কোটা সংস্কার আন্দোলনের একেবারে শুরু থেকেই যে ক’জন শোবিজ তারকা ছাত্রদের পক্ষে থেকেছেন, দিয়েছেন একের পর এক উৎসাহ জাগানিয়া পোস্ট তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। যদিও শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ হওয়ার কারনে স্বশরিরে উপস্থিত হতে পারেননি আন্দোলনের মাঠে।
আজও ফারুকী একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ জুলাই ৩৫। স্বাধীনতা থেকে অল্প একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমরা। জোর কদম আগে বাড়ি চলো, একসাথে। তারপর থাকবে রাষ্ট্র সংস্কারের লম্বা কাজ, প্রতিষ্ঠান সংস্কারের লম্বা কাজ, যাতে আর কোনো দিন আমাদেরকে এইরকম বন্দীদশায় পড়তে না হয়।’
বিজ্ঞাপন
এটুকু বলেই থামেননি এই পরিচালক। আরও লিখেছেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, এই সংস্কার করবে কারা? আপনি করবেন। আমরা, আপনারা, সবাই করবো।’
বিষয়টি খুলে বলেছেন নির্মাতা, ‘সবাই জানে আমাদের সিস্টেমের সমস্যাগুলা কোথায়, ওভারহোলিং কোথায় কোথায় দরকার। এই কাজে দেশের ভেতর সিনিয়ররা তো আছেনই। তরুনদের কথাও আপনাদের একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। ওরা নতুন বিশ্বদৃষ্টি নিয়ে বড় হচ্ছে। এতো বড় আন্দোলনের পর ওদের সক্ষমতা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মিনিমাম ডাউট থাকার কথা না। দেশের বাইরে পড়াশোনা করা একটা প্রজন্মও এই কাজে হাত লাগাতে চায়। অনেকতো হলো নৈরাজ্য। এবার সময় নতুনভাবে দেশটা সাজানোর। একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরির। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক।’
‘তওবা তওবা’ গানে বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক ভিকি কৌশলের সঙ্গে সম্প্রতি মেতে উঠেছিলো সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল এই গানের পাঞ্জাবী গায়ক করণ আউজলা। ক্যারিয়ারের এমন সুসময়ে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন এই শিল্পী!
কনসার্ট চলাকালীন জুতা নিক্ষেপ করে আঘাত করা হয়েছে ‘তওবা তওবা’খ্যাত গায়ক করণ আউজলা দিকে। সম্প্রতি লন্ডনে একটি লাইভ কনসার্ট চলাকালীন সময় এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এই গায়ক।
জানা গেছে, কনসার্ট চলাকালীন করণ আউজলা যখন সেটের মাঝখানে ছিলেন তখন দর্শকসারিতে থাকা একজন তার দিকে জুতা ছুড়ে মারে এবং তার মুখে আঘাত করে। যেই ভিডিও এখন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ভাইরাল।
তবে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ জানান করণ। ভিডিওতে দেখা যায় গায়ক বলছেন, ‘থামুন! কে ছিলেন? আমি আপনাকে মঞ্চে আসতে বলছি। এখনই ওয়ান টু ওয়ান করি।’
গায়ক এই অসম্মানজনক ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আপনি যে আমাকে জুতা দিয়ে আঘাত করেছেন, আমি কি এত খারাপ গান গাইছি।’
এমনকি করণ আউজলা পারফরম্যান্স বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে ইভেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রমণকারীকে তৎক্ষণাৎ অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ায় গায়ক আবার পারফর্ম করা শুরু করেন।
সৈয়দ জামিল আহমেদ শোবিজ তারকা নন, তাই তার পরিচিতি সর্বস্তরের মানুষের কাছে বেশ কম। তবে তিনি অনেক জনপ্রিয় তারকার শিক্ষক। তিনি একাধারে একজন নাট্যকার, নির্মাতা, প্রশিক্ষক, গবেষক এবং থিয়েটারবিষয়ক শিক্ষক। ঢাকার মঞ্চ নাটকের দর্শকের কাছে সমাদৃত নাম তিনি। ‘রিজওয়ান’, ‘মন্ত্রাস’, ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’র মতো সাড়া জাগানো নাটকের নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সিংহভাগ অভিভাবক যখন চুপটি মেরে বসে ছিলেন সে সময় তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন ছাত্রদের সাহস যোগাতে। তার মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া লোকের সংখ্যাও কম নয়। বরাবরই অচলায়তন ভেঙে ঘুণে ধরা সাংস্কৃতিক জগৎ তথা সমাজকে সংস্কারের কথা বলেছেন তিনি।
সেই সৈয়দ জামিল আহমেদই হলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ জামিল আহমেদ।
তিনি ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি।
বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকে অনন্য নাম সৈয়দ জামিল আহমেদ। বিষাদ সিন্ধু, বেহুলার ভাসান নির্দেশনা দিয়ে খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। সবশেষ ২০১৭ সালে টানা ১০ দিন ‘রিজওয়ান’ মঞ্চায়ন করে ঢাকার নাট্যাঙ্গনে রীতিমতো ঝড় তোলেন। এরপর প্রখ্যাত সাহিত্যিক শহীদুল জহিরের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ মঞ্চে আনেন তিনি। ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ নাটকে তিনি মুক্তিযুদ্ধপূর্ব, মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক উত্তরাধুনিক সংকট উপস্থাপন করেছেন।
ছোটপর্দার অভিনেতা আরশ খান সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত। অভিনয় দিয়ে যতোটা আলোচনায় এসেছেন তার চেয়ে ঢের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর। চমকের অভিযোগ ছিলো, আরশ তার কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়েছেন!
