বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ‘বলী: দ্য রেসলার’
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন
কক্সবাজারের বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বুসানের সেরা পুরস্কারজয়ী সিনেমা ‘বলী: দ্য রেসলার’।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পেঁচার দ্বীপ সৈকতের মারমেইড বিচ রিসোর্টে আয়োজিত এই ফেস্টিভ্যাল চলবে ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি।
বিজ্ঞাপন
বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের আয়োজক মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী জানান, ‘বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে বড় অর্জন বয়ে এনেছে “বলী: দ্য রেসলার”। চট্টগ্রামের বলীখেলার ঐতিহ্য আর সাগরপাড়ের লোকগাথা মিলিয়ে সিনেমাটি আমাদের ফেস্টিভ্যালের থিমকে ধারণ করে। সাগরপাড়ে ধারণ করা এই সিনেমা সাগরপাড়ে বসে দেখার অভিজ্ঞতা হবে অসাধারণ।’
ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত ‘বলী: দ্য রেসলার’ দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ছাড়া প্রদর্শিত হয়েছে সাংহাই, টরন্টো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও বার্সেলোনা শহরে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এই সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান ফিল্ম আর্কাইভে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া এবারের ৯৭তম অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক ছবির বিভাগে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয় সিনেমাটি।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, এ কে এম ইতমাম, প্রিয়াম, অ্যানজেল নুর, তাহাদিল আহমেদ, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
গত শুক্রবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলার নাম ভূমিকায় অভিনীত সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। তারকাবহুল ছবিটি হুট করে মুক্তি পাওয়ায় অনেক দর্শক হয়তো খবরটি জানেই না। এজন্য থিয়েটার দর্শক সমাগম তেমন নেই।
কিন্তু যারা বলে থাকেন, আমাদের দেশে ভালো ছবি হচ্ছে না, তাদের অন্তত দায় রয়েছে ভালো ছবি মুক্তি পেলে তা হলে এসে দেখার। ‘জলে জ্বলে তারা’ প্রকৃতঅর্থেই একটি ‘ভালো ছবি’। পরিচালক অরুণ চৌধুরী অত্যন্ত নির্মোহভাবে ছবিটি করেছেন। ‘দর্শক খাওয়ানো’র কোন ফন্দি ফিকির তিনি করেননি। শুধু গল্পটার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখেই তিনি এগিয়ে গেছেন পরিণতির দিকে। প্রচলিত গল্পের অনেক দিকেই ধাক্কা দেয় ছবিটি। চরিত্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যাকগ্রাউন্ড একইসঙ্গে জটিল বলেই তা বাস্তবঘেষা মনে হয়েছে।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার অভিনেতা নূর ইমরান, নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, অভিনেতা নাঈম ও অভিনেত্রী মিথিলা
দিনশেষে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ পুরো টিমের। কারণ ছবিটির প্রতিটি সেক্টরে যত্নের ছাপ পরীলক্ষিত হয়। ছোট করে বলতে গেলে- ছবির লোকেশন, কাস্টিং, কস্টিউম, মিউজিক, আবহসঙ্গীত, ক্যামেরার কাজ, সেট, প্রপস সবকিছুই গল্পটিকে দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছে। এজন্যই লেখার শুরুতে বলা, ‘জলে জ্বলে তারা’ প্রকৃতঅর্থেই ভালো ছবি হয়ে উঠেছে।
ছবির নাম ভূমিকা ‘তারা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, এফ এস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু, মোস্তাফিজ নূর ইমরান ও মুনিরা মিঠু। প্রত্যেকে যার যার চরিত্রে কী দারুণ অভিনয় করেছেন সেটা দেখতে হলেও দর্শকের হলে যাওয়া উচিত।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টারে মিথিলা
মিথিলার কাছে প্রশ্ন, লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর অনেকগুলো বছর কেন আপনাকে শুধু মিষ্টি প্রেমিকার চরিত্রেই দেখা গেলো? আপনি কি নিজেই জানতেন না যে জটিল থেকে জটিলতম চরিত্র কতো অনায়াসে হৃদয়গ্রাহী করে তুলতে পারেন?
