৪২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৪২৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৯তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ( পিইডিপি-৪) এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগ (পাইলট) কর্মসূচি ১ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সেবা ক্রয়ে বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা (আইএসএ) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হলে ৪৯টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে পিইসি যাচাই করে ১৭টি রেসপনসিভ সংস্থা হতে প্রাথমিকভাবে সর্বনিন্ম দরদাতা প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, আরডিআরএস, এফআইভিডিবি এর অনুকূলে চার প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা ব্যুরো।

মুস্তফা কামাল বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ 'আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন' কর্মসূচির জন্য সেবা ক্রয়ের নিমিত্ত অভিজ্ঞতাসম্মন্ন এবং উপযুক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সাব কম্পোনেন্ট ২ দশমিক ৫ আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, গাইডলাইন, কারিকুলাম, মডিউল ম্যানুয়াল তৈরির জন্য একটি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উপযুক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। পিইসি কর্তৃক যাচাই বাছাইকৃত চারটি রেসপনসিভ সংস্থার মধ্য থেকে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো—সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় কুয়েত ফান্ডের সহায়তায় পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের পায়রা সেতুর নকশা প্রণয়ণ ও নির্মাণ তদারকি কাজের পরামর্শক সেবার ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেতুর নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে ইতোমধ্যে পূর্ত কাজে নিয়জিত ঠিকাদারের সমাপ্তির সময় ১৪ মাস ১১ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের অধীন নির্মাণ কাজের তদারকির জন্য মেয়াদ ১৪ মাস ১১ দিন বৃদ্ধি করে চুক্তিমুল্য ভেরিয়েশন অতিরিক্ত ১২ হাজার ৬৩ লাখ ১৬৬২০ টাকা এবং সম্পাদিত চুক্তিমুল্য ২৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৫০ টাকাসহ মোট ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং জিডি-১ লট-১ এর আওতায় টার্নকি- ভিত্তিতে পাঁচটি নতুন সাবস্টেশন স্থাপন, চারটি সাবস্টেশনের মানোন্নয়ন ও একটি সুইজার্ড অ্যান্ড বে সস্প্রসারণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। কাজটি পেয়েছে চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ জিয়ানসু নং ৩ ইলেকট্রিক পাওয়ার কনসালটেশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৯৮ লাখ ৪ হাজার ২২৬ টাকা।

এদিকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি।

এ প্রকল্পের আওতায় পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংরক্ষিত রাসায়নিক পদার্থসমূহ জনগণের নিরাপত্তা স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর ও নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য গাজীপুর জেলার টঙ্গী শিল্প এলাকার কাঁঠালদিয়া মৌজায় ৬ একর জমিতে অস্থায়ী গুদাম নির্মাণের জন্য প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৩টি কেমিক্যাল গোডাউন, ৩টি ভবন নির্মাণ করা হবে।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;