সময়মতো সেটে আসায় সহশিল্পীদের চমকে দিলেন অক্ষয়



বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

‘হাউজফুল’ ছবির তিনটি কিস্তিতে ইতিমধ্যে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। আগামী ২৫ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এর চতুর্থ কিস্তি ‘হাউজফুল ফোর’। যেখানে বলিউডের এই সুপারস্টারের পাশাপাশি দেখা যাবে ববি দেওল, রীতেশ দেশমুখ, পূজা হেগড়ে, কৃতি শ্যানন, কৃতি খারবান্দা ও রানা ডাগ্গুবাতিসহ অনেককে।

জানা গেছে- ছবিটির শুটিংয়ের জন্য ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত ছবির কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে মাত্র ৬৫ দিন। কেননা এর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সদস্যই নাকি সময়ের কাজ সময় মতো করেছেন। এমনকি খুব সকালে শুটিং থাকলেও সময়মতো সেটে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা।
অক্ষয় কুমার

চমকপ্রদ তথ্য হলো- টিমের সদস্যরা এমন সময়নিষ্ঠ হওয়ায় তাদের সকলেই বিশেষ উপহার দিয়েছেন অক্ষয় কুমার।

এ প্রসঙ্গে অক্ষয়ের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র জানান, ‘একদিন শুটিংয়ের সময় কে কি পছন্দ করেন টিমের সকল সদস্যদের থেকে জেনে নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। সেই সঙ্গে তারা কী খেতে পছন্দ করেন সেটিও। পরের দিন সকলকে পছন্দের জিনিস ও খাবার নিয়ে সেটে এসে চমকে দিয়েছিলেন এই খিলাড়ি তারকা।’

   

বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় ‘অমীমাংসিত’ আটকে দিল সেন্সর বোর্ড



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার

‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

নৃশংস খুনের বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মিল থাকার অভিযোগ তুলে পরিচালক রায়হান রাফী পরিচালিত আইস্ক্রিন অরিজিনাল ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’কে আটকে দিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড। গতকাল বুধবার ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে, সিনেমাটি ‘প্রদর্শন উপযোগী নয়’।

সেন্সর বোর্ড থেকে সিনেমাটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য বলার কারণ হিসেবে যুক্তি দেওয়া হয়, ‘এতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাল্পনিক কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে। এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’

মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন

কারা খুন করল অর্ণব আর নীরুকে? মুখোশধারী লোকগুলো কারা? এই অমীমাংসিত রহস্যের আদৌ কী জট খুলবে? গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেইসবুকে এই পোস্ট লিখেছিলেন নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রকাশ করেছিলেন ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার টিজার এবং পোস্টার। যা দেখে দর্শকদের কেউ কেউ বলছিলেন, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানিয়েছেন রাফী। কেউ আবার আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ কিংবা সেন্সর বোর্ডও সরাসরি সাগর-রুনির নাম বলেননি।

সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি পরদিন ৪ মার্চ সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেন। এরপর সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২২ এপ্রিল বোর্ড সদস্যরা পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনরায় যাচাই শেষে বোর্ড সভায় চলচ্চিত্রটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সভায় সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা মত দেন, ‘দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। তবে সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চাইলে এ পত্র প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বরাবর আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন।

আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ আহমেদ

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে ‘অমীমাংসিত’ মুক্তির ঘোষণা ছিল। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পেছানো হয় তারিখ। এরপর ঈদের বিশেষ চমক হিসেবে মুক্তির কথা জানানো হয়। সেটিও পরে হয়নি। সেন্সর বোর্ডের আপত্তির বিষয়ে আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘তারা কেন এ সিনেমা নিয়ে আপত্তি করেছে, আমাদের বোধগম্য নয়, আমরা এখন আপিল করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি সাগর-রুনি হত্যার ঘটনা নিয়ে সিনেমা না। ২০১৮ সালের এক দম্পতি খুনের ঘটনা নিয়ে এই সিনেমাটি। ঘটনাক্রমে সেই দম্পতি ছিলেন সাংবাদিক। এর জন্য হয়ত কেউ কেউ মনে করছেন, এটা সাগর-রুনির খুনের ঘটনা নিয়ে। আমরা কিন্তু তা বলছি না। যদি ছবির গল্প সাগর-রুনির সঙ্গে আংশিক মিলেও যায়, তাহলে কি এটা বন্ধ করে দিতে হবে, আমি জানি না। ’
নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘যে কোনো ধরনের গল্প নিয়েই তো সিনেমা হতে পারে। এই সিনেমায় আপত্তি করার মত কী আছে, ঠিক বুঝতে পারছি না।’

