আজরার তত্ত্বাবধানে ‘ফেস অব এশিয়া’য় জারিফ-কণিকার অনন্য অর্জন
বিনোদন
‘ফেস অব এশিয়া’র মতো গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছে দেশের প্রখ্যাত মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ফেস অব বাংলাদেশ’-এর মডেলরা।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় ‘এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’। প্রতিযোগিতাটির ১৫তম আসরে ‘ফেস অব এশিয়া’, ‘এশিয়া ওপেন কালেকশন’ ও ‘এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ড’- এই তিনটি অংশ ছিলো।
বিজ্ঞাপন
তারমধ্যে ২৭টি দেশের নির্বাচিত ৫০জন মডেল অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন ‘ফেস অব এশিয়া’য়। এতে অংশ নেওয়ার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আর্কা ফ্যাশন উইকে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হন জারিফ শাবাব, আকলিমা আতিকা কণিকা ও দিল আফরোজ হাসান। তাদের মধ্য থেকে জারিফ ও কণিকা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর হচ্ছে, ‘ফেস অব এশিয়া ২০২৪’-এর শীর্ষ ১০-এ আছেন জারিফ, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মডেলিং প্রতিযোগিতায় ভোটিং রাউন্ড বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি হলেন এই জারিফ। এরইমধ্যে স্কিন কেয়ারের সুপরিচিত কোরিয়ান ব্র্যান্ড এক্সআইইএল জারিফকে পছন্দ করেছে তার ডায়নামিক কনটেন্ট ফিচারের জন্য। এছাড়া এশিয়া ওপেন কালেকশনে ডব্লিও হোমি, লাইন হোমি, এটুআর, ফোটন গার্মেন্ট-এর মতো টপ ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজের জন্যও নির্বাচিত হন তিনি। এরইমধ্যে আইকনিক হাই ওয়ান রিসোর্টসহ বেশকিছু হাই প্রোফাইল ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন জারিফ। তার প্রাপ্তির ঝুলিতে যোগ হয়েছে ‘আমাঙ ম্যাগাজিন অ্যাম্বাসিডরশিপ’ পুরস্কারও। এছাড়া বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, আকলিমা আতিকা কণিকা ভোটের দিক দিয়ে হয়েছেন তৃতীয়। তবে নারী মডেলদের মধ্যে তিনিই প্রথম। এছাড়া তিনি স্পনসর অ্যাওয়ার্ড ‘ইউ অ্যান্ড আই’ হিসেবে পেয়েছেন দশ লক্ষ্য কোরিয়ান ওন। লাইন কালেকশন, ডাক ডাইভ, গ্রিডিলাস ও এভিটার রানওয়েতে তার উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।
সবমিলিয়ে বলা যায় এবছর এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের উপস্থিতি সাফল্যে পরিপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। দুজন প্রতিনিধিই মর্যাদাপূর্ণ দুটি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসছেন দেশে।
উল্লেখ্য, এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল আসলে তিনদিনের একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়।
কবি হেলাল হাফিজ শাহবাগে সুপার হোমে থাকতেন। সেখানে বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যান, পিজিতে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন (৭ অক্টোবর ১৯৪৮- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪)। ৭৬ বছর বয়স ছিল কবির। লিখেছিলেন বাংলাদেশে বেশি বিক্রি হওয়া কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। হেলাল হাফিজের ইন্তেকালের খবরে কবি সাদী কাউকাব লিখেছেন, ‘বাংলাদেশকে বাংলাদেশি কবিতা উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ’। বিষয়টি ঠিক তাই। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি কবিতার পালস ধরতে পেরেছিলেন। না চাইতেই তিনি এই ভূখণ্ডকে যা দিয়েছেন তা রাষ্ট্রের স্বীকার করা উচিত। সমকালীন সময়ে তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি বলা হয়। বাংলা ভাষায় একটি মাত্র বই লিখে আর কোনো কবি এতো জনপ্রিয় হয়নি। প্রিয় কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শিল্প সংস্কৃতি জগতের অনেকেই বেছে নিয়েছেন ফেসবুককে। তেমনি কিছু পোস্ট নিয়ে এই আয়োজন-
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর মন দারুণ খারাপ প্রিয় কবির প্রস্থানে। দিয়েছেন দুটি স্ট্যাটাস। লিখেছেন, ‘‘নিউট্রন বোমা বোঝ/ মানুষ বোঝা না / মানুষ হয়তো সব বুঝবে / মানুষকে বুঝবে না...’ কিংবা ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিলেন প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ। অনন্তে এই যাত্রা শুভ হোক।’’
