সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় বলিপাড়ায় এখনো আতঙ্কের রেশ কাটেনি। তার মধ্যেই এবার ঘটল আরও একটি অঘটন। মুম্বাইয়ে একটি সিনেমার গানের দৃশ্যের শুটিংয়ে ছাদের সিলিং ভেঙে আহত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন কাপুরসহ কয়েকজন। তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মুম্বাইয়ের রয়্যাল পামসের ইম্পিরিয়াল প্যালেসে ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ সিনেমার শুটিং করছিলেন অর্জুন কাপুর। সেই সেটেই ছাদের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
অর্জুন কাপুর । ছবি: ইনস্টাগ্রাম
যার জেরে শুধু অর্জুন কাপুরই নন, প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি ও পরিচালক মুদাসসির আজিজও আহত হয়েছেন। তারা সবাই কেমন আছেন, সেটা যদিও জানা যায়নি এখনো। কীভাবে ঘটে এই ঘটনা?
কোরিওগ্রাফার বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার চোখ তখন মনিটরে। আচমকাই দেখি ছাদ ভেঙে পড়ল চোখের সামনে। ঈশ্বরের কৃপায় গোটা ছাদটা ভেঙে পড়েনি আমাদের মাথার ওপর। তাহলে আরও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। তবে অর্জুন কাপুরসহ অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ধরনের পুরোনো গাড়িগুলোকে তো আমরা প্রায়ই লোকেশন হিসেবে ব্যবহার করি এটা ভেবে যে প্রযোজনা সংস্থার তরফে সব সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
অর্জুন কাপুর । ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের অশোক দুবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে বাড়িতে শুটিং হচ্ছিল, সেটি বেশ পুরোনো ও ভগ্নপ্রায়। বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে টানা শুটিং হচ্ছিল। লাগাতার শব্দের কম্পনে সম্ভবত নড়বড়ে বাড়িটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। যার জেরে এই বিপত্তি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অর্জুন, ছবির পরিচালক, প্রযোজকের পাশাপাশি ছবির অন্য কলাকুশলীরাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। অশোক নিজেই কনুই ও মাথায় চোট পেয়েছেন। চিত্রগ্রাহক মনু আনন্দের বুড়ো আঙুল ভেঙে গেছে।
অর্জুন কাপুর । ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সহচিত্রগ্রাহক মেরুদণ্ডে চোট পেয়েছেন। তবে কারও চোট গুরুতর নয়, এ কথাও জানিয়েছেন তিনি। ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ সিনেমাটি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা।
দেশের অন্যতম সফল ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদী বেশ কয়েক মাস আগের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নন। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে তার উপর পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।
তবে আফ্রিদীর কনটেন্টের ভক্ত যারা তাদের জন্য এই তারকা দিলেন সুখবর। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ‘দ্য প্রেসিডেন্টস; ভলেন্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন! যেট প্রদাণ করা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে।
তৌহিদ আফ্রিদী
আফ্রিদীর ঠিকানায় চলে এসেছে সেই পুরস্কার। ফেসবুক পোস্টে সেই মেডেল ও সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করেছেন। সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে এটি ২০২৪-এর পুরস্কার, আর তাতে সাক্ষর রয়েছে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
আফ্রিদী লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার। আমি বিশ্বাস করি মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বদাই আমার সাথে আছেন ও তিনিই সবচেয়ে বেশি আমার মঙ্গল চান। তার অশেষ মেহেরবানীতেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলাম।’
‘দ্য প্রেসিডেন্টস; ভলেন্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ গলায় পরে পোজ দিয়েছেন তৌহিদ আফ্রিদী
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আপনাদের ভালোবেসে সামান্য কিছু কাজ করেছি বলেই ভোলান্টিয়ার সার্ভিসে এই অ্যাওয়ার্ডটি পেলাম। এরকম একটি গোল্ড মেডেল হয়তো অনেকেরই স্বপ্ন। সত্যি বলতে আমি এই অ্যাওয়ার্ডের লোভে কখনোই কাজ করে যাইনি। আমি আপনাদের জন্য এগিয়ে গেছি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার লোভে। অথচ আজ দেখুন, আমি না চাইতেই অ্যাওয়ার্ডটি ঠিকই আমার ভাগ্যে চলে আসলো। অথচ আমার যেটা চাওয়া, আপনাদের অনেকের সেই ভালোবাসা থেকেই হয়তো আমি বঞ্চিত! আমি এখনো বিশ্বাস করি, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনিই হয়তো আমাকে সামনে এগোনোর সঠিক পথ দেখাবেন।’
‘দ্য প্রেসিডেন্টস; ভলেন্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’-এর সার্টিফিকেট
তার এই পোস্ট দারুণ সাড়া ফেলেছে। এরইমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার রিঅ্যাক্ট এসেছে পোস্টটিতে। মন্তব্য এসেছে সাড়ে চার হাজারের বেশি। অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মেয়ে আলিয়া ও ছেলে সাইদুরকে নিয়ে নির্মাতা আজিজুর রহমান
বিনোদন