সিনেমার পোস্টারে দেখা যায়, মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। তাদের পেছনে কয়েকজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে; যাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা। তবে তারা কারা, এর উত্তর মিলবে মূল ছবিতে।

নির্মাতা রায়হান রাফী

সিনেমাটি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিনা- এমন প্রশ্নে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেলেন, ‘সাংবাদিকের গল্প বলেই কেউ কেউ ধারণা থেকে বলছে, এটি সাগর-রুনির ঘটনা নিয়ে।’

;

অভিমান ভুলে ‘ব্ল্যাক’-এ ফিরছেন জন-তাহসান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জন কবির ও তাহসান খানের একাল-সেকাল

জন কবির ও তাহসান খানের একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা রক গানে জোয়ার এনেছিল ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। ১৯৯৮ সালে তিন বন্ধু জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় এ ব্যান্ডের। পরে যোগ দেন মিরাজ ও তাহসান। ২০০২ সালে বাজারে আসে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘আমার পৃথিবী’। অ্যালবামের গানগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলে দেশের তরুণ শ্রোতাদের মাঝে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পরের বছর প্রকাশিত হয় ‘উৎসবের পর’।

এ অ্যালবাম ‘ব্ল্যাক’কে নিয়ে আসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে ২০০৪ সালে ব্যান্ডটি ছেড়ে দেন তাহসান। আর জন কবির ‘ব্ল্যাক’ থেকে বেরিয়ে আসেন ২০১১ সালে। শোবিজে গুঞ্জন, এই দুই তারকা মান অভিমান থেকেই আর একসঙ্গে কাজ করতে চাননি। এমনকি এতো বছরে এই দুজনকে একসঙ্গে আর কখনোই দেখা যায়নি।

তাহসান খান

তবে ‘ব্ল্যাক’ ভক্তদের জন্য দারুণ খবর রয়েছে। দীর্ঘদির পর আবার ‘ব্ল্যাক’-এ ফিরছেন জন ও তাহসান। ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে গতকাল একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন জন। সেটা ফোনে জানাচ্ছেন মিরাজকে। তিনি ফোন করে খবরটি জানান তাহসানকে। শুনেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাহসান। প্যাডে জ্যামিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ব্ল্যাকের সদস্যরা। সেখানেও পৌঁছে যায় সুখবর। জাহানের ফোনে ঘুম ভাঙে টনির। বিষয়টি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন টনি। কী নিয়ে কথা হয়েছে ব্ল্যাকের বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের মধ্যে, ভিডিওতে সেটা জানানো হয়নি। তবে ক্যাপশনে লেখা ‘ব্যাক টু স্কুল’ থেকে অনেকে অনুমান করেছেন, আবারও এক হচ্ছেন ব্ল্যাকের সদস্যরা।’

জন কবির

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় ব্ল্যাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমানে ইন্দালো ব্যান্ডের প্রধান জন কবিরের সঙ্গে। জন বলেন, ‘একসঙ্গে একটা শো করছি আমরা। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পারফরম্যান্স করব। গাইব একসঙ্গে। বলা যায়, পুরোনো দিনের সবাই থাকবেন এতে।’

জানা গেছে, আগামী ১০ মে ঢাকায় ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০’ কনসার্ট আয়োজন করেছে অ্যাডভেন্টর কমিউনিকেশন। এ কনসার্টেই দেখা যাবে ব্ল্যাকের পুরোনো লাইনআপ। কনসার্টটির জন্যই মূলত এক হচ্ছেন ব্ল্যাকের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা। এটিকে তাই বলা হচ্ছে ব্ল্যাকের রি-ইউনিয়ন।

তিশার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জন কবির ও তাহসান খান

ওই দিনেই প্রকাশ করা হবে ব্যান্ডের নতুন গান। ব্ল্যাক ছাড়াও এ কনসার্টে পারফর্ম করবেন অনি হাসান, ব্যান্ড রিকল, পপাই বাংলাদেশ, ফারুক ভাই প্রজেক্ট, ক্রিপটিক ফেইটসহ অনেকে।

