রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্স ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে আগুন। বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, `রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আমরা স্টার সিনেপ্লক্সের একটা শাখা চালু করেছিলাম। সেটি রাজশাহী শহর থেকে বেশ দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অবস্থিত। ক্ষমতার পালাবদলের পর হাইটেক পার্কে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। এই ফাঁকে সুযোগ সন্ধানী ও লুটের তালে থাকা কিছু মানুষ স্টার সিনেপ্লেক্স ভাঙচুর করে।'
বিজ্ঞাপন
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, 'আমাদের স্টার সিনেপ্লেক্সের অধিকাংশ শাখাই মার্কেটের ভেতরে অবস্থিত। তাই সেসব সুরক্ষিত রয়েছে। এটা হাইটেক পার্কের ভেতরে ছিল। হাইটেক পার্কে হামলার ফলে আমাদের সিনেপ্লেক্সে হামলা করা হয়েছে।'
এদিকে সিনেমা হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস, আলোক হাসান, অন্ত আজাদ ক্ষোভ প্র৫অকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। দেবাশীষ বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকেবলেন, 'দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা ভাঙচুর চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিনেমা হল ভাঙচুর করা হয়েছে, সিনেমা কার ক্ষতি করেছে? সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, সিনেমা হলো সমাজের প্রতিচিত্র। সিনেমা হল ভাংচুর করার কোনো মানেই হয় না।'
বিশ্ব সঙ্গীতের এক নম্বর শিল্পী এখন টেলর সুইফট। তার অনুসারীর সংখ্যা এতোটাই বিশাল যে, তার যে কোন উত্তি বা সিদ্ধান্ত অনেক বড় বড় ইস্যুকে খুব সহজে প্রভাবিত করতে পারে।
এই মেগাস্টারকেই সন্তান উপহার দেয়ার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানানোর পরপর গায়িকাকে এ প্রস্তাব দিলেন ইলন মাস্ক।
আজ (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ফাইন টেলর সুইফট, ইউ উইন। আই উইল গিভ ইউ এ চাইল্ড অ্যান্ড গার্ড ইউর ক্যাটস উইথ মাই লাইফ।’
এর বাংলা অর্থ, ‘ভালো টেলর সুইফট, তুমি জিতেছো। আমি তোমাকে সন্তান উপহার দেব এবং তোমার বিড়ালের নিরাপত্তা দেব জীবনভর।’ ইলন মাস্ক যে গায়িকাকে উপহাস করার জন্য কথাগুলো লিখেছেন তা বুঝতে কারও বাকী নেই!
ইলন মাস্ক গায়িকাকে সন্তান দেবেন বলার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন ‘চাইল্ডলেস ক্যাট লেডি’ অর্থাৎ মার্কিন তারকা একজন সন্তানহীন নারী। অনেক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সন্তানহীন নারীদের উপহাস করার জন্য ‘চাইল্ডলেস ক্যাট লেডি’ বাক্য ব্যবহার করতেন।
সেই দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করায় সুইফটকে উপহাস করেছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু ইলনের এমন আচরণ একেবারেই পছন্দ করেনি সুইফট ভক্তরা। তারা মন্তব্যের ঘরে ইলনকে নিয়ে নিন্দার ঝড় তুলেছেন। অনেকেই লিখেছেন, একজন অবিবাহিত নারীকে সন্তান উপহার দেওয়ার প্রস্তাব অন্তব্য নিচ মানসিকতার পরিচয়। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, একজন নারীকে নিয়ে এভাবে লেখার অধিকার কারও নেই। সেখানে তিনি টেলর সুইফট, যিনি এতো বড় সঙ্গীত তারকা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ার কথা জানান টেলর সুইফট। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালজকে ভোট দেব।’
এ মার্কিন তারকা ২৮ কোটি ৩০ লাখ অনুসারীর উদ্দেশে আরও লেখেন, ‘আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দেব। কারণ, তিনি অধিকারের জন্য লড়াই করেন এবং আমি বিশ্বাস করি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য একজন যোদ্ধার প্রয়োজন। আমি মনে করি তিনি একজন প্রতিভাধর নেত্রী এবং আমি বিশ্বাস করি যে আমরা এই দেশে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারব, যদি আমরা বিশৃঙ্খলা না করে শান্ত হয়ে পরিচালিত হই।’
বলিউড ডিভা মালাইকা অরোরার জীবনে ঘটে গেল অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। তার বাবা অনিল অরোরা মারা গেছেন। আর এ মৃত্যু নিয়েই শুরু হয়েছে রহস্যের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাড়ির ষষ্ঠ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিন অনিল। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ঘটেছে এ ঘটনা। ঘটনাস্থলে বান্দ্রা পুলিশ ও মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা হাজির হয়েছেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনোরকম সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে শোনা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মালাইকার বাবা। আর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না অভিনেত্রী।
এ ঘটনায় মালাইকার সাবেক স্বামী আরবাজ খান ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পুলিশও মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে কথা বলছে তারা।
২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে শৈশব সম্পর্কে কথা বলেছিলেন মালাইকা। ওই সময় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কীভাবে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তাও জানিয়েছেন। স্মৃতিচারণ করে জানিয়েছিলেন, যখন মাত্র ১১ বছর বয়স, তখন মা জয়েস পলিকার্প ও বাবা অনিলের বিচ্ছেদ হয়। এরপর ছয় বছরের বোন অমৃতাকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে চেম্বুরে চলে যান।
অন্য এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, মা-বাবার বিচ্ছেদ আমাকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে অমার মাকে পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করেছিল। সেই প্রাথমিক শিক্ষাই আমার জীবন ও পেশার যাত্রা। আমি স্বাধীনচেতা, নিজের স্বাধীনতাকে মূল্য দেই এবং নিজের মতো করে জীবন পরিচালনা করি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের যারা একটি নির্দিষ্ট শাসনকাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অশিল্পীসুলভ আচরণ করেছেন, তাদের সবাইকে পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
