তিতাস গ্যাস এমডির চুক্তি বাতিল

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লা/ছবি: সংগৃহীত

প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লা/ছবি: সংগৃহীত

চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লা এর চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ১ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ২০২১ সালে প্রথম এক বছরের জন্য চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পান। চুক্তির মেয়ার শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় মাস আগেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তাকে আবারও এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শর্তের কারণে এতোদিন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিতে বাধ্য ছিল সরকার। চলতি বছরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্ত শিথিল করে চুক্তির পাশাপাশি পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ৯ জুলাই ৮৩৬ তম বোর্ডসভায় তোলা হলে চুক্তির পাশাপাশি পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা ক্লিন ফুয়েল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৩ সালে। ওই প্রকল্পে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও নরডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এনডিএফ)। প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত ছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (টিজিটিডিসিএল), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল)। আরপিজিসিএফ অংশে ছিল ঢাকায় ২৬টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন, ৫ হাজার পেট্রোল চালিত যানবাহনের সিএনজি রূপান্তর, ৬ হাজার সিএনজি সিলিন্ডার আমদানি। যানবাহন সিএনজি রূপান্তরকরণের কারখানা ও সিএনজি চালিত বাস ও ফোরস্ট্রোক বেবীট্রেক্সী আমদানি। একইভাবে তিতাস গ্যাস ও জিটিসিএল অংশেও প্রকল্প ছিল।

সেই প্রকল্পে এডিবির শর্তছিল কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক (অর্থ) ও পরিচালক (অপরেশন) চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য ওই তিনটি কোম্পানিতে ৩টি পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের শর্ত কার‌্যকর করা হয়। সেই ক্লিন ফুয়েল প্রকল্পের সমাপ্তির পরও কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। তারপরও সেই ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কোম্পানিটির শীর্ষ ৩ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে এক ধরণের অস্বস্তি ও অসন্তোষ রয়েছে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তারা মনে করেন, বাইরে থেকে কর্মকর্তা হায়ার করায় যোগ্য ও সিনিয়র কর্মকর্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে কোম্পানির সেবার মান কমে যাচ্ছে। আবার বাইরে থেকে যাদের এনে বসানো হচ্ছে তারা অনেক সময় কোম্পানির স্বার্থ দেখছেন না। কাঙ্খিত সেবা প্রদানের জন্য এই পদ্ধতি বাতিলের দাবী জানিয়ে আসছেন তারা।