;

নতুন কমিটির ওপর নাখোশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের প্রধান কমিশনার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু

এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করাই চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এই অলাভজনক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে বহু জলঘোলা আর কাদা-ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটছে।

যদিও এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, ফল ঘোষণা-সবই ছিল শান্তিপূর্ণ। ঝামেলা শুরু হয় গত মঙ্গলবার, শপথ অনুষ্ঠানের দিন। এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত এই শপথে নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পড়িয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, যে কাজ তার করার কথা ছিল না। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী শপথ পড়ানোর কথা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা খোরশেদ আলম খসরু।

উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শপথ পড়াতে ডাকা হয়নি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। কাজী হায়াৎ যখন শপথ পড়াচ্ছিলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়ে দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন খসরু। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন তিনি।

খসরু বলেন, ‘শপথের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমাকে ডাকেনি। এটা সংগঠনগুলোর একটি নিয়ম, যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি শপথবাক্য পাঠ করান। সেখানে আমি থাকা অবস্থায় যখন দেখলাম, তারা আমাকে কিছু বলছে না, ডাকছে না। যখন কাজী হায়াৎ সাহেবের নাম ঘোষণা দিল, তখন আমি চলে এলাম, কিছুটা অপমানিত বোধ করে চলে এলাম। আমার মেয়াদকাল ছিল। কাজী হায়াতের কি মেয়াদ আছে?’

খোরশেদ আলম খসরু

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সংকীর্ণ মনমানসিকতার পরিচয় ছাড়া কিছুই নয়। হয়তো ইশারা-ইঙ্গিতে হয়েছে। কারণ, আগের দিনই সভাপতি বলেছে, শপথ আমিই পড়াব। তারপর সেখান থেকে সরে আসছে। ওনার কথামতো আমি উপস্থিত ছিলাম। এটা তো নিয়ম। নির্বাচন কমিশন অপারগতা প্রকাশ করলে আগের মেয়াদের সভাপতি দিয়ে পড়ানোর কথা। তখন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব পড়াতেন। এটাই নীতি। কিন্তু তারা যা খুশি তা-ই করল।’

এ সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে এই প্রযোজকনেতা বলেন, ‘নির্বাচিত সব সদস্যরা কীভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাল? এটা সম্পূর্ণই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা হওয়া উচিত ছিল না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবশ্যই ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল।’

;

আজীবনের জন্য বয়কট জয় চৌধুরী, আরও যে সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জয় চৌধুরী /  ছবি : ফেসবুক

জয় চৌধুরী / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র সমিতির শপথের দিন এফডিসি প্রাঙ্গণে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন শিল্পীরা। হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এই ঘটনা নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে চলছে তোলপাড়। সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর সংবাদ সম্মেলন করে সবার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান জয় চৌধুরী। যদিও ক্ষমা চাইতে এসেও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান তিনি।

সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকেরা। পাশাপাশি প্রতিবছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

জায়েদ খান, ডিপজল, মিশা সওদাগরের সঙ্গে জয়ের গভীর সম্পর্ক। ছবিটি শিল্পী সমিতিতে প্রয়াত নায়ক ফারুক ও জায়েদের সঙ্গে জয়

গত বুধবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, শিল্পী সমিতি যদি তাকে কোনো কার্যক্রমে রাখে, আমরা শিল্পী সমিতিকেও বয়কট করব। জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো পরিচালক-প্রযোজক সিনেমা বানান, সেটার প্রচার পাবেন না।

পাশাপাশি চলচ্চিত্রের এতগুলো মানুষ থাকা সত্ত্বেও জয় চৌধুরীকে থামাতে পারলেন না, তার মানে তারা ব্যর্থ। এ কারণে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করা হবে। আমরা এটা প্রত্যেক বছর পালন করবই। এমনকি ওই দিন কোনো সিনেমার মুক্তির দিন থাকলেও আমরা প্রচার করব না।’

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিক ছবি করেছেন জয় চৌধুরী /  ছবি : ফেসবুক

শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তসহ অন্যরা এক মাসের জন্য বহিষ্কার থাকবেন। এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরাও। সাংবাদিকেরা বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। অন্যদের দায়দায়িত্ব নিচ্ছেন। সে কারণেই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের এই সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী।

জয় চৌধুরী /  ছবি : ফেসবুক

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।

;