প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করলেন।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। ‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি’ নামে নতুন এই দলের ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে এ মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
বিজ্ঞাপন
শান্তির প্রতীক পায়রাকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন এই তারকা।
বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউলশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া। বয়স ৯০ বছর পেরিয়েছে। শরীরে নানান রোগে বাসা বেঁধেছে। তবুও মঞ্চে উঠে গান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন এই প্রবীণ শিল্পী। বয়স হলেও, এখনো নেচে নেচে গান করেন সুফিয়া। তার কণ্ঠের জাদু এখনো যেস অক্ষত আছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে তরঙ্গ কালচারাল ফেস্ট ও মেলার আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী দিনে তিনি গান পরিবেশন করেন। খ্যাতনামা এ শিল্পীর গানে মুগ্ধ হয়ে দর্শকরা উল্লসিত হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে পরে যোগ দেন ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ খ্যাত সাব্বির কোরাইশিসহ লালন একাডেমির শিল্পী ও বাউলরা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বাউলশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া বলেন, ‘আমার বয়স ৯০ বছর পেরিয়েছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার বয়স হয়েছে। এখন আর আগের মতো গাইতে পারি না, তবুও চেষ্টা করি। এখন মেয়ে আমাকে সহযোগিতা করে।’
অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে উপস্থিত নারী উদ্যোক্তা সাফিনা আঞ্জুম জনী বলেন, ‘টাকা দিয়ে গুণী শিল্পীর মূল্যায়ন হয় না। এরপরও গানে মুগ্ধ হয়ে সামান্য কিছু টাকা উপহার দিলাম। উনি ৯০ বছরে যে ভাবে গান গাইলেন, দর্শকরা তার কন্ঠের জাদুময়ী গামে মুগ্ধ হয়ে শুনেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস দূর করা সম্ভব। এই আয়োজনের মাধ্যমে মেলায় আগত দর্শকরা বিনোদনের খোরাক হিসেবে জনপ্রিয় শিল্পীদের গান উপভোগ করতে পারলো।’
তরঙ্গ সংগঠনের সভাপতি তাসফী পারভেজ রোহান বলেন, ‘কুষ্টিয়াবাসী ভাগ্যবান। কাঙালিনী সুফিয়ার মতো একজন গুণী শিল্পীর গান শুনে মানুষ যেমন আনন্দিত তেমনি আমরা আয়োজক হিসেবেও ধন্য। এ বয়সেও তিনি গান গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুজন রহমান জানান, ‘হাসি-কান্নার মতো উৎসবের রংও সর্বজনীন। ঠিক যেমন একই রকম রং জগতের তাবৎ যাতনা আর প্রেমের। প্রেম, যাতনা, সম্মিলন নানা ভাব থেকে গানের সৃষ্টি। তরঙ্গ সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেলা বাউল গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবার দর্শককে মুগ্ধ করেছে। এই মেলা থেকে উৎসারিত গান যাপিত জীবন উদযাপনের রঙিন অনুষঙ্গ বলেও জানান তিনি।’
বাংলার কৃষ্টি কালচার ও ঐতিহ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় ৪ নভেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব শেষ হয়েছে শুক্রবার। তরঙ্গ সংগঠনের আয়োজন জেলা শিল্পকলা একাডেমির আঙ্গিনায় এ উৎসবে শহরের প্রায় ৩০টি স্টল বসেছে।
দেশীয় পণ্য ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় উপস্থিত হয় উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি উন্মুক্ত মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের সমন্বয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, ফোন, আধুনিক গান, বাউল ও সাধুসঙ্গ, ব্যান্ড শো, নৃত্য, আবৃত্তি ও বাদ্যযন্ত্রের ঝনঝনানি উপস্থাপন করেছে।
বর্তমান সময়ে ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। দুজনে একের পর এক নাটকে দর্শকদের নজর কাড়ছেন। এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, শুধু পর্দায় নয় বাস্তবেও এই জুটির রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। যা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্তদের।
ইয়াশ ও তটিনীর সম্পর্কের বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে ছিল অনেক আগে থেকেই। ফেসবুকে তাদের দুজনের চলাফেরা মিলে যেত! যদিও বিষয়টি নিয়ে ভাবেন না ইয়াশ-তটিনীর কেউই। গুঞ্জন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তাদের অনুরাগীরা।
তটিনী জানিয়েছিলেন, ইয়াশের সঙ্গে নাটকের সূত্রেই এই বন্ধুত্ব! বিভিন্ন সময়েই তারা দুজনে মেতে উঠেন খুনসুটিতে। ফেসবুকে একইরকমের ছবি পোস্ট করেন, সঙ্গে ক্যাপশনও থাকে একই, যা নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলায় নেটিজেনরা। কিছুদিন আগেই একটি ছবি শেয়ার করেন ইয়াশ রোহান। ছবিতে দেখা যায়, এক করিডোরে মুখোমুখি দাঁড়ানো ইয়াশ ও তটিনী। দুজনের হাতেই ফোন, তবে ইয়াশের নজর ছিল ফোনের দিকেই, আর তটিনীর নজর ছিল ইয়াশের দিকে। ক্যাপশনে ইয়াশ লেখেন, ‘আনসোশ্যাল ফ্রেন্ড টু তানজিম সাইয়ারা-টটস’। একই ছবি নিজের প্রোফাইল থেকেও শেয়ার দেন তটিনী। সেখানে ইয়াশকে জুড়ে দিয়ে তটিনী লেখেন, ‘আনসোশ্যাল ফ্রেন্ড ইয়াশ রোহান’।
এই জুটি এখন কক্সবাজারে মহিদুল মহিমের একটি নাটকের শুটিং করছেন। আসছে ভালোবাসা দিবসেও তাদের দেখা যাবে একাধিক নাটকে।