প্রখ্যাত অভিনেত্রী বন্যা মির্জা কবির উৎসর্গ কবিতাটি পোস্ট করেছেন, ‘আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো / আপনাকে, তোমাকে ও তোকে। / কবিতা কি কেবল শব্দের মেলা, সংগীতের লীলা? / কবিতা কি ছেলেখেলা, অবহেলা রঙিন বেলুন? / কবিতা কি নোটবই, টু-ইন-ওয়ান, অভিজাত মহিলা -সেলুন? / কবিতা তো অবিকল মানুষের মতো / চোখ-মুখ-মন আছে, সেও বিবেক শাসিত, / তারও আছে বিরহে পুষ্পিত কিছু লাল নীল ক্ষত। / কবিতা তো রূপান্তরিত শিলা, গবেষণাগারে নিয়ে / খুলে দেখো তার সব অণু-পরমাণু জুড়ে / কেবলি জড়িয়ে আছে মানুষের মৌলিক কাহিনী।...’
গুণী অভিনেতা রওনক হাসান লিখেছেন, ‘প্রস্থান কবি হেলাল হাফিজ! অনন্ত যাত্রা আনন্দময় হোক।’
জনপ্রিয় নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন লিখেছেন, ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়- তারই কবিতার লাইন। ফেরিওয়ালা কবিতার তিনি কষ্ট ফেরি করে বিক্রি করেছিলেন- কষ্ট নেবে কষ্ট / হরেক রকম কষ্ট আছে / কষ্ট নেবে কষ্ট! / লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট / পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট / আলোর মাঝে কালোর কষ্ট / ‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে / কষ্ট নেবে কষ্ট।’
জনপ্রিয় উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ কবির সঙ্গে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার দুঃখ আছে কিন্তু আমি দুঃখী নই, দুঃখ তো সুখের মতো নীচ নয় যে, আমাকে দুঃখ দেবে।’ ‘আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই, মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।’ ওপারে ভালো থাকবেন প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ!
সিনিয়র সাংবাদিক গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ খোকন লিখেছেন, ‘কবিতা খুব কম পড়েছি বলা যাবে না। কিন্তু কবিতার বই সেই অর্থে কিনি নাই। এরপরও ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ কিনেছিলাম। চট্টগ্রামের স্টেশন রোডে অমর বইঘর নামে একটি পুরনো বইয়ের দোকান ছিল, সেখান থেকে। আমার কলেজের খাতায় নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় কবিতার লাইন লিখে রাখতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম আমার এক বন্ধু হেলাল হাফিজের কবিতায় বিরাজিত বিরহের লাইন কোট করে। ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো এমন মলিন। সেই কবির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রয়াত বেবী মওদুদ। আপার ক্লাসমেইট ছিলেন কিংবা এক ক্লাস নিচে পড়তেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কয়েকবারই কবির সঙ্গে দেখা হয়েছে। কথাও হয়েছে। যৌবনে তার মিছিলের ডাক উপেক্ষা করা আমাদের প্রজন্মের জন্য কঠিন ছিল। মার্চের গণহত্যার রাতে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি আজ থেকে আর লৌকিক নন। মিছিলের কবি, ভালবাসার কবি হেলাল হাফিজ, আপনার প্রস্থান সত্যিই বেদনার।’
আরেক সাংবাদিক মৌসুমী আচার্য্য লিখেছেন, ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’ জীবন নামক যুদ্ধ; বিকেলের রোদের মতো খেয়ালী মেজাজে পাড়ি দিয়ে চিরবিদায় নিলেন কবি হেলাল হাফিস। ‘এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে’- এমন অনবদ্য সব উচ্চারণ পিছনে ফেলে চলে গেলেন যাবতীয় অধিকার ও এখতিয়ারের বাইরে। বিদায় অনবদ্য প্রেমিক, অসামান্য কবি।
নির্মাতা খিজির হায়াত খান কবির অটোগ্রাফটি সংযুক্ত করে লিখেছেন, ‘ওপারে ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।’
সাংবাদিক মারজান ইমু লিখেছেন, ‘গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? / আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, / নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? / এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, / এক জীবন কতোটা আর কষ্ট দেবে!’ বিদায় হে প্রিয়, বিদায়...
