পেট্রোবাংলায় ৫ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পেট্রোবাংলা

পেট্রোবাংলা

পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয়ে (পেট্রোসেন্টার) হামলার ঘটনায় পেট্রোবাংলার ৪ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উশৃঙ্খল কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী হামলায় সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রোসেন্টারের নিচতলার ভাঙচুর করে, বাঁধা দিতে গেলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপরও হামলা করা হয়। তিতাস গ্যাসের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ওই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

বিজ্ঞাপন

সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কর্মকর্তারা হলেন, ডিজিএম (সেবা) আব্দুল জলিল, ডিজিএম (অনুসন্ধান ও সমীক্ষা) তারিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. সাইফুদ্দিন ও ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা প্রকৌশল) ফজলুল হক এবং উচ্চমান সহকারি (প্রশাসন বিভাগ) নজরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে চিঠিতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে তিতাসের চিহ্নিত পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি ৯ সেপ্টেম্বর বাতিল করে দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। শাহনেওয়াজ পারভেজ সৎ ও দক্ষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। যা তিতাস গ্যাসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য শঙ্কার অন্যতম কারণ হয়ে মনে করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস সূত্র জানিয়েছে, শাহনেওয়াজ পারভেজকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তিতাসের জিএম (জিএম ইএসডি) হেলাল তালুকদার জিএম (অডিট), মো. রাশিদুল আলম, ডিজিএম (পিসিডি) ⁠ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পিডি কাওসার আলম সুমন অন্যদের উসকানি দিতে শুরু করেন। ফুঁসলিয়ে পেট্রোবাংলায় গিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেন তারা।

দুপুরে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নতুন এমডির বিষয়ে তাদের আপত্তি থাকতে পারে, তারা সেটা আমাদের জানাতো পারতো, আমরা বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু তারা তা না করে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেছে। পেট্রোবাংলার লোকজন তাদের আলোচনার কথা বললে, নিচতলায় ভাঙচুর করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, তিতাসের লোকজনের দাবি হচ্ছে তাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে এমডি করতে হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটির তালিকায় তিতাস গ্যাসের শীর্ষ ৫০-৬০ এর মধ্যেও কেউ নেই। আবার অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা করে একশ্রেণির লোকজন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।