যেখানে অপু সেখানেই লাল শাড়ি



কামরুজ্জামান মিলু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ অপু বিশ্বাস

ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ অপু বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

শুনতে মনে খটকা লাগতে পারে। তবে হ্যাঁ। ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ অপু বিশ্বাস নতুন সুখবর দিয়েছেন। সামনে লাল শাড়ি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন তিনি। বলতে গেলে- যেখানে অপু সেখানেই লাল শাড়ি। এর কারণও আছে। তা তিনি খোলাশা করে জানান। ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার জন্য আবেদন করার পর প্রযোজক হিসেবে সরকারি অনুদান সম্প্রতি পান তিনি। এর আগে, গত মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২১-২২ অর্থ বছরের অনুদানপ্রাপ্তদের নাম। সেখানে ‘লাল শাড়ি’র জন্য অপু বিশ্বাসকে ৬৫ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।

গত ২০ জুলাই মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমা ‘লাল শাড়ি’র জন্য অনুদানের প্রথম চেক গ্রহণ করেন অপু বিশ্বাস। চলতি বছরের নভেম্বরে সিনেমা নির্মাণের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অপু বিশ্বাস বলেন, আমার এখন লক্ষ্য হচ্ছে এ সিনেমার জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ান নেয়া। কারণ আমার কাছে দক্ষ টেকনিশিয়ানরা হচ্ছে ভিত্তি প্রস্তর, আর অর্নামন্টেস হচ্ছে আর্টিস্ট। আমি কিছুদিনের মধ্যে অভিনয় শিল্পীদের নাম জানাবো। সিনেমার সব গান পরিচালনা করবেন ইমন সাহা। আর আমি একটা থিম নিয়ে চিন্তা করছি। সিনেমা সংশ্লিষ্ট মিটিংয়ে যেখানে যাচ্ছি লাল শাড়ীকে বেছে নিচ্ছি, মানে লাল শাড়ী পড়ছি। আমার কাছে মনে হয় এটাও একটা ট্রেডমার্ক।

প্রযোজক হিসেবে নিজে কতটা চাপে আছেন জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস আরও বলেন, আমার কাছে নতুনত্ব তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তবে প্রযোজকরা যে অনেক চাপ নেয় সেটা বুঝতে পারছি। আগে তো একটা সময় প্রযোজক ডাকত আমি মিটিংয়ে নায়িকা হিসেবে গিয়ে সবকিছু বুঝে নিয়ে চলে আসতাম। আমার অংশটা ছিল খুবই সোজা, চাপ ছিল না। কিন্তু এখন তো পুরো সিনেমার মিউজিক, লাইট, আর্টিস্ট, সংগীতশিল্পীসহ সব বিষয় দেখতে হচ্ছে। এখন তাই একটু পেইনটা টের পাচ্ছি। আমি নিজে এখন কোনো কোনো সময় অন্য কারো জন্য বসে থাকছি। তবে আমি এই চাপটা ইনজয়ও করছি। এটা হচ্ছে নতুনত্ব। এতদিন যতটা কাজ করেছি ইন্ডাস্ট্রিতে তা থেকে ভালো কিছুই হবে বলে আশা করছি।

‘লাল শাড়ি’ সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙ। শনিবার (৩০ জুলাই) ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হন বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা। অন্যদিকে সিনেমার সব গানগুলো পরিচালনা করবেন ইমন সাহা । আর সিনেমাটি পরিচালনা করবেন বন্ধন বিশ্বাস। এদিকে সিনেমার কাজেও ব্যস্ততা আছে অপু বিশ্বাসের। সর্বশেষ ‘ট্র্যাপ’ নামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এরই মধ্যে এ সিনেমার বেশ কিছু অংশের শুটিংও হয়েছে।

এ ছাড়া ‘প্রেম প্রীতি বন্ধন’ ও ‘ছায়াবৃক্ষ’ নামের দুটি সিনেমার কাজও তার হাতে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছায়াবৃক্ষের শুটিং শেষ। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্য থেকে চলতি বছর অন্তত একটি সিনেমা মুক্তি পেতে পারে। সামনে ভালো কাজ পেলে লাল শাড়ির বাইরে সেগুলোতেও সময় দিবেন বলে জানান তিনি।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;