এবার নিজের সহশিল্পীর প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন তটিনী। ইয়াশের সঙ্গে পর্দা শেয়ার করা নিয়ে সহশিল্পীর প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ তিনি।
তটিনী বলেন, আমরা একসঙ্গে ১৫টির মতো নাটকে কাজ করেছি। দর্শকরা আমাদের ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের একসঙ্গে দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। সেদিক থেকে আমরা দুজনে আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান।
তিনি আরও বলেন, সহশিল্পীর পাশাপাশি ইয়াশ ভাই আমার খুব ভালো বন্ধুও। কিন্তু আমি এটিও কখনো ভুলি না যে, তিনি আমার সিনিয়র। তাকে সবসময় তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই আমি। তার উৎসাহী ব্যক্তিত্বে কাজের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।
বক্স অফিসে মুক্তির পর দুর্দান্ত ব্যবসা করছে আনিস বাজমির ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। ১ নভেম্বর মুক্তির পর এ পর্যন্ত ভারতে ১৫৮ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে ছবিটি। দিওয়ালিতে মুক্তি পাওয়া আরেক তারকাবহুল সিনেমা রোহিত শেঠী পরিচালিত ‘সিংহাম এগেইন’কে পেছনে ফেলে দিয়েছে ছবিটি। এখনো সগৌরবে চলছে প্রেক্ষাগৃহে।
এর মধ্যেই এল নতুন ঘোষণা, ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ ছবির প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছেন আনিস বাজমি। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই নাকি চিত্রনাট্য তৈরি। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর মতোই এই ছবির চতুর্থ পর্বতেও থাকবে প্রচুর চমক।
শোনা যাচ্ছে, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে যেমন ‘মঞ্জুলিকা’ রূপে ফিরেছেন বিদ্যা বালান, তেমনি চতুর্থ পর্বেও থাকছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, শোনা যাচ্ছে, ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’-এ ‘ভুল ভুলাইয় ‘ প্রথম কিস্তির অক্ষয় কুমার ও ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর কিয়ারা আদভানিকেও। তবে সর্বশেষ দুই সিজনে নায়কের চরিত্রে থাকা কার্তিক আরিয়ান চতুর্থ কিস্তিতেও থাকবেন কিনা তা নিয়ে এখনো কোন খবরই আসেনি। তবে এখনই এই ছবি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির টিম।
ঠিক ১৭ বছর আগে মুক্তি পায় ‘ভুল ভুলাইয়া’, যা কিনা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের ঘরানাকে মেনেই তৈরি করেছিলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন। হঠাৎই দুই বছর আগে পরিচালক আনিস বাজমি ‘ভুল ভুলাইয়া’কে করে তুললেন হরর-কমেডি। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর গল্প দুই বোন মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা, ভাই দেবেন্দ্রকুমার এবং রাজ সিংহাসন দখলের। মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা একাধারে যোদ্ধা ও দুরন্ত নৃত্যশিল্পী।
কিন্তু তবু রাজ সিংহাসন জোটে রাজকুমার দেবেন্দ্রর কপালে। ব্যস, হিংসার আগুন। বদলা। ক্ষমতার লড়াই। আর সঙ্গে পরিচালক টেনে আনেন ভয়ের ছবির পুরোনো ফর্মুলা পুনর্জন্মকে। যেখানে মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা হয়ে ওঠেন মন্দিরা (মাধুরী দীক্ষিত) এবং মলিকা (বিদ্যা বালান)।
‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবিতে কার্তিকের নায়িকা ছিলেন কিয়ারা আদভানি। তবে তৃতীয় কিস্তিতে দেখা গেছে তৃপ্তি দিমরিকে। শোনা যাচ্ছে, পরের কিস্তিতে অভিনয়ের জন্য কিয়ারার সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই বাকি।
আমেরিকার নিউইয়র্কে দীর্ঘ প্রবাস জীবন অবশেষে ঢাকা আসছেন ‘ব্লাক ডায়মন্ড’খ্যাত সংগীত তারকা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন।
জানা গেছে, ১০ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে নিজের পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধগ্রস্থ হয় বেবী নাজীনের সঙ্গীতজীবন। বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোন মাধ্যমেই বেবী নাজনীন সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন বেবী নাজনীন।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেবী নাজনীন সবসময়ই সমাদৃত। ফলে বিদেশের মাটিতে তার কাজকর্মে কোন বাধা আসেনি। বরং এই সময়ে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ব্লাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোসলে, বাপ্পি ল্যাহেরী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূতির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রণির তালিকাভূক্ত সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে, আমার একটা মানুষ আছে, ওই রংধনু থেকে, পত্রমিতা, এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত, দু'চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর, আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে, লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে, আজ পাশা খেলবো রে শাম, প্রিয়তমা, সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে, ও বন্ধু তুমি কই কই রে.. এ প্রাণো বুঝি যায় রে...এমন অসংখ্য গানের মাধ্যমে বাংলা গানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন এই সংগীত তারকা।