জনপ্রিয় নির্মাতা আদনান আল রাজীবের পরিচালনায় এর আগে মেহজাবিন চৌধুরী কাজ করেছেন। তবে এবার মেহজাবিন একা নন, একটি টিভিসিতে যুক্ত হলেন মডেল ও অভিনেতা সাব্বির অর্নব।
তিনি জানান, বাংলালিংকের ফোর জির টিভিসিতে কাজ করলাম। অনেক সুন্দর একটি কাজ হয়েছে। মেহজাবিন চৌধুরী এবং আদনান ভাই দুজনের সাথে আমার প্রথম কাজ করা হলো। দুর্দান্ত কাজ হয়েছে। অনেক ভালোলেগেছে কাজটি করে। আমার বিশ্বাস, দর্শকও কাজটি পছন্দ করবেন।
নাইন অ্যান্ড হাফ স্টুডিওতে এর দৃশ্যধারনের কাজ হয়েছে।
প্রথমবারের মতো বড়পর্দায় নতুন জুটি হিসেবে দেখা যাবে শরিফুল রাজ ও শবনম ইয়াসমিন বুবলীকে। সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবির নাম ‘দেওয়ালের দেশ’। অনেকটা গোপনেই সিনেমার শুটিং শেষ করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সিনেমাটির ফার্স্টলুক প্রকাশ হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক মিশুক মনি।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মিশুক মনির বলেন, আমি চেয়েছিলাম আগে কাজটি সম্পন্ন করি এরপর আলোচনা করা যাবে। আমি চাই মানুষ কাজের আলোচনা করুক। প্রধান চরিত্রে আছেন শবনম ইয়াসমিন বুবলী ও শরিফুল রাজ। আমরা যথেষ্ট যত্ন নিয়ে ‘দেওয়ালের দেশ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফার্স্টলুক প্রকাশের মাধ্যমে সিনেমাটির বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
অভিনেতা শরিফুল রাজ জানান, এই সিনেমায় কাজ করার পেছনে অবদান হচ্ছে, গল্পটির স্ক্রিপ্ট। আমি এ ধরনের স্ক্রিপ্ট পছন্দ করি। ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমাটির গল্প কিংবা স্ক্রিপ্ট আমার কাছে ভীষণ দারুণ লেগেছিল। এটি একটি অনুদানের সিনেমা। এ ধরনের সিনেমার বাজেটের সমস্যা থাকে। কিন্তু নির্মাতা এত সুন্দর করে সবকিছু ম্যানেজ করেছে। আমি মুগ্ধ। সিনেমায় যতদিন ইনভলভ ছিলাম। আমি ভীষণ এনজয় করেছি। এছাড়াও বুবলি আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন এই সিনেমা সফল করতে। আশা করছি দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে। আমরা ভালো ফিডব্যাক পাব। পাশাপাশি এ ধরনের অনুদানের সিনেমার স্ক্রিপ্ট ভালো পেলে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনুদানের সিনেমা করতে আগ্রহ পাবে।’
অভিনেত্রী বুবলি বলেন, দেয়ালের দেশ একটি অনুদানের ছবি। কাজ করতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমরা যখন একসাথে প্ল্যানিং করে কাজ করা শুরু করলাম। আমি দেখি, খুবই দুর্দান্ত একটি টিম। এছাড়াও এই ধরনের ক্যারেক্টার আমার পুরো ক্যারিয়ারের মধ্যে আমি করিনি। আমার লুক, অভিনয় ও কাজের মধ্যে ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যাবে। যেহেতু এটি একটি অনুদানের সিনেমা। বেশি স্ট্রাগল করে শুটিং করতে হয়েছে। একটা সময় দম বন্ধ হয়ে আসতো। সে সময় পুরো টিম একজন আরেকজনকে সাপোর্ট করেছে। ছবিটি বাজেট কম হলেও নির্মাতা মিশুক নিজে ইনভেস্ট করে এই সিনেমাটি তৈরি করেছে। আশা করছি যখন ট্রেলার বের হবে তখন থেকে শুরু করে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত সবারই ভালো লাগবে।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পায় সিনেমাটি। এরপরের বছর এর দৃশ্যধারণের কাজ শুরু। সিনেমার গল্প দুটি সময়ের কথা বলবে। ৭ বছর আগে ও পরের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে চরিত্রগুলো।
প্রসঙ্গত, শাকিব খানের নায়িকা হয়েই ঢালিউডে পা রাখেন বুবলী। এরপর সাইমন সাদিক, নিরব, ইমন, মাহফুজ আহমেদ, জিয়াউল রোশান থেকে শুরু করে হালের আদর আজাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি সম্প্রতি ‘ডোডুর গল্প’ নামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এবার জানালেন নতুন আরও একটি ওয়েব সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর।
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে শোবিজে আবারও পরীমণির সরব উপস্থিতি। একের পর এক কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এ নায়িকা।
সিরিজটি নির্মাণ করবেন নির্মাতা অনম বিশ্বাস। সাহিত্যিক কিংকর আহসানের ‘রঙ্গিলা কিতাব’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হবে ওয়েব সিরিজটি। এতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। নায়িকা নিজেই এতে চুক্তিবদ্ধের খবর নিশ্চিত করেন। রোববার ফেসবুকে অনম বিশ্বাসের সঙ্গে ছবিও প্রকাশ করেছেন পরীমণি।
জানা যায়, এতে পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করবেন শ্যামল মাওলা। আরও থাকছেন, ফজলুর রহমান বাবু ও জিয়াউল হক।
সম্প্রতি পরীমণি অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘পাফ ড্যাডি’ ‘বঙ্গ’তে মুক্তি পেয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন সহীদ উন নবী ও মুশফিকুর রহমান মঞ্জু।
ঢাকা ও কলকাতা-দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। তবে ঢালিউডের চেয়ে তাকে টালিউডের কাজেই বেশি দেখা যায় তাকে।
কিছুদিন আগে সেখানে গিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে। জানিয়েছেন একাধিক নতুন সিনেমার খবরও।
শিগগিরই সেগুলো শুরু করবেন এ চিত্রনায়িকা। তবে এত বছর ধরে কাজ করার পরেও এখনো বিভিন্ন সিনেমার জন্য অডিশন দিতে হয় এ অভিনেত্রীকে।
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বলেন, অনেকদিন ধরেই আমি কলকাতায় কাজ করছি। এরমধ্যে ঢাকা ও কলকাতা মিলিয়ে ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছি। অভিজ্ঞতাও কম হয়নি বলা যায়। কিন্তু এখনো কলকাতার বড় প্রযোজনা সংস্থা বা বড় নির্মাতার সিনেমার জন্য আমাকে অডিশন হয়। তারপর সেখানে কাজের জন্য নির্বাচিত হতে হয়। তবে এই অডিশনকে নেতিবাচক নয়, বরং ইতিবাচক হিসেবেই নেন এই অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, অডিশনের বিষয়টা খুব ভালো। আমি সাপোর্ট করি। কারণ আমি কী গল্প, কী চরিত্র করছি তার একটা স্বচ্ছতা থাকে। আমাদের দেশে সব ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া নেই।