এই সরকার কখনো শিল্পের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না: ফারুকী
বিনোদন
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অভিনয় করেছিলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। গতকাল রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিযুক্ত হবার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রথম দিন যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপদেষ্টা ফারুকী। সেখানে তিনি তাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে চলা সমালোচনাসহ নানা বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এক পর্যায়ে তার স্ত্রী তিশার ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় ও সমালোচনা প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কোনো ধরণের উসকানিমূলক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো না। আপনারা আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করলে আমি জবাব দিবো। কিন্তু যে প্রশ্ন উসকানি তৈরি করে এমন প্রশ্ন করবেন না।
এরপর শিল্পকলায় নাটক বন্ধ করা উগ্রবাদী অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারুকী বলেন, আমি বিষয়টা জানি। তবে একটা বলতে চাই এই সরকার কখনো শিল্পের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি এবং কখনো বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। তবে পাশাপাশি কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যারা শিল্পের চর্চা করেন তাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। যেমন আমরা সবাই জানি জুলাইতে দেশে গণহত্যা হয়েছে এমন না যে কেবল সরকার পতন হয়েছে। যদি জনতা বিজয়ী না হতো তাহলে আমি আজ এখানে থাকতাম না জেলে থাকতাম। এমন আমাদের অনেকের সঙ্গেই হতো। যারা জুলাইতে গণহত্যা চালিয়েছে সরকার তাদেরও বিচার করবে। যারা সরাসরি এটার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার হবে। এখন হত্যার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য যারা ফিফথ হ্যান্ড অপরাধীরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতির জন্য ভালো কিছু না।
কিছুদিন আগেই জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের সুপারস্টার নায়ক জিৎকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন বাংলাদেশের নির্মাতা রায়হান রাফী। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশি শিল্পীদেরও। গত সপ্তাহে জানা যায়, সিনেমাটির কাজ স্থগিত হয়েছে। তবে এবার সেই ‘লায়ন’ সিনেমা নিয়ে নতুন খবর জানা গেল।
গতকাল ৩০ নভেম্বর ছিল জিতের জন্মদিন। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের পরিচালক রায়হান রাফীর ‘লায়ন’ ছবির তিনিই নায়ক। সেই খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন ছবিটির ভারতীয় প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে।
শনিবার নায়কের জন্মদিনে তিনি একটি কেক উপহার দিয়েছেন। সাধারণ কেক নয়, বরং সেই কেক বহন করছে বিশেষ ইঙ্গিত। চকলেট কেকের গায়ে উজ্জ্বল এক সিংহের মুখ! মাথায় সোনালি মুকুট। প্রযোজক জানিয়েছেন, কেক দেখে দারুণ খুশি নায়ক। কেটে সঙ্গে সঙ্গে তাতে কামড় বসিয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্যামসুন্দর জানিয়েছেন সিনেমাটি নিয়ে নতুন তথ্য। তিনি বলেন, ‘বলেছিলাম, ছবিটি হচ্ছে। এই কেক তার প্রমাণ। “লায়ন”-এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই কেক। একা আমি নই, আজ বাংলাদেশ থেকে রায়হানও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জিৎদাকে।’
এই প্রযোজক আরও জানিয়েছেন, ফোনে প্রতিদিন ছবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাদের। ছবিতে জাহাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেটির কারণেই ছবিটি তৈরি হতে একটু সময় লাগছে। প্রযোজকের আশা, নতুন বছরে সব সমস্যা মিটে যাবে। তিনিও ‘লায়ন’কে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এদিকে, এবারের জন্মদিনটি ছিলো জিতের জন্য সত্যিই অণ্যরকম। একেবারেই বলিউড কিং শাহরুখ খানের মতো চিত্র দেখা গেলো তার জন্মদিনে। প্রচুর মানুষ জিতের বাড়ির সামনে ভিড় করে। তাদের অবাক করে মধ্যরাতে বারান্দাতে দেখা দিয়েছেন জিৎ! এক মুখ হাসি নিয়ে হাত নেড়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে। ঠিক বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান যেভাবে তার জন্মদিনের প্রথশ প্রহর উদযাপন করেন।
