রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানালেন পরীমনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও বিচ্ছেদের সুর আলোচিত তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনির সংসারে। মাঝখানে কিছুটা মিটমাটের আভাস পাওয়া গেলেও পুরোনো আগুনে যেন আবারও ঘি ঢেলে দিলো গত সোমবার দিবাগত রাতে ফাঁস হওয়া কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র। এরপর থেকেই রাজ-পরীর সংসারে ভাঙনের সুর স্পষ্ট।

এদিকে বাসা থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যাওয়া, ফোন না ধরার যে কথা পরীমনি বলছেন, সেটি ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রাজ। আর এসব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমি বাসা থেকে কেন বেরিয়ে এসেছি, পরী ভালো করে জানে। কীভাবে বেরিয়ে এসেছি, কেন বেরিয়ে এসেছি, তাও সে ভালো করে জানে। ওই দিন বাসায় তার ও আমার পরিচালক গুরু গিয়াস উদ্দিন সেলিম ছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।’

পরীমনির বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ অভিহিত করে রাজ বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই আছি, কাজ করছি। এরই মধ্যে “দেয়ালের দেশ”, “ইনফিনিটি”, “কাজলরেখা” ছবিগুলোর ডাবিং শেষ করছি। সুতরাং আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এসব মিথ্যাচার করে কী লাভ হচ্ছে, তা আমার জানা নাই। আমি সব সময়ই পরীকে সম্মান দিয়ে কথা বলি। কিন্তু সে কেন এমন করে, বুঝি না।’

রাজের বক্তব্য ধরে একই দিন কথা হয় পরীমনির সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজ বাইরে ছিল, সেলিম ভাই ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিলেন। সম্ভবত এটি গত ২০ মের ঘটনা। আসার আগে সেলিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি রাজকে সঙ্গে করে নিয়ে তোমার বাসায় আসছি। এসে বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পার। আমি বললাম, ‘ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তা হলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব।’ পরে সেলিম ভাই বললেন, যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তা হলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তাভাবনা করে দেখ। এর পর আমি বললাম, বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময়ে বাসায় এলে বাচ্চাকে দেখতে দেব না। যদি রাত ৪টায় আসে, ভোরবেলায় আসে, তা হলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নেই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নাই।’

পরী আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে ওই রাতে সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক কথা কাটাকাটি হয়। রাজের সঙ্গেও হয়েছে। কারণ ওই দিন বিভিন্নজনের সঙ্গে মিলিয়ে রাজ আমার চরিত্র নিয়েও অনেক কথা তুলেছিল। একটা পর্যায়ে সেলিম ভাই, তার বউসহ রাজ তার সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। এর পর আর আসেনি।’

পরীমনির এমন বক্তব্যের বিষয়ে রাজ বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। ঢাকায় আসার পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে আমি কখনই এত আপসেট হইনি। আমি এভাবে কখনই মানসিকভাবে ভেঙে পড়িনি। আমার কাছে আর এসব কথা জানতে চাইবেন না। আমি এসব নিয়ে আর কথা বলতে চাই না, কথা বাড়াতে চাই না। আমি একটু নিরিবিলি, শান্তিতে থাকতে চাই।’

রাজ-পরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে ‘দামাল’ ছবি মুক্তির সময় মিমের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক জড়িয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন পরীমনি। মূলত তখন থেকেই রাজ-পরীর সম্পর্কটা স্বাভাবিক যাচ্ছিল না।

বিষয়টি স্বীকার করে পরীমনি বলেন, দামাল ছবির মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাসায় থাকত না। সন্তানের প্রতিও তার সে ধরনের দায়িত্ব চোখে পড়েনি।

কিন্তু এরপরও সিনেমার বা বিভিন্ন ইভেন্টের অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। এ ব্যাপারে পরীমনির বক্তব্য, ‘এগুলো ছিল রাজের লোকদেখানো। আমার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সঙ্গে সে যেত। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি সে। আমার সঙ্গে তার এখন শারীরিক, মানসিক কোনো অ্যাটাচমেন্টই নাই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাসায় রাজ তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’

তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে আপনাদের সংসার?—এমন প্রশ্নে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না।’ হাসতে হাসতে পরী আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’

দুঃখ করে পরী বলেন, ‘রাজ আমার বাচ্চার বাপ, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আমাদের সন্তানের জন্য আফসোস হয়ে থাকবে, বাবা-মাকে নিয়ে সুখী জীবন পাচ্ছে না আমাদের সন্তান। আর এর জন্য দায়ী রাজ। আমাকে দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই সংসার টেকানোর জন্য আমি কী পরিমাণ চেষ্টা করে গেছি, রাজও জানে সেটি।’

কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে কিংবা নিজের উপলব্ধি থেকে যদি রাজ আবার ফিরে আসেন, তাহলে? এ বিষয়ে পরী বলেন, ‘বিয়ে-সংসার কি মুদিদোকানের মতো কারবার? ফিরে আসার আর সুযোগ নাই। যে মানুষ স্ত্রী, বাচ্চার মায়ের চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারে, তার সঙ্গে ঘর করার সুযোগ নাই আর।’

   