দুই বছর আগে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলাদেশের অন্যতম সাড়াজাগানো চলচ্চিত্র ‘ছুটির ঘণ্টা’সহ অসংখ্য সফল সিনেমার নির্মাতা আজিজুর রহমান। এরপর দেশে এনে তার মরদেহ জন্মস্থান বগুড়ার সান্তাহারে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময়েই পরিবারের সদস্যরা আজিজুর রহমানের জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন। এবারের একুশে পদকে আজিজুর রহমানের নাম প্রকাশ করায় পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছে। এক ফেসবুক পোস্টে এমনটা জানিয়েছেন আজিজুর রহমানের মেয়ে আলিয়া রহমান বিন্দি।
পরিচালক বাবা আজিজুর রহমান প্রসঙ্গে আলিয়া রহমান বলেন, ‘‘বাবা ছিলেন কাজপাগল একজন মানুষ। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তাকে দেখেছি কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে। তিনি কখনো টাকার জন্য কাজ করতেন না। তিনি সব সময় বলতেন, ‘আমি টাকার পেছনে ছুটব না, এত ভালো কাজ করব যে টাকা আমার পেছনে ছুটবে।’’ আলিয়ার মতে, হয়েছেও তা-ই। তার বাবা সেই সময়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবিগুলো বানিয়েছেন।
রাজ্জাক ও শাবানা জুটির কালজয়ী সিনেমা ‘ছুটির ঘণ্টা’র পোস্টার
আজিজুর রহমান একজন প্রকৃত মানুষ ছিলেন, যিনি অনেক পরিশ্রম করে সেই অবস্থানে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে আলিয়া রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার বাবা একজন পরিপূর্ণ মানুষ, যিনি কি না আমাদের পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন। কখনো কোনো কারণে আমাদের ছোট হতে দেননি। খুবই সহজ–সরল ও নিরহংকার জীবন যাপন করতেন।’
বাবা আজিজুর রহমানের ছবি প্রসঙ্গে আলিয়া রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাবার প্রতিটা ছবি ছিল বক্তব্যধর্মী। তিনি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম ‘অশিক্ষিত’। যে ছবির মাধ্যমে জানাতে চেয়েছিলেন শিক্ষার কোনো বয়স নাই। তেমনি ‘ছুটির ঘণ্টা’য় সন্তানদের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন। ‘রঙিন রূপবান’ বাংলাদেশ লোকগাথা নিয়ে বানানো। ‘ফুলেশ্বরী’ গ্রামবাংলার যাত্রাপালার গল্প। তার বেশির ভাগ ছবি গ্রামীণ পটভূমিতে বানানো। ‘জনতা এক্সপ্রেস’ এক ট্রেনচালক ও তার কাজের প্রতি দায়িত্ববোধের গল্প। এভাবেই তিনি এই জগতে হয়ে উঠেছিলেন একজন কিংবদন্তি। তিনি কখনো সমঝোতা করেননি, কখনো চাটুকারিতা করেননি এবং নেই কোনো স্ক্যান্ডালও।’’
রাজ্জাক ও অঞ্জনা জুটির সুপারহিট সিনেমা ‘অশিক্ষিত’র পোস্টার
সর্বশেষ আলিয়া রহমান লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে যারা কাজ করেন, তাদের অনেক শ্রম ও সময় দিতে হয়। বাবা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তিনি তার সারা জীবন চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যয় করেছেন। ব্যতিক্রমধর্মী গল্প, নিরলস পরিশ্রম আর নতুন প্রযুক্তির ওপর গবেষণা তার ছবিগুলোকে নিয়ে গেছে অন্য এক মাত্রায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো তাই তো আলোচনায় আছে যুগের পর যুগ। ব্যক্তিগত জীবনে বাবার কোনো আক্ষেপ ছিল না। বাবা নিজ হাতে তার পরিপূর্ণতার কথা লিখে রেখে গেছেন। কিন্তু সন্তান হিসেবে আক্ষেপ ছিল আমাদের। ৫২টি চলচ্চিত্রের নির্মাতা, যিনি একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন অঙ্কন শিল্পী, প্রযোজক, কাহিনিকার, একজন পোস্টার মেকার, সেট ডিজাইনার, মেকআপ আর্টিস্ট। তিনি একজন ভার্সেটাইল ব্যক্তিত্বের মানুষ, অথচ একটা জাতীয় পুরস্কারের সম্মান এত দিন পাননি। পাননি আজীবন রাষ্ট্রীয় সম্মান। কিন্তু এবার আমার বাবা আজিজুর রহমান একুশে পদক পেয়েছেন। আমার বাবা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। এটা আমাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা বাবাকে এই সম্মানে ভূষিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ।’
স্ত্রীর সঙ্গে নির্মাতা আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্শিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন।
অনেক সফল চলচ্চিত্রের পরিচালক আজিজুর রহমান। ১৯৫৮ সালে ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে এহতেশামের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ময়মনসিংহের লোককথা নিয়ে ‘সাইফুল মূলক বদিউজ্জামান’। মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। আজিজুর রহমান ৫২টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘গরমিল’ ও ‘সমাধান’।
নির্মাতা আজিজুর রহমান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। বিভিন্ন সময়েই নিজের জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্লগও লেখেন।
এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন এক পোস্ট করলেন, যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা! অনুরাগীরা অমিতাভের পোস্ট দেখে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন।
অমিতাভ বচ্চন । ছবি: ফেসবুক
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎই নিজের এক্স-এ (টুইটার) বিগ বি লিখলেন, ‘টাইম টু গো…’ অর্থাৎ চলে যাওয়ার সময় এসেছে। এই পোস্ট দেখেই অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কোথায় চলে যাওয়ার কথা লিখেছেন শাহেনশাহ? সব ঠিক আছে তো?