সকালবেলা আলো ফুটতেই আবার বাড়ির সামনে ভক্তের ঢল। নির্দিষ্ট সময়ে সাদা-কালো শার্ট, কালো ট্রাউজার্সে বাড়ির দোতলার বারান্দা এলেন জিৎ। এবার সঙ্গী স্ত্রী মোহনা, মেয়ে নবন্যা, ছেলে রোনাভ, বাবা, ভাই।
নায়ক হাত নাড়াতেই উল্লাস শুরু। নায়কের হাতে উঠে এল মাইক্রোফোন। বললেন, ‘আমি কোনও ঈশ্বর নই যে ছেড়ে দেব, আর রাক্ষস নই যে মেরে দেব’। ‘শত্রু ১’-এর সংলাপ তার মুখে, নেপথ্যে বাজছে জিতের ‘বস’ ছবির গান। প্রিয় নায়কের দর্শনে ততক্ষণে উত্তাল ভক্তরা। তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ভুল করলেন না।
এখানেই শেষ নয়। অনুরাগীদের দেখা দিয়ে তিনি চলে গেলেন বাড়ির এক তলায়। সেখানে বড় টেবিলে সাজিয়ে রাখা নানা স্বাদের কেক। কোনওটা রেড ভেলভেট, চকোলেট, ভ্যানিলা। আবার কোনওটা ব্ল্যাকফরেস্ট। ঝড়ের গতিতে নিপুণ হাতে একের পর এক কেক কাটলেন জিৎ। সাক্ষী পরিবার এবং সেই ভক্তরা।
৪৬তম জন্মদিনের প্রথম ভাগ এভাবেই কাটিয়ে ফেলেন জিতেন্দ্র মদনানি! যিনি জন্মসূত্রে অবাঙালি হয়েও সর্বাংশে বাঙালি। তিনটি দৃশ্যের ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। সেখানেই শাহরুখ খানের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন সকলে।
বয়স যতই বাড়ুক কিংবা ছবি যেমনই ব্যবসাই করুক- তার অনুরাগী সংখ্যায় কিন্তু চিড় ধরেনি। এখনও বাংলা ছবির সনাতনী ধারা মেনে তিনি পুরোপুরি বিনোদনধর্মী ছবিতে নিবেদিতপ্রাণ। এভাবেই কি আগামী বছরগুলোও কাটিয়ে দেবেন তিনি? নাকি শহুরে রীতি মেনে ছবির ভাবনায় বদল আনবেন?
জিতের সাম্প্রতিক ছবি ‘ব্যুমেরাং’ বলছে, তিনি মধ্যপন্থী। আমজনতাকে একেবারে অস্বীকার করে ধ্রুপদী হয়ে ওঠায় বিশ্বাসী নন। সে কথা তিনি জন্মদিনেও বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের ঝাঁঝালো সংলাপের পাশাপাশি তিনি অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়েছেন, ‘একসাথে এক হয়ে এগিয়ে চলার মানে জিৎ’।
বাবা হারিয়েছেন বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এরই মধ্যে খবরটি অনেকেই জেনে গেছেন। নতুন খবর হলো, এই অভিনেত্রী তার বাবা জোসেফ প্রভুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমন কিছু কথা তুলে এনেছেন, যা অনেকের অজানা।
সামান্থা বলেছেন, এক সময় বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ জটিল হয়ে পড়েছিল। বাবা ছিলেন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। তার চিন্তাধারা, চলাফেরা, পরিবারের সদস্যদের ওপর নজরদারি- সবকিছুই ছিল অধিকাংশ ভারতীয় বাবার মতো। যারা ভাবতেন সন্তানকে সুরক্ষা দেওয়াই তাদের প্রধান কাজ। এরপরও বেড়ে ওঠার সময়টাতে আবিষ্কার করেন, সহপাঠীদের বাবার চেয়ে কোনো একটা কারণে তিনি কিছুটা অন্যরকম। সেই পার্থক্যটা খুঁজে বের করতে পারেননি তখন। যে কোনো কাজ করলে তার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন সামান্থা। অন্যের অনুমোদন ও স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষাতেই কেটে যেত একেকটি দিন। বড় হওয়ার পরও তার বাবা তাকে যথেষ্ট স্বাবলম্বী মনে করতেন না।
তিনি ভাবতেন, যে কোনো কাজেই তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে। বাবার এ ধারণা দিন দিন সামান্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছিল। বাবা তাকে বলতেন, ‘তুমি খুব একটা স্মার্ট নও। হবেই বা কীভাবে, ভারতীয় শিক্ষাই তোমাকে এমন করে তুলেছে।’
সামান্থা বলেন, ‘বাবার এই কথা মনের মধ্যে এমনভাবে গেঁথে গিয়েছিল যে, বিশ্বাস করা শুরু করেছিলাম, আমি সত্যিই স্মার্ট নই। যে জন্য অভিনয় জগতে পা রেখেও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারিনি। এই ধ্যান-ধারণাই জন্যই হীনমন্যতায় ভুগতাম। সিনেমা সফল হওয়ার পরও ভাবতাম, আমি সাফল্য পাওয়ার যোগ্য নই।’
সামান্থার কথায়, ‘সাফল্য দুটি কাজ করতে পারে। প্রথমত, আপনি ভাবতে পারেন, এই সাফল্যই তো আপনার প্রাপ্য ছিল। দ্বিতীয়ত, যে সাফল্য বা ভালোবাসা আপনি পাচ্ছেন, তার যোগ্যই নন আপনি। আমি দ্বিতীয়টা ভাবতাম নিজের সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, সাফল্য পাওয়ার পরেও ভয় পেতাম। ভাবতাম, এক দিন সবাই বুঝতে পারবে, আমার কোনো প্রতিভা নেই। আমি স্মার্ট নই। তাই নিজেকে কাজ ও চেহারার দিক থেকে উন্নততর করতে উঠেপড়ে লেগেছিলাম।’