এরপর আরশ খান আলোচনায় আসেন আরেক অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন উঠলে। অতি সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে নেমে এবং বন্যার্তদের সাহায্য করতে ছুটে যাওয়ার জন্যও প্রশংসা কুড়ান তিনি।
এদিকে, আবারও আলোচনায় এসেছে আরশ খান আর তানিয়া বৃষ্টির সম্পর্ক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তানিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম। এ ছাড়া দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।’
এ প্রসঙ্গে আরশ খানও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি আমার কলিগ। কিছু দিন আগে দেখলাম আমাকে ভাই-ব্রাদার টাইম বলেছে, আমি বলবো বোনের মতো। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি!’
এদিকে আরশ খানের মা অভিনেত্রী নীলা ইসলাম ছেলের বিয়ের কথা ভাবছেন। মায়ের পছন্দেই বিয়ে করতে চান এই অভিনেতা। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, মা যে মেয়েকে পছন্দ করবেন তাকেই বিয়ে করবেন।
বলিউডের নায়করা একসঙ্গে বসে আড্ডা দিতে পারে, বন্ধুত্ব রাখতে পারে কিন্তু নায়িকারা কখনোই একে অপরের বন্ধু হতে পারে না- একটা সময় এটাই যেন মিথ হয়ে গিয়েছিলো।
তার কারণও কম ছিলো না। বলিউডের ইতিহাস ঘাটলে দুই নায়িকার মধ্যে এমন বহু খবর পাওয়া যাবে যারা একে অণ্যের মুখ পর্যন্ত দেখতেন না। ব্যক্তিগত, প্রেমঘটিত কিংবা পেশাগত ঈর্ষা- নানা কারণ থাকতে পারে এর পেছনে।
শ্রীদেবী-মাধুরী, শ্রীদেবী-জয়া প্রদা, জয়া বচ্চন-রেখা, শাবানা আজমী-স্মিতা পাতিল থেকে শুরু করে কারিনা কাপুর-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কারিনা-আমিষা প্যাটেল, কারিনা-বিপাশা বসু, প্রিয়াঙ্কা-টুইঙ্কেল, ঐশ^রিয়া-রানি মুখার্জি, কঙ্গনা রানৌত-তাপসী পান্নু, কঙ্গনা-সোনম কাপুর, সোনম-দীপিকা, দীপিকা-ক্যাটরিনা; এসব নায়িকাদের দ্বন্দ্ব বিনোদন পাতায় ভালোই রসদ জুগিয়েছে।
এই তালিকায় সর্বশেষ নাম আলিয়া ভাট আর শ্রদ্ধা কাপুর। ভক্তরা এই দুই তারকাকে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতেই পছন্দ করেন। কারণ দুই জনই একই বছরে তারকাখ্যাতি পান। দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারীর সংখ্যা নিয়েও চলে তুলনা। আলিয়ার ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ আর শ্রদ্ধার ‘আশিকী ২’ থেকে শুরু হয় এই তুলনা। এরপর আলিয়া ভাট নিজেকে নিয়ে গেছেন দেশের শীর্ষ অভিনেত্রীর অবস্থানে, পিছিয়ে পড়েন শ্রদ্ধা। যা শ্রদ্ধা ভক্তরা মানতে নারাজ। তাদের মতে শ্রদ্ধাও দারুণ মেধাবী-সুন্দরী। কিন্তু আলিয়া প্রভাব খাটিয়ে শ্রদ্ধাকে কোনঠাঁসা করেছেন।
কিন্তু এই দুই অভিনেত্রীর মুখে বা আচরণে এমন কিছুই প্রকাশ পাইনি কখনো। আর এবার তারা একে অপরের সঙ্গে যে আচরণ করলেন তাতে নেটিজেনদের মুখ ‘হা’ হয়ে গেছে!
গতকাল মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাটের কামব্যাক সিনেমা ‘জিগরা’র ট্রেইলার। এরইমধ্যে তা দর্শকের তুমুল প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আলিয়া ভাটের অভিনয়ের প্রশংসা আরও একবার চারিদিকে। এবার বাদ থাকলেন না শ্রদ্ধা কাপুরও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মতো পাবলিক প্ল্যাটফর্মেই আলিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন। ‘জিগরা’র ট্রেলার দেখে শ্রদ্ধা কাপুর লিখেছেন, ‘কী চমৎকার ট্রেলার আলিয়া ভাট, এ সিনেমা তো ভাইকে নিয়ে হলে গিয়ে দেখতে হবে।’
আলিয়াও শ্রদ্ধার এই দারুণ আচরণে মুগ্ধ। তাই সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে ভোলেননি। শ্রদ্ধার সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘স্ত্রী ২’কে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আলিয়া লিখেছেন ‘ধন্যবাদ আমার ব্লকবাস্টার স্ত্রী’।
যে দুই তারকাকে নিয়ে সর্বদা সবাই তুলনা করতে ব্যস্ত, মনে করেন তাদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক, তাদের এমন আচরণ দেখে যারপরনাই বিস্মিত নেটিজেন।
প্রসঙ্গত, করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ও আলিয়ার ইটারনাল সানশাইন প্রযোজিত ‘জিগরা’ মুক্তি পাবে আগামী ১১ অক্টোবর। ভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে নির্মিত ভাসান বালা পরিচালিত এই ছবিতে আলিয়ার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নেটফ্লিক্স মুভি ‘দ্য আর্চিজ’ তারকা ভেদাং রায়না। ভাইকে বাঁচাতে আলিয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ও ধুন্দুমার অ্যাকশন সবাইকে মুগ্ধ করেছে।