বিজয়পুরের সাদামাটির পাহাড়ে ‘ইত্যাদি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক শোভার লীলাভূমি নেত্রকোনার বিজয়পুরে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইত্যাদির চিত্র ধারণ করা হয় ।

এবারের আয়োজনে নেত্রকোনা নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বিজয়পুরের স্থানীয় দুই শতাধিক গারো, হাজং এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পী। গানটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে দুর্গাপুরের নানা স্থানে। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন মালা মার্থা আরেং, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম।

ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। তিনি বলেন, ‘এবার ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল নেত্রকোনার বিজয়পুরে সাদামাটির পাহাড়ের সামনে। সবুজ বনানী, পাহাড় আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় ইত্যাদি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির চিত্র ধারণ শুরু হয়।’


তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইত্যাদি ধারণ উপলক্ষে নেত্রকোনায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে বসেছিল জমজমাট মেলা। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় দুপুর ২টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ আশপাশের পাহাড়, গাছ ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন।’

ইত্যাদির এ পর্ব বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।

;

জুটি বাঁধলেন সাইমন-পরীমণি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪
জুটি বাঁধলেন সাইমন-পরীমণি

জুটি বাঁধলেন সাইমন-পরীমণি

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিনের বিরতি পেরিয়ে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের ‘ডোডোর গল্প—Story of Dodo’—নামের সিনেমায় দেখা যাবে তাদের। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।

সম্প্রতি পরীমণি ও সাইমন সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘ডোডোর গল্প’র কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা করছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক। সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। এর প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ)।

সিনেমাটিতে ফটোগ্রাফার রায়হান চরিত্রে অভিনয় করবেন সাইমন সাদিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দিন পর পরী আর আমি একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। এই সিনেমাটির গল্প প্রেক্ষাপট একেবারে আলাদা। অন্যরকম একটা বার্তাসৃমদ্ধ গল্প। একেবারে ভিন্ন ধারার কাজ হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস পরিচালক এটি যত্ন সহকারে নির্মাণ করবেন। আমরা চেষ্টা করব শতভাগ দিতে। আশা করছি, দর্শক সুন্দর একটি গল্প পেতে যাচ্ছেন।

সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক খাদেমুল জাহান বলেন, আমরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির কাজ শুরু করব। একটানা কাজ করে চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

;

টাবু খাবার বানিয়ে আনতেন, আমরা মজা করে খেতাম: বাঁধন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
টাবু ও বাঁধন

টাবু ও বাঁধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনোদন জগতের এক পরিচিত মুখ আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার পর তাঁকে দেখা গিয়েছিল ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিনেমায়। এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই তিনি টালিউডে পা রাখেন। তবে এবার তিনি শুধু ঢালিউড আর টালিউডের সিনেমায়ই সীমাবদ্ধ নেই।  

সম্প্রতি তিনি বলিউড পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের ছবি ‘খুপিয়াতে’ কাজ করেছেন। ‘খুপিয়া’ সিনেমায় তাঁকে একজন বাংলাদেশি নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। পর্দায় খুব বেশি সময় না থাকলেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যাবে বলেও জানা যায়। 

এ বছর ৫ অক্টোবর 'খুফিয়া' সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুক্তি পেয়েছে ‘খুপিয়া’ সিনেমার ট্রেইলার। ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ট্রেলারে ছিলো রহস্য, অ্যাকশন এবং রোমান্স। 

এই সিনামায় অভিনয় করতে গিয়ে সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিনেমাটিতে অভিনয় করা টাবুর সঙ্গে বন্ধুত্ব না হলেও বেশ কাছের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। টাবু তাদের জন্য খাবার বানিয়ে আনতেন এবং সকলে সেটা মজা করে খেতেন বলেও জানান এই অভিনেত্রী।

বাঁধন জানান, বাংলাদেশে আমাকে যারা পছন্দ করেন, আমার কাজ পছন্দ করেন, তাদের এটা নিয়ে আগ্রহ থাকবেই। তাই ট্রেলার দেখে তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা আছেই। ছবিটা দেখার পর এই ভালোলাগা আশাকরি বাড়বে। ট্রেলার দেখার পর যে প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে পেয়েছি, তাতে আমি খুশি। আমার বহু কলকাতার অনুরাগীরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটা একটা ভালোলাগার জায়গা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লুক টেস্ট করতে মুম্বাই গিয়েছিলেন তিনি। তারপরের মাসেই দিল্লিতে শ্যুটিং শুরু হয়। সেটাই ছিল সিনেমাটির প্রথম লটের শ্যুটিং। ছবিটির শ্যুটিং শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে।

 

;

একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ আর নেই



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জিনাত বরকতুল্লাহ  ও তার মেয়ে বিজরী বরকতউল্লাহ

জিনাত বরকতুল্লাহ ও তার মেয়ে বিজরী বরকতউল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease
  • নাট্যাভিনেত্রী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে পাঁচটায় রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জিনাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লার মা।

জিনাত বরকতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিনাত বরকতুল্লাহ। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।

নৃত্যশিল্পীর পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন জিনাত বরকতুল্লাহ। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর প্রায় ৮০টি টিভি নাটকে অভিনয় করেন এই গুণী শিল্পী।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নাট্যকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২০ সালের ৩ আগস্ট করোনায় মারা যান মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ।

জিনাত বরকতউল্লার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ।

;