অমিতাভ অবশ্য তার পোস্টে রহস্য জিইয়ে রেখেছেন। তিনি ঠিক কী ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করেননি। বলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, অভিনয় জগত থেকে অবসর নিতে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন।
অমিতাভ বচ্চন । ছবি: ফেসবুক
এমনকী শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নাকি অবসর ঘোষণা করতে পারেন বলিউডের অ্যাংরি ইয়ংম্যান। এই মুহূর্তে কৌন বানেগা ক্রোড়পতি সঞ্চালনা করছেন অমিতাভ। ব্যারিটন আওয়াজে বরাবরের মতোই মুগ্ধ করছেন অনুরাগীদের। ৮২ বছর বয়সে এসে এখনও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন নতুন প্রজন্মকে।
সেই অমিতাভই হয়তো এবার অবসরের পথে। তবে গুঞ্জন রটলেও, এই নিয়ে মুখ খোলেননি বচ্চন পরিবার।
কৌন বানেগা ক্রোড়পতি সঞ্চালনা করছেন অমিতাভ বচ্চন । ছবি: ফেসবুক
কেট উইন্সলেট হলিউডের অন্যতম একজন মেধাবী অভিনেত্রী। ‘টাইটানিক’ তাকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিলেও লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সিনেমায় ভিন্নধর্মী অভিনয় তাকে মহাতারকার কাতারে নিয়ে গেছে। তাকে ‘লিজেন্ড’ মানতে কারও দ্বিধা নেই। তবে কেটের বোধ হয় নিজের নামের পাশে ‘লিজেন্ড’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি আছে।
সম্প্রতি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস-এর হোস্ট নিকি গ্লেসার কেটকে ‘লিজেন্ড’ হিসাবে সম্বোধন করেন। উপস্থাপিকার কণ্ঠে লিজেন্ড হিসেবে কেট ব্ল্যানচেট, কলিন ফারেলের মতো তারকার সঙ্গে উঠে আসে কেটের নাম।
ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পাওয়া ‘টাইটানিক’ সিনেমার দৃশ্যে কেট উইন্সলেট
নিকি যখন তার নাম উচ্চারণ করেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য অনুষ্ঠানের সব ক্যামেরা তার দিকেই তাক করা হয়। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে কেটের অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া। বোঝাই যায়, লিজেন্ড কথাটিতে তার ঘোর আপত্তি।
সেই মুহূর্তের প্রতিক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কেনো?’
গোল্ডেন গ্লোব ২০২৫-এর আসরে কেট উইন্সলেটের আজব মুখভঙ্গি
ভিডিওটির নিচে কেটের ভক্ত-অনুরাগীরা মজার মজার সব মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ক্যামেরা থেকে লুকিয়ে রাখা কেট উইন্সলেটের অভিব্যক্তি খুবই মজার।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘কেট উইন্সলেটের মুখ, লোল!’ একজন মজা করে লিখেছেন, ‘কেটের মুখের ভঙ্গি মিমস তৈরি করার জন্য একদম পারফেক্ট।
কেট উইন্সলেট
উল্লেখ্য, গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫- এ কেট দু’টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। প্রথমটি, ড্রামা মুভি ‘লী’ তে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে। অন্যটি, ‘দ্য রেজিম’ নামে একটি মোশন পিকচারের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে। তবে এ বছর কেট কোনও পুরস্কার পাননি।