নির্বাচনী প্রচারণায় নতুনত্ব, স্বস্তিতে নগরবাসী



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পাশাপাশি বোর্ডে প্রার্থীদের পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাশাপাশি বোর্ডে প্রার্থীদের পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন এলেই নগরীর চেহারা পাল্টে যায়। দু'চোখ যে দিকে যায়, শুধু পোস্টার আর পোস্টার। দেখে মনে হয় যেন পোস্টারের নগরী। কিছু দিন আগে শেষ হওয়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার ধরনের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবুও থেমে থাকেনি পোস্টারিং।

এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বলা হয়েছে, নির্ধারিত জায়গায় প্রার্থীরা পোস্টার লাগাতে পারবেন, এর বাইরে নয়। এজন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন এক বৈঠকে প্রস্তাব করে- প্রার্থীরা আচরণ বিধিমালায় বর্ণিত সংখ্যক অনুমোদিত স্থায়ী স্থাপনায় নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। ক্যাম্পগুলোতে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করতে পারবেন তারা। সিটি কর্পোরেশন আইনে অনুমোদিত ডেসিবেল মাত্রায় মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে।

হারিকেন প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

এছাড়া নির্বাচনী আসনের ২১টি জায়গা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সব প্রার্থী সেখানে নিজ নিজ স্ট্যান্ড স্থাপন করে পোস্টার লাগাতে পারবেন। একেকটি জায়গায় পর্যায়ক্রমে সব প্রার্থী শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে অচরণ বিধিমালায় বর্ণিত সময়কালে প্রচারণা চালাতে পারবেন।

ইসির ওই নির্দেশনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আসছে ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনকে ঘিরে। ধানমন্ডিতে ইউনিমার্টের সামনের সড়কে ফুটওভার ব্রিজের পাশে ছয়জন প্রার্থীর জন্য ছয়টি বোর্ড দেওয়া হয়েছে। বোর্ডে প্রার্থীদের নাম ও রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া রয়েছে। সেই নির্দিষ্ট বোর্ডেই প্রার্থীর পোস্টার লাগানো হয়েছে। এক বোর্ডে আওয়ামী লীগের নৌকার পোস্টার তো আরেক বোর্ডে রয়েছে বিএনপির ধানের শীষের পোস্টার। একে অন্যের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এ যেন এক অনন্য নজির। যার ফলে রাস্তার ওলি-গলিতে পোস্টার দেখা যাচ্ছে না।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

পোস্টার বিহীন পরিচ্ছন্ন নগরীতে স্বস্তি প্রকাশ করে ধানমন্ডির বাসিন্দা আয়নাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইসির এ কাজটি ভালো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে হারে পোস্টার লাগানো হয়েছিল, তাতে ঢাকার পরিবেশ তো দূষিত হয়েছেই, পাশাপাশি আমাদের চলতেও কষ্ট হয়েছে। সব নির্বাচনে এ রকম নির্দেশনা থাকলে ভালো হবে।

বিএনপি প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে ইসি ওই নির্দেশনা জারি করে। শর্ত মেনেই গত ১ মার্চ থেকে পোস্টারিং শুরু করেছেন প্রার্থীরা।ঢাকা-১০ আসন উপ-নির্বাচনের ছয় প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) আব্দুর রহীম।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা অতীতের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। পোস্টারে আকাশ দেখা যাবে না ফরওয়ার্ড লুকিং পলিটিক্স অতীতের ঘাটাঘাটি করছি, আমরা যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে জনসেবা করতে চাই তাহলে এটা সঠিক না। পোস্টারের জন্য আকাশ দেখা যাবে না, দূষণ করব, ড্রেনেজ বন্ধ হয়ে যাবে এটা ঠিক না। শব্দ দূষণের জন্য মাইকিং সীমিত। গাড়ি চলবে। কারফিউ ভাব হলে কি উৎসব মনে হয়? সেজন্য আমরা ৬ প্রার্থী মিলে করতে পেরেছি। এটা ভালো দিক। আইনে বাধা দেয় না কিন্তু আমরা চেয়েছি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি। এধরনের জিনিসগুলো না থাকাই বাঞ্ছনীয় আমরা সেটাই করছি।

ডাব প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির শেখ রবিউল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিএনপি এটাকে পজেটিভলি দেখছে। নির্বাচনের নামে বা প্রচারের নামে ঢাকা শহরকে যেভাবে জঞ্জল তৈরি করা হয়। শব্দ দূষণ, পরিবেশ দূষণ করে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যার যেখানে ইচ্ছা মাইক বাজাচ্ছে। যেখানে ইচ্ছা পোস্টার লাগাচ্ছে সেটা তো কারো কাম্য না। একটা বাসযোগ্য শহরের জন্য এটা প্রয়োজন রয়েছে। এটাকে স্বাগত জানিয়েছি। যে বিধি বিধান দিয়েছে তা আমি মেনে চলছি ২১টা জায়গায় পোস্টার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আমি সেই বিলবোর্ডে পোস্টার লাগিয়েছি। ব্যানার নিষিদ্ধ কিন্তু অনেকে দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ব্যানার লাগিয়েছে। ইসিকে জানিয়েছি, উনারা বলছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সর্তক করব। কিন্তু এখনো ব্যানার দেখছি। বাকি সব ঠিক আছে। এটা ভালো পদ্ধতি।

পোস্টার বিহীন সড়ক

উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট করতে শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি শূন্য হয়।ঢাকা-১০ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৪ জন। আসটিতে মোট ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৭৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;