখানায় ঘটেছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাতিটি একটি শিশুর জুতা ফিরিয়ে দিচ্ছে যা দুর্ঘটনাক্রমে তার ঘেরের ভিতরে পড়ে গেছে। 

ভারতের বন বিভাগের কর্মকর্তা সুশান্ত নন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করে। 

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, চীনের একটি চিড়িয়াখানায় শান মাই নামের ২৫ বছরের একটি হাতির ঘেরের মধ্যে একটি শিশুর জুতা পড়ে আছে। পরে জুতাটি হাতিটির শুঁড় দিয়ে শিশুটিকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ারের পর অনেকেই হাতির দয়া এবং বুদ্ধিমত্তা দেখে বিস্মিত হয়েছে। অনেকেই ভিডিওটিতে মন্তব্য করেছেন। 

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, হাতিটিকে চিড়িয়াখানায় বন্দি করে রাখা ঠিক হবে না। তাকে তার পুরনো আবাসস্থলে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।   

দ্বিতীয় একজন বলেছেন, হাতি খুবই বুদ্ধিমান এবং সংবেদনশীল প্রাণী।

এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়ে একজন লিখেছেন, একটি হাতির মধ্যে এতো বুদ্ধি ও ভালবাসা রয়েছে! 

উল্লেখযোগ্যভাবে, হাতিরা বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দৃঢ়, অন্তরঙ্গ বন্ধন গড়ে তুলতেও পরিচিত এবং প্রায়শই একসাথে দৈনন্দিন কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

;