দর্শক এই কথাগুলোর সঙ্গে একমত হবেন, যদি তারা মিথিলার সাম্প্রতিক কাজগুলো দেখে থাকেন। তিনি যেমন ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াকু সৈনিক, তেমনি তিনি ‘কাজল রেখা’র ধূর্ত লোভী নারী কঙ্গন দাসী। আবার তিনিই ‘জলে জ¦লে তারা’র বারবনিতা তথা সার্কাসকন্যা, যার জীবনের লাভের কোঠা শূণ্য। শুধু হারতে হারতে সে ক্লান্ত, যার বহিঃপ্রকাশ তার কলকলিয়ে ফেটে পড়ার হাসির মধ্যে। শুধু একটু ভালোবাসা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায় সে। তাইতো বিবাহিত এক বাচ্চার বাবার প্রেমে পড়তেও দ্বিধা বোধ করে না।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টারে নাঈম
নাঈম নিজেকে ভেঙেছেন ছবিটির জন্য। তার সুঠম দেহশৈষ্টবের দারুণ ব্যবহার করেছেন নির্মাতা। তার নির্লিপ্ত মুখাবয়ব যেন কিছু না বলে অনেক কথাই বলে যায়। নূর ইমরান যেন ক্ষ্যাপাটে ঘোড়া। ভালোবাসার জন্য কি না করতে পারে সে! নির্মম পরিহাসের ভয় তার নেই।
আজাদ আবুল কালাম যে ছবিতে থাকেন সে ছবিতে অন্য কারও অভিনয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করাই মুশকিল। এই ছবিতেও নিজের জাত ধরে রেখেছেন তিনি। তাকে দেখে দর্শকের গা রি রি করে ওঠাই প্রমাণ করে তিনি নিজের চরিত্রে কতোটা সার্থক। মিথিলার এখানেই স্বার্থকতা, আজাদ আবুল কালামের পাশেও তিনি সমান উজ্জ্বল। এই মিথিলাকে আগে কেউ দেখেনি।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টার
ফজলুর রহমান বাবু ও মুনিরা মিঠু অসহায় সন্তানের প্রতীক্ষায় দিনগোনা বাবা মায়ের চরিত্রে ছিলেন অনবদ্য। তাদেও পরিণতি দর্শকের মনে কষ্টের সঞ্চার করে নিঃসন্দেহে।
অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ‘হাঙ্গার গেইমস’-এ অভিনয় করে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তারকা বনে যান এ হলিউড অভিনেত্রী। এরপর বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়ে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে হলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বছর খানেক ছিলেন বিরতিতে।
তবে আবারও ফিরছেন বড় পর্দায়। সিনেমার নাম ‘ডাই, মাই লাভ’। এটি পরিচালনা করেছেন স্কটিশ নির্মাতা লেন রামসি।
প্রতিবদন অনুসারে, ‘ডাই, মাই লাভ’ সিনেমার কাহিনি গ্রামীণ আমেরিকায় সেট করা হয়েছে, যেখানে এক নারীর (লরেন্স) প্রেম ও পাগলামিতে নিমজ্জিত জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
জেনিফার লরেন্স ও রবার্ট প্যাটিনসন
রবার্ট প্যাটিনসন অভিনয় করেছেন তার স্বামীর চরিত্রে, আর স্ট্যানফিল্ড তার প্রেমিকের ভূমিকায়। এ ছাড়া এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন সিসি স্পেসেক এবং নিক নল্টেসহ আরও অনেকে।
এখনো সিনেমা মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করেননি নির্মাতা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনিফার লরেন্সকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘নো হার্ড ফিলিংস’ সিনেমায়। এটি পরিচালনা করেছেন জিন স্টুপনিটস্কি। জেনিফারের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন অ্যান্ড্রু বার্থ ফেল্ডম্যান, লরা বেনান্টি, ম্যাথিউ ব্রডরিকসহ আরও অনেকে।
শোবিজ অঙ্গনের মডেল-অভিনেত্রী মানেই গ্ল্যামারাস লুক আর লাস্যময়ী উপস্থাপনা। ঘরোয়া কিংবা সাধারণ কোনো লুকে খুব একটা দেখা মেলে না তারকাদের। তবে নুসরাত ফারিয়া বেশ সাধারণ বেশেই নিজেকে হাজির করলেন ভক্তদের সামনে। আর সেই সাধারণ লুকের প্রশংসায় মগ্ন ভক্ত অনুরাগীরাও।
অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিয়মিত সক্রিয় নুসরাত ফারিয়া। অনুরাগীদের সংস্পর্শে থাকেন সবসময়। শুধু ফেসবুক পেজেই তাকে অনুসরণ করে ৭০ লাখের বেশি ভক্ত। এ ছাড়া তার প্রোফাইলে আছে আরো ৫ লাখের বেশি অনুসারী।
নুসরাত ফারিয়া । ছবি: ফেসবুক
আর ইনস্টাগ্রামে আছে তার ৪০ লাখের বেশি অনুসারী। এবার নিজের খুব সাধারণ কিছু ছবি পোস্ট করে চমকে দিলেন সবাইকে। সোমবার সন্ধ্যায় নুসরাত ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন।
ছবিতে মেকআপহীন ঘরোয়া লুকেই দেখা মিলেছে এই অভিনেত্রীর। কালো সালোয়ার কামিজের সঙ্গে কপালে ছোট্ট একটা টিপ। সেই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে ফারিয়া লিখেছেন, তার চোখে তুমি সবসময় সুন্দর।
নুসরাত ফারিয়া । ছবি: ফেসবুক
ছবিগুলো দেখে ভক্তরাও অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। কেউ মন্তব্য করছেন, ‘সুহাসিনী’। কেউ লিখেছেন, ‘অসম্ভব সুন্দর মনোমুগ্ধকর’।
কারো মতে, ‘খুব স্নিগ্ধ, খুব সাধারণ, খুব ন্যাচারাল’। কোনো এক অনুরাগীর মন্তব্য, ‘যে আপনাকে পছন্দ করে তার কাছে আপনি সকল অবস্থাতেই সুন্দর’।
নুসরাত ফারিয়া । ছবি: ফেসবুক
মডেলিং ও অভিনয়ের বাইরে পড়াশোনাতেও বেশ মনোযোগী নুসরাত ফারিয়া। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন সমানতালে। এবার ব্যারিস্টারি পড়তে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে দেশটিতে যাবেন এ নায়িকা।
নুসরাত ফারিয়া । ছবি: ফেসবুক