এর জন্য অভিনয়শিল্পী সংঘকে গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সংস্কারকামী শিল্পীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা না আসায় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি অনাস্থার ঘোষণা দেন তারা। শুধু তাই নয়, সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা বলছেন, ‘আমরা আর আপনাদের নির্বাচিত অভিভাবক মানি না।’
গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরের ‘কথা বলতে চাই, কথা শুনতে চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা থেকে এই ঘোষণা দেন অর্ধশতাধিক সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পী। সেখানেই এ বিষয়ে আলোচনা ও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্কারকামী শিল্পীদের পক্ষে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা এই দেশে রয়ে গেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। মিডিয়া রাষ্ট্রের বাইরে কিছু না। মিডিয়াতেও এমন অনেক দোসর ছিলেন ও আছেন। নানাভাবে সুবিধা নিয়েছেন, নিজেদের জায়গা শক্ত করেছেন। তরুণরা যেভাবে মিডিয়াটাকে দেখতে চান, আমিও সেভাবেই মিডিয়াটাকে দেখতে চাই।’
অভিনেতা শরীফ সিরাজ জানান, অভিনয়শিল্পী সংঘের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সদস্যপদ থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের নির্বাচিত অভিভাবক হিসেবে মানবো না। আমাদের গঠনতন্ত্র আপনাদের বাতিলের খাতায় ফেলেছি। বাতিল মানুষের সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না।’
অভিনেতা সোহেল মন্ডল বলেন, কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সংস্কার নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বিষয়টিকে সামনে এনে অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্য, অভিনয়শিল্পী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীরা নানান রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় আমাদেরও কটু কথা হজম করতে হয়েছে। আমরা কেন হজম করব? আমি তো কোনো দলভিত্তিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিলাম না। আমি ন্যায়কে ন্যায় ও অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস রাখি। আমি কারও অন্যায়ের বোঝা কেন বহন করব?’
অর্ষার ভাষ্য, ‘এই প্রশ্নগুলো যখন আমার কাছে এসেছে, তখন আমার মনে হয়েছে, সিনিয়রদের কাছে কথা বলা দরকার। ইনডোরে একসঙ্গে বসতে চেয়েছি। আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাইনি। আমাদের আজ এই পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা প্রত্যাশা করি না।’
শ্যামল মাওলা বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিপরীত পক্ষ নই। আপনাদের উন্নয়নের জন্যই কথা বলছি। আমরা কীভাবে এই পেশাকে আরও আধুনিক করা যায়, আরও কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের হওয়া যায়, সেসব দিক নিয়ে কথা বলতে পারি না? এসব কথা বলার জন্য এই পক্ষ, ওই পক্ষ বলার কিছু নেই। আমরা একই পরিবার, একই ছাতার নিচে আসতে চাই।’
সংস্কারকামী শিল্পীদের আলাদা কোনো সংগঠন করার পরিকল্পনা নেই। অভিনয়শিল্পী সংঘেই থাকবেন তারা। তবে ইতিবাচক সংস্কারের মাধ্যমে সংগঠনটিকে আরও সদস্যবান্ধব করার প্রস্তাব দেন তারা। সংস্কারের প্রস্তাবগুলো লিখিতভাবে তুলে ধরেন অভিনয়শিল্পী মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। অভিনয়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেশা হিসেবে স্বীকৃতির পদক্ষেপ নেওয়া, নতুন করে শিল্পীদের নাম নিবন্ধনসহ ২২টির মতো প্রস্তাব দেন তারা।
আলোচনার শুরুতে লিখিত বক্তব্যে অভিনয়শিল্পী খায়রুল বাসার বলেন, ‘পেশাদার হওয়া শিখতে হবে আমাদের, আমাদের অরাজনৈতিক হতে শিখতে হবে। একটি শিল্পী সংগঠন কখনো রাজনৈতিক পুতুল হতে পারে না। অভিনয়শিল্পীদেরও অনেক ধরনের সংকট আছে। তাঁদের স্বার্থ, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা তখনই সম্ভব হবে, যখন পর্দার সব অভিনয়শিল্পী একটিমাত্র সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হবেন। আর তখনই পুরো সিস্টেম পুনর্গঠন করা সম্ভব।’
ইতিবাচক সংস্কার নিয়ে ধারণা দিয়ে খায়রুল বাসার বলেন, ‘এত দিন যারা ছিলেন, তারা কেউ থাকবেন না, একে বাদ দাও, ওর সঙ্গে কাজ করব না’-এমন নয়।’
বিভাজনের পথ ছেড়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন খায়রুল বাসার। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব অভিনয়শিল্পীকে এক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল গেমের’ মধ্যে শিল্পীদের পেঁচিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাহলে অভিনয়কে একটি সম্মানজনক ও নিরাপদ পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে নিশ্চিন্তে।’
এ আয়োজনে মনোজ প্রামাণিক, ইমতিয়াজ বর্ষণ, হাসনাত রিপন, এলিনা শাম্মী, শারমিন আঁখি, আবদুল্লাহ আল সেন্টুসহ অনেকে বক্তব্য দেন। সাবেরী আলম, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন সোহেল মন্ডল।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামি করা হয়েছে হিমুর ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে।
চার্জশিটে বলা হয়, হোমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানান চড়াই-উৎরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হিমুর ঘনিষ্ঠজন, কথিত প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। এমনকি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপনও করতেন তিনি।
সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডিবিধির ৩০৬ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হোমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’তে প্রথম অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
ছোটপর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভূবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।