বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচন ১৪ জুলাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ এই দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (৪ জুলাই) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি এক কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দুই আসনে ১৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট করতে না পারলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ভোট করতেই হবে। কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট আয়োজন করা হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই মূলত এই সংকটের মধ্যে ভোট করতে হচ্ছে।

গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এর সাথে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

প্রসঙ্গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন শূন্য হয়। সংবিধানের ১২৩(৪) অনুযায়ী সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে সেটা মানা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা গত এপ্রিলেই শেষ হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে কোনো ‘দৈব-দুর্বিপাকের কারণে’ এই দফায় নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই।

   

টাঙ্গাইলের ৮ সংসদীয় আসনে ৭১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে ৭১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জমাদানের শেষ দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৮টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৮জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৩ জন, জাতীয় পার্টির ৯ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩ জনসহ অন্যান্য দলের মোট ৭১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

উল্লেখ্য যোগ্য প্রার্থী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি (আওয়ামী লীগ), সাবেক এমপি খন্দকার আনোয়ারুল হক (স্বতন্ত্র) ও মোহাম্মদ আলী (জাতীয় পার্টি)।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এমপি তানভীর হাসান ছোটমনির (আওয়ামী লীগ), গোপালপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার (স্বতন্ত্র) ও হুমায়ুন কবির তালুকদার (জাতীয় পার্টি)।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. কামরুল হাসান খান (আওয়ামী লীগ), সাবেক দুইবারের এমপি আমানুর রহমান খান রানা (স্বতন্ত্র) ও আব্দুল হালিম (জাতীয় পার্টি)।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজহারুল ইসলাম তালুকদার (আওয়ামী লীগ), সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র), মুরাদ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র), ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী (জাতীয় পার্টি), সারওয়াত সিরাজ (স্বতন্ত্র)।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন (আওয়ামী লীগ), দুইবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), মুরাদ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিনবারের পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন (স্বতন্ত্র), কেন্দ্রীয় বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব (স্বতন্ত্র), কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন তন্ম (স্বতন্ত্র), মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানী (স্বতন্ত্র), মোজাম্মেল হক (জাতীয় পার্টি)।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান এমপি আহসানুল ইসলাম টিটু (আওয়ামী লীগ), নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান হিমু (স্বতন্ত্র), সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম (জাতীয় পার্টি), নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আনিসুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), মামুনুর রহিম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান এমপি খান আহমেদ শুভ (আওয়ামী লীগ), মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্ট (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই (স্বতন্ত্র) ও আরমান হোসেন তালুকদার (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ)।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয় (আওয়ামী লীগ), বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি)।

;

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ১৫১ জন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫১ জন প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষে এই হিসাব দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে। এই আসনে মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন প্রার্থী।

এছাড়া চট্টগ্রাম-১ আসনে ৮জন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে ১০জন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে ৯জন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ১০জন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ৫ জন, চট্টগ্রাম-৭ আসনে ৭জন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে ১৩জন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১২ জন, চট্টগ্রাম -১১ আসনে ৯টি, চট্টগ্রাম-১২ আসনে ১০ জন ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ৭জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একজনে একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই আসনে। তবে প্রার্থীর নামগুলো জানা যায়নি।

এছাড়া বেশ কিছু আসনে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে আগ্রহী অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরে কার্যালয় সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

;

বিশ্লেষণ: তফসিল পেছালেই কি সমঝোতা সম্ভব?



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগ মুহূর্তেও বিএনপি নির্বাচনে আসে কিনা তা নিয়ে দিনভর সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি কৌতূহল ছিল।

সেই কৌতূহল থেকেই বিএনপি আজ মনোনয়নপত্র জমা দেয় কিনা তা দেখতে অনেকেই উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি আজ কোনো মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়তি একটি জানার উৎসাহ থাকলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আগেই বুঝতে পারছিলেন যে, বিএনপি নির্বাচনে আসছে না। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও তারা হরতাল পালন করেছে। তাছাড়া বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের প্রস্তুতিও নেই।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতারা এখন কারাগারে। এই অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হওয়াটাও অসম্ভব। কারণ সংলাপের জন্য কথা বলার মতো নেতা কেউ কারাগারের বাইরে নেই।

কথা হচ্ছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রম করার পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচনে আসার কিংবা সমঝোতার আর কি কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা। আজ দিন শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়নি। তার মানে বিএনপিকে ছাড়াই কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অথচ একাধিক নির্বাচন কমিশনার বারবারই বলছিলেন বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পিছিয়ে দেওয়া হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তফসিল পেছানো এখনো সম্ভব। আর নির্বাচন কমিশনের হাতে সেই ক্ষমতাও রয়েছে। যদিও ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ৪৫ দিন সময় থাকার প্রয়োজন। সেই হিসেবে এবার নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এক সপ্তাহ সময় হাতে রয়েছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল পেছানো যেতে পারে। বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে না-ই আসে তাহলে তফসিল পিছিয়ে কি লাভ তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা কারাগারে আর যারা বাইরে রয়েছেন তারাও প্রকাশ্যে আসছেন না। এ অবস্থায় আলোচনা বা সংলাপে বসার মতো পরিস্থিতি নেই। রাজনৈতিক যে পরিবেশ এখন বিরাজ করছে কিংবা বিদেশি কোনো দেশের পক্ষ থেকেও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পার হয়ে গেলেও তফসিল পেছানো যেতে পারে। তফসিল শুধু পেছানোই নয়, চাইলে নির্বাচন কমিশন তা বাতিলও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কমিশনকে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অতীতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোনো কমিশনকে নিতে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আর কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সময়সীমা ঠিক রেখে যদি তফসিল সমন্বয় করে সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে একটি সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের পর সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।

এদিকে সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আগে থেকেই পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে সরকারের কাছে রওশন এরশাদের এই দাবি আদৌ প্রাধান্য পাবে না বলেই অনুমিত।

যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ইউরোপের সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা বুধবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন এবং বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূতরা গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন।

বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন, তারা যেহেতু সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন করছেন, তাই তফসিল পেছানো হোক না হোক এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, তারা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন চান। এখানে মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়ালেই তাদের দাবি অর্জিত হবে না।

সবকিছু বিবেচনা করে এবং বিএনপি-আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থানে এটা স্পষ্ট যে, তফসিল পেছালেই দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হবে না। এজন্য চাই আন্তরিক উদ্যোগ এবং শর্তহীন সংলাপ।

;

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: আসন প্রতি লড়বে ৯ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০টি রাজনৈতিক দলের ৩০০ সংসদীয় আসনে মোট ২৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০০টি আসনের জন্য আজ (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ২৭৪১ জন মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র সমূহে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে।

তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। এদিন বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মোট ২৭৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৭৩জন। 


২৭৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে ফেনী-১ আসনে সর্বোচ্চ ৪০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। সর্বনিম্ন ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন একাধিক আসনে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিভিন্ন দলের ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলেই অংশ নেয়। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিল ৪৯৮টি আর দলীয় মনোনয়নপত্র ছিল ২৫৬৭টি। অনলাইনে মাত্র ৩৯টি মনোনয়নপত্র জমা হয়, বাকিগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে সরাসরি রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে।

;