মূকাভিনয় শিল্পী নিথর মাহবুব লিখেছেন, ‘প্রিয় কবি, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ ইন্তেকাল করেছেন।’
মঞ্চ নির্দেশক ওয়াহিদুল ইসলাম এই কার্ডটি শেয়ার করেছন।’
তরুণ অভিনেতা ইভান সাইর লিখেছেন, ‘বিদায় কবি। আজ থেকে আরও জীবন্ত হেলাল হাফিজ।’
শিশু সাহিত্যিক পলাশ মাহবুব লিখেছেন, ‘কবি হেলাল হাফিজ শারীরিকভাবে চলে গেলেও কবিতায় তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।’
জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘একজন অভিমানী কবি। তিনি বাংলার কবি। হেলাল হাফিজ। পরপারে ভালো থাকবেন আপনি। শ্রদ্ধা আর প্রণাম। ‘কেউ জানে না কেনো তোমার এমন হলো কেনো হলো! / জানি তুমি ভালোই আছো / ভালো থেকো / পত্র দিয়ো।’ প্রার্থনা আপনার জন্যে। এভাবেই শূণ্য হচ্ছে আমাদের চারপাশ।’’
তরুণ সাংবাদিক নাজমুস সাকিব রহমান লিখেছেন, ‘‘হেলাল হাফিজের প্রথম বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ যখন আমার হাতে আসে তখন হাই স্কুলে পড়ি। ততদিনে বইটার বয়স দুই দশক পার হয়ে গেছে। প্রচ্ছদেও বদল এসেছে। এরপর কত কত দিন পার হলো। তার অনেক কবিতা এখনো মুখস্ত রয়ে গেছে। যদিও ‘কষ্ট নেবে কষ্ট’ শুনলেই আমার বিশ্রি রকম মেজাজ খারাপ হয়। অবশ্য ‘স্লোগান লেখক’ হিসেবে তার বদনাম আছে। মেয়েরা পছন্দ করে বলেও। সে থাকুক, কিন্তু তার দুটি কবিতা আমি ভীষণ পছন্দ করি। একটা হলো ‘কিছুই পারিনি দিতে, এই নাও বাম হাত তোমাকে দিলাম’। এটা ছিল তার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড। বাম রাজনীতির প্রতি তার আহ্বান। তিনি জানতেন মানুষের কথা কারা বলে।
আরেকটা কবিতা খুব ছোট্ট। তিনি বলছেন, ‘কে আছেন?/ দয়া করে আকাশকে একটু বলেন— সে সামান্য উপরে উঠুক/ আমি দাঁড়াতে পারছি না।’ সাহিত্য বিচারে বিদগ্ধদের কাছে এগুলো হয়তো কিছুই না। কিন্তু আমার মতো অনেক সামান্য মানুষ যারা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেও দাঁড়াবার জায়গা পাচ্ছে না— তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এই শব্দগুলো। এই ঢাকা শহরে আমি চাইলেই তার কাছে যেতে পারতাম। প্রেস ক্লাবে তিনি যেভাবে সবাইকে খাওয়াতেন হয়তো আমার ক্ষেত্রেও তাই হতো। কিন্তু কখনো ইচ্ছে করেনি। কী জিজ্ঞেস করব, সবই তো পড়া। ইন্টারভিউ নেব? ওটাও তো সিফাত নিয়ে রেখেছে। আমার জন্য বাকি ছিল শুধু ছবি তোলা। আমার কাছে তার ফোন নম্বর আছে কয়েক বছর হলো। এখন সবই অতীত। খোদা তার পরবর্তী জীবন শান্তিময় করুক। আমিন।’
দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। আজ সকালেই অভিনেতাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদ পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করলে বিচারক ১৪ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বুধবার অর্জুন হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন এবং নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারসহ পরবর্তী সব কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
কিন্তু শুক্রবার সকালে আল্লু অর্জুনকে তার জুবিলি হিলসের বাড়ি থেকে চিক্করপল্লী থানায় নেওয়া হয়। এদিন বিকালে হায়দরাবাদ পুলিশ অভিনেতাকে নিম্ন আদালতে হাজির করলে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের পর এফআইআর খারিজের জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেতা। শুনানিতে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট আল্লু অর্জুনকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার আদেশ দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন সেই নারী। এ ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েক জন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আল্লু অর্জুন। তাকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনার ৮ দিন পর গ্রেপ্তার হলেন অভিনেতা।