এদিকে বাবা হারানোর শোকে সামান্থা যখন কাতর, ঠিক তখনই বিয়ের বাদ্য বাজতে শুরু করেছে এই অভিনেত্রীর সাবেক স্বামী অভিনেতা নাগা চৈতন্যের বাড়িতে। আগামী ৪ ডিসেম্বর অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা সাফা কবিরের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে খুব একটা চর্চা হয় না। তবে এই অভিনেত্রী এবার নিজেই গণমাধ্যমে বললেন, তার জীবনের ভালোবাসার অবস্থা খুব ভালো।
তবে পরেই যা বললেন তাতে মুখরোচক গল্প আর তৈরি হলো না! সাফা বলেন, ‘পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো আছি। দিনকালও ভালোই কাটছে। ভালোবাসা কিন্তু নানারূপে আসতে পারে। কখনো বন্ধুর রূপে আসতে পারে। কখনো পারিবারের ভালোবাসার মানুষ থাকতে পছন্দ করে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভালোবাসার কথা বললে, জীবনসঙ্গীর কথা সামনে আসে। সে ক্ষেত্রে বলব, আমার পার্টনার হওয়ার মতো কেউ এখনো আসেনি। জীবনসঙ্গী যখন আসবে, তখন সবাই জানতে পারবেন।’
আমি প্রেমে আছি, ভালোবাসায় আছি, তবে সেটা শুধুই কাজের-এমন উল্লেখ করে সাফা কবির বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি আমার কাজের প্রেমে আছি। কাজের ভালোবাসায় আছি। সব শিল্পী এ ধরনের কথাই বলেন। তাই শুনতেও একরকম ক্লিশে শোনাতে পারে। অনেকে হয়তো ভাবতেও পারেন, এটা বলার জন্য বলছি। মোটেও তা নয়, আমি মন থেকে বলতে চাই, আমি সত্যিই আমার পেশাকে খুব ভালোবাসি। এই পেশার প্রেমে আমি ডুবে আছি। কাজের মধ্যে আমি এত বেশি ব্যস্ত থাকি, তাই আলাদাভাবে জীবনসঙ্গী নিয়ে ভাবব যে ..., অবশ্যই জীবনসঙ্গী থাকা মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমিও একদিন বিয়ে করব। করতে চাই।’
বিয়ে করতে চাইলেও আপাতত এ বিষয়ে কোনো ভাবনা নেই সাফা কবিরের। বললেন, ‘সত্যিই আমি কিন্তু বিয়েতে এখন ফোকাসড নই। এ জন্য হয়তো আমার তাড়াহুড়োও নেই, এখনই বিয়ে করতে হবে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো চাপাচাপি নেই। সত্যিই বলতে, যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয়, তখন মনে হয়, আমার তো বিয়ে করা উচিত। কারণ, বিয়ে নিয়ে প্রশ্নটা প্রায়ই শুনতে হয়। এটা ছাড়া বিশ্বাস করেন, আমার বিয়ে নিয়ে কিছু মনে হয় না।’
তবে সাফার ব্যক্তিজীবনে প্রেমিক না থাকলেও তিনি এখন বেশ ব্যস্ত ভালোবাসার গল্প নিয়েই। খোলাশা করে বলা যাক, ভালোবাসা দিবসের আর বাকি আড়াই মাস। দিবসটি ঘিরে তারকাদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে এরইমধ্যে। ছোট পর্দার তারকাদের নাটকের শুটিংয়ের ব্যস্ততা কাটছে বেশি। সময়ের ব্যস্ত তারকা সাফা কবির এরই মধ্যে দুটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে টানা আরও কয়েকটি নাটকের শুটিং করবেন। ভিন্ন ভিন্ন গল্পের নাটকের শুটিং করছেন বলে জানালেন তিনি।
সাফা বলেন, ‘দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা থেকে ব্যতিক্রমী গল্পের কাজ করছি। সামনের ভালোবাসা দিবসের দিকে তাই তাকিয়ে আছি। ভালোবাসা দিবসে শুটিংয়ের কথা বলার পাশাপাশি ভালোবাসা নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও বললেন। জানালেন, তিনি প্রেমে আছেন, ভালোবাসায়ও আছেন, তবে...।
প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ।
গত শনিবার থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে এলে তাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সুবর্ণা মুস্তাফার পারিবারিক একটি সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক সদস্য সূত্র জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অবজারভেশন ও আপত্তি থাকায় তাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি।
ওই সূত্র জানিয়েছে, সুবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেকইন ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। এর পর তারা উড়োজাহাজে ওঠার জন্য লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন।
বোর্ডিং শুরুর ঠিক ৫ মিনিট আগে অভিবাসন পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাদের জানান, সুবর্ণা মুস্তাফার ব্যাপারে এনএসআই (জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) থেকে পর্যবেক্ষণ আছে। সে কারণে তাকে দেশের বাইরে যেতে দিতে পারছেন না।
অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনীত এমপি হন তিনি। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪-এ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।