দুয়েকজনের কর্মকাণ্ডে কমিশনের অপবাদ: সিইসি
দুয়েকজনের কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নামে অপবাদ চলে আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, মানুষ লোভে পড়ে অনেক কিছু করে ফেলে। সাংবিধানিক সংস্থা মানে এই না যা খুশি তাই করে ফেলবেন। দুয়েকজনের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক সময় কমিশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। সবাই ভালো কাজ করলে সেটারও প্রশংসা হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, এক সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস ছিল না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্বল ছিল একটি ব্যাগ আর যাতায়াতের বাহন ছিল রিকশা। এখন সেই অবস্থা নেই। আপনাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাও দেওয়া হয়, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আমরা যদি নিজেরা শক্তিশালী না হই তাহলে কী হবে?
তিনি বলেন, আমরা এখন স্থানীয় সরকারের কোন নির্বাচনে বাইরের কাউকে দায়িত্ব দেই না। আগামীতে সব ধরনের নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেটা কতদিনে হবে জানি না। আপনারা ধীরে ধীরে নিজেদের যোগ্য করে তুলুন।
স্মার্টকার্ড নিয়ে ফ্রান্সের কোম্পানির সমালোচনা করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তারা আমাদের যন্ত্রণা দিয়েছে। তারা সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলেছে। তারা আমাদের ডাটাবেইজও ব্যবহার করতে চেয়েছে কিন্তু আমরা তা দেইনি। কোম্পানিটি ভেবেছিল তারা না থাকলে হয়তো আমরা স্মার্টকার্ড আর নাগরিকদের দিতে পারব না। কিন্তু গর্বের বিষয় হলো এটি এখন আমাদের দেশের ছেলেরা তৈরি করছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভোটের লড়াই শুক্রবার