ইন্ডিয়া টুডে এক লাইভ প্রতিবেদনে জানায়, থানায় আল্লু অর্জুনের জবানবন্দি নেওয়ার পর মেডিকেল চেকআপের জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এই কেসে আল্লু অর্জুনের দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের গ্রেফতারের খবর আজ তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এরইমধ্যে খবর এলো, তিনি সহসাই ফিরতে পারছেন না স্বাভাবিক জীবনে! কারণ এই অতি জনপ্রিয় নায়ককে টানা ১৪ দিনের জেল দেওয়া হয়েছে।
আজ (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করেছিল তেলঙ্গানা পুলিশ। গত সপ্তাহে পুষ্পা ২-এর প্রিমিয়ার শো-এর সময় হায়দরবাদে একটি সিনেমা হলে প্রবল ভিড় হয়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান এক মহিলা। তার নাবালক ছেলে গুরুতর জখম হয়। অভিযোগ ছিল, আগে থেকে না জানিয়ে আল্লু অর্জুন এবং তার টিম হলে পৌঁছেছিল। তারকাকে দেখার জন্য প্রবল ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এজন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম দি ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়, ‘আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তারের পর গান্ধী হাসাপাতালে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক চেকআপ হয়।’
এদিকে, ৪ ডিসেম্বরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আল্লু অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীসহ তিনজনকে গত সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। আল্লু অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও সেদিন গ্রেফতার হয় সেই থিয়েটারের মালিক এম সন্দীপ ও একজন ম্যানেজার এম নাগার্জুকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত ১১ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছিলেন আল্লু এবং গ্রেফতার এড়াতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া স্থগিতেরও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ পালটা জানিয়ে দেয়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে অর্জুন প্রেক্ষাগৃহে আসেন। তার আগমনের খবর তিনি আগে থেকে অবগত করেননি। প্রবেশদ্বারের বাইরে ১৫-২০ মিনিট বাইরে কাটিয়ে দেন আল্লু। এ সময় শত শত লোক তাকে দেখার জন্য ছড়িয়ে পড়ে, নিরাপত্তা দলকে ঠেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে।
অভিযোগ, অভিনেতার টিম অথবা ওই প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুলিশকে পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ আগে থেকে মোতায়েন করা যায়নি। আর তারই দায় নিতে হচ্ছে আল্লু অর্জুনসহ বাকিদের। যে কারণে এখন গ্রেফতার হতে হলো তাদের।
জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ শুটিং সেটে আহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন কমেডি অভিনেতা সাইদুর রহমান পাভেল। আজ (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্কে একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক কাজল আরেফিন অমি। ফেসবুক পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের হাউ সুইটের একটি দৃশ্য শুটিংয়ের সময় দুর্ভাগ্যবশত স্কুটি দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় পাভেল, তাসনিয়া ফারিণ এবং অপূর্ব ভাই কিছুটা আহত হয়।’\
তিনি আরও লেখেন, ‘সাথে সাথে আমরা হাসপাতালে এলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন পাভেল, ফারিণে এবং অপূর্ব ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আপাতত তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। খুব দ্রুত আমরা আবার স্বাভাবিক কাজে ফিরতে পারব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’