যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত ‘ওয়ার’ ছবির মধ্য দিয়ে প্রথমবার রূপালি পর্দায় একসঙ্গে হাজির হতে যাচ্ছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ। ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ছবির ট্রেলার ও দুটি গান। যা দর্শক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘ওয়ার’ আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় চলবে ছবিটির প্রচারণা। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হলো- হৃতিক-টাইগার নাকি একসঙ্গে ছবির প্রচারণায় অংশ নেবেন না। কিন্তু কেন? তাহলে কী ছবির মতো বাস্তবেও তাদের মধ্যে রয়েছে শত্রুতা!
এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পরিচালক সিদ্ধার্থ জানান, ‘‘ওয়ার’ প্রথমবারের মতো দুই অ্যাকশন সুপারস্টারকে একসঙ্গে নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে। তাই আমরা চাই দর্শকরা হৃতিক-টাইগারকে শুধুমাত্র রূপালি পর্দায় দেখুক। এ কারণে তারা দু’জনে একসঙ্গে কোন প্রচারণায় অংশ নেবেন না।’
হিন্দি নয়, তামিল ও তেলেগু ভাষাতেও নির্মিত হবে ‘ওয়ার’। এতে হৃতিকের বিপরীতে দেখা যাবে বানি কাপুরকে। তবে টাইগারের নায়িকা কে তা এখনও অজানা।
গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।
কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’
অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।
নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।
ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।
ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।
কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’
তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।
জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।
চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কোন উত্তাপ নেই। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থতি কম। এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় ভোটগ্রহণ কম।
তবে এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহই নাকি করছেন ৪০০ জন সংবাদকর্মী। এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক চূড়ান্ত করে পাস দিয়েছি।
এতো সংবাদকর্মী কেন? এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ধরেন একটা টেলিভিশন চ্যানেল, তারা আবেদন করে ১০ জনের জন্য। কারণ ক্যামেরা পারসন, সংবাদকর্মী, সহকারী থাকেন। তারা আবার দুই শিফটে কাজ করবেন। তাহলে বলুন একটা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ১০ জন হয়। তাহলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন হবে না?
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকালে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
আজ বিএফডিসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ থেকে ২০২৬ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগরের বিপক্ষে সভাপতি পদে লড়ছেন এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা মাহমুদ কলি। ভোটকেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমকে মাহমুদ কলি জানান, পুরো প্যানেলসহ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তার ভাষ্য, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি চলচ্চিত্রের মানুষেরা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলকে জয়যুক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুবই সুন্দর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি সবার জন্য ভালো। সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু জুমার নামাযের পর উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। আনন্দঘন পরিবেশে, সৌহার্দপূর্ণভাবে যাতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ। এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
প্রসঙ্গত, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা।