হাতের লেখায় সেলিব্রেটি স্কুলছাত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য কত জন কত কিছুই না করেন। সেখানে সেলিব্রিটি হতে নয় পড়াশোনায় ভাল রেজাল্টের তাগিদেই নিজের হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তোলেন এক স্কুলছাত্রী। আর তার এ হাতের লেখায় তাকে সেলিব্রিটি বানিয়ে দিয়েছে।

প্রত্যেক মানুষের হাতের লেখার স্টাইল আলাদা। কেউ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। কারও আবার লিখতে গিয়ে লেখা জড়িয়ে যায়, উঁচু-নিচু কিংবা লাইন এঁকে বেঁকে যায়। সুন্দর হাতের লেখার জন্য শিক্ষকদেরও প্রশংসা পাওয়া যায়।

শুধু হাতের লেখা দিয়েই সেলিব্রিটি হয়েছেন নেপালের এক স্কুলছাত্রী প্রকৃতি মাল্য। এই হাতের লেখা দেখলে মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা। তার হাতের লেখাই নেপালে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

বর্তমানে প্রকৃতির বয়স ১৬ বছর। তার বয়স যখন ১৪ বছর সে সময়ই তা অসাধারণ হাতের লেখার জন্য স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন। তার অসাধারণ হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ হয় গোটা বিশ্ব। সে তখন নেপালের সৈনিক ওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

সেসময় তার একটি হাতের লেখা স্যোশাল মিডিয়ায় দিলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। গোটা বিশ্বের নেটিজেনরা পোস্ট দেখে লাইক, কমেন্ট করতে থাকেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান প্রকৃতি ও তার হাতের লেখা। প্রকৃতির হাতের লেখা সকলের সামনে আসার পরে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরাও রীতিমতো বিস্মিত।

প্রকৃতি মাল্যের হাতের লেখা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেন, তার প্রত্যেকটি লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গা গুলো প্রত্যেকটি সমান। তার লেখা প্রায় নিখুঁত। আর তাই তার এই লেখা শুধু নেপাল নয় হয়তো সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা লেখা।

প্রকৃতির হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন নেপাল সরকার। বলা হয়েছে, নেপালের সেরা হস্তাক্ষর এটি। নেপাল সশস্ত্র বাহিনীও তাকে পুরস্কৃত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন সকলের কাছে সেলিব্রিটি।

   

'নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় বেশি সাফার করছেন অভিভাবকরা'



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ চেঞ্জেস স্কুলের শিক্ষক মাসুদ ইবনে রহমান বলেছেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি সাফার করছেন অভিভাবকরা। তারা বুঝতে পারছে এটা একটা প্রব্লেমেটিক শিক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু সমস্যাটা কোথায় তারা বুঝতে পারছে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষাক্রম-২০২১ নিয়ে ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (একাংশ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভায় ধারণা পত্র পাঠ করেন এ কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। ধারণা পত্রে বর্তমান শিক্ষাক্রমের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সে বিষয়ে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

মত বিনিময় সভায়, নারায়ণগঞ্জ চেঞ্জেস স্কুলের শিক্ষক মাসুদ ইবনে রহমান মতবিনিময় সভায় বলেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি সাফার করছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা বুঝতে পারছে এটা একটা প্রব্লেমেটিক শিক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু সমস্যাটা কোথায় তারা বুঝতে পারছে না। আমাদের সময় ছিল মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, পরবর্তীতে আসলো সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি, পরবর্তীতে যে কী শিক্ষাব্যবস্থা আসলো তার নাম আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় এটা হলো ত্রিভুজ এবং চতুর্ভুজ শিক্ষাপদ্ধতি।

তিনি আরও বলেন এই শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে কোচিং ব্যবসাকে আক্রমণ করে। কিন্তু কোনো দেশের শিক্ষাক্রম এই জন্য আকস্মিক পরিবর্তন হতে পারে না। যদি পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত বেতন দেওয়া হতো তাহলে শিক্ষকরা কোচিং ব্যবসা খুলে বসতো না। কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা কোনো যৌক্তিক কারণ নয়। এবারের শিক্ষাক্রম দিয়ে শিক্ষার্থীদের একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাদের চেহারাও ত্রিভুজ এবং চতুর্ভুজের মতো হবে।

মুক্তা বাড়ৈ তার মত প্রকাশকালে বলেন, বর্তমান শিক্ষাক্রম যে শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানার্জন করতে নিরুৎসাহিত করছে সে বিষয়ে আমরা এই ধারণা পত্র নিয়েছি। এরপর শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামত নিয়ে একটা পুস্তিকা আকারে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডক্টর মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শামীম জামান বলেন, শিক্ষানীতি বাতিল নয় পরিমার্জন, প্রসারণ ও সংকোচনের মাধ্যমে শিক্ষাক্রমের একটি আদর্শ সংস্করণ আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় সংকট যেটা এই শিক্ষাক্রমে সেটা হলো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপাতকে বিবেচনা না করা, অবকাঠামোগত চিন্তা না করা। শিক্ষকের যে চরম সংকট এই সংকটের কথা চিন্তা না করা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের চরম অভাব রয়েছে। এক বিষয়ের শিক্ষককে দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নেওয়ানো হচ্ছে।

এসময় তিনি পাঠ্যপুস্তকে ব্যবহৃত ভাষার সমালোচনা করে বলেন, বাচ্চাদের বইয়ের কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুসুলভ ভাষার অভাব রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে বলা হচ্ছে কোনো একটি বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখ। আমরা তো তাদেরকে এখনো সেটা শেখাইনি যে প্রতিবেদন কীভাবে লিখতে হয়। সুতরাং ভাষাগত কিছু পরিবর্তন দরকার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ সমাজের একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।

 

;

'দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ছাড়া আর কিছুই দেখছি না' 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেছেন, 'সামগ্রিকভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ছাড়া আর কিছুই দেখছি না।' 

'এখন পর্যন্ত দেশের কোন সরকার শিক্ষকদের মান উন্নয়নে কোন নীতিমালা তৈরি করেনি। শিক্ষা ব্যবস্থার যাই হোক না কেন, শিক্ষকদের মান নির্ধারণ করতে না পারলে কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকর হবেনা। একজন গাড়িচালকের বেতনে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের এই পেশায় আনবেন, এই শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন করা কতখানি সম্ভব ?' 

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত 'পরিকল্পিত শিক্ষা ধ্বংসের সংক্ষিপ্ত কালপুঞ্জি: (১৯৭২-২০২২)' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক  রাখাল রাহা।

ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, '১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় সকলের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না। সবাইকে একই ধরনের পোশাক দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। সবাইকেই ১০ নম্বর জুতা পড়তে দেওয়া হচ্ছে। যার ৮ নম্বর জুতা প্রয়োজন তাকেও দেওয়া হচ্ছে ১০ নম্বর জুতা অন্যদিকে যার প্রয়োজন ১২ নম্বর জুতো তাকেও দেওয়া হচ্ছে ১০ নম্বর জুতা। এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সংক্রমণ আমরা দেখছি। এই সংক্রমনের আমরা শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছি। ভবিষ্যতে আমরা যে প্রজন্ম তৈরি করতে চাচ্ছি, এমসিকিউর মাধ্যমে আমরা তোতা পাখি তৈরি করার চেষ্টা করছি।' 

তিনি বলেন, 'পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের কথা বলে আমরা মেকানিক্যাল রোবটিক মানুষ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। চার পাশের মানুষের প্রতি যার কোন অনুভূতি থাকবে না। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যেসব শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় রয়েছেন তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্যই তারা এটা করেছেন। তাদের ক্ষমতা নিয়ে আমরা যেন প্রশ্ন করতে না পারি, শুধুমাত্র আমরা মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে শ্রম দিতে পারি। তাদের জন্য রেমিটেন্স দেশে পাঠাতে পারি। তারা অনেক টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল দেখিয়ে আমাদের সমর্থন আদায় করবেন। এরকম প্রেক্ষাপটে এই শিক্ষাক্রম যথা উপযুক্ত।' 

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, 'পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এমন একটি দেশ পাবেন না, যে দেশে তার মাতৃভাষা ব্যতীত শিক্ষায় উন্নত হয়েছে। এমন একটা উদাহরণ কেউ দিতে পারবে না। চাইনিজ ও জাপানিরা তারা তাদের নিজের মাতৃভাষায় পড়ালেখা করে। কারণ প্রত্যেকটি ভাষার একটি মেন্টাল ইমেজ আছে। আপনি যখন মাতৃভাষায় পড়বেন, তখন একটি মেন্টাল ইমেজ তৈরি হয়। মানুষের যখন নাম বলা হয়, তখন তার একটা চেহারা মানুষের মনে ভেসে ওঠে। তেমনি শব্দের একটা চেহারা আছে। বিদেশি ভাষায় পড়লে সেই চেহারা তৈরি হবে না। কিন্তু বর্তমান যে শিক্ষাক্রম চালু হল, শিক্ষায় যেন বরাদ্দ কম লাগে ও মানুষ যেন ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আরও ধাবিত হয় এই হচ্ছে সেই শিক্ষা ব্যবস্থা। এর ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি শিক্ষার ব্যবসা ভালো হবার উদ্দেশ্যর দিকে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।

সেমিনারের বক্তব্য রাখেন কারিকুলাম স্পেশালিস্ট অধ্যাপক সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর রাজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আজম, শিক্ষা ও শিশু রক্ষা (শিশির) আন্দোলন এবং সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা প্রমুখ।

;

প্রাথমিকের প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষার জন্য আজ থেকে শুরু হয়েছে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের কার্যক্রম।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে করা এ প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (admit.dpe.gov.bd) ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে বা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের বছর দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। প্রার্থীদের প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি বা স্মার্টকার্ড) সঙ্গে নিতে হবে।

ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রার্থীদের আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট ও‌ রংপুর বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে যা নেওয়া যাবে না

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এসব বস্তু সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

;

‘প্রযুক্তি সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তির সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ন্যায় ও সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রযুক্তির সুবিধাও সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেন এই সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংস্থা ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে ‘এমপাওয়ার্ড ২০২৩: এআই পাওয়ার স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর এ ফিউচার রেডি ওয়ার্কফোর্স সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কর্মদক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও চাহিদা পূরণ করে স্কিল গ্যাপ কমাতে হবে। এতে করে চাকরিদাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে। চাকরিদাতারা যেমন দক্ষ মানবসম্পদ পাবে তেমনি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠতে পারবে। সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা প্রযুক্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আরেক শ্রেণির মানুষ প্রযুক্তিতে খুবই দক্ষ এবং একইসঙ্গে তারা সমাজে প্রিভেলেইজড অংশ। আমাদের সকলের দায়িত্ব সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণিকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা। তাদেরকে প্রযুক্তির সুবিধার আওতায় আনার মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

কোভিড উত্তর পৃথিবীর নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কোভিড উত্তর পৃথিবী মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশ্ব যুদ্ধ, সংঘাত দেখবে না। সকলে শান্তির জন্য কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবতায় আমরা দেখেছি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। কীভাবে শিশু, নারীসহ নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করে হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী। এই পৃথিবী আমরা চাইনি। উন্নত রাষ্ট্রগুলো এসব যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। আমরা চেয়েছিলাম মানবিক পৃথিবী, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়াবে। শান্তিময় হবে পুরো বিশ্ব।

উপাচার্য ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য-বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. ওজেয় কেলা, সংস্থাটির ইভিপি সুনিল দাহিয়া, আশরাফুজ্জামান, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রমুখ।

;