জনবল সংকটে বিদ্যুতের সংস্থা-কোম্পানি, পদ শূন্য ১০৪৩৬



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনবল সংকটে ধুঁকছে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন দফতর, সংস্থা ও কোম্পানিগুলো। ১৬ প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার ৪৩৬টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রয়েছে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতর।

প্রতিষ্ঠানটির ৭২ শতাংশ পদই শূন্য পড়ে রয়েছে। দফতরটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালণ, বিতরণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনজীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মাত্র ২৮ শতাংশ লোকবল দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দফতরটির কার্যক্রম।

মিশন হচ্ছে ‘জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিল্প কল-কারখানাসহ ৫০কিলোওয়াট বা তদুর্ধ্ব ক্ষমতাসম্পন্ন সকল উচ্চ ও মধ্যম চাপের নতুন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র ও স্থাপনা পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন প্রদানের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক কাজে পেশাজ্ঞান সম্পন্ন উপযুক্ত ঠিকাদার, প্রকৌশলী ও ইলেকট্রিশিয়ানদের চিহ্নিতপূর্বক তাদের অনুকূলে বৈদ্যুতিক ঠিকাদারি লাইসেন্স, সুপারভাইজারী সার্টিফিকেট ও কারিগরি পারমিট ইস্যুকরণ।

বলা চলে পুরো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায় দায়িত্ব যাদের উপর নির্ভর করছে। মাঠ পরিদর্শন থাকলো দূরের কথা অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনাই দূরহ হয়ে পড়েছে জনবল সংকটে।

প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতরের সিনিয়র বিদ্যুৎ পরিদর্শক ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. আতোয়ার রহমান মোল্লা বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। নিচের দিকে ৪৪টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে একজনকে প্রেষণে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট শূন্যপদ পরণ করতে হলে নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদিত হতে হবে। আমরা ১ বছর আগে নিয়োগ বিধি বিদ্যুৎ বিভাগে প্রেরণ করেছি। সেই ফাইল চলতি মাসের শুরুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আমরা যোগাযোগ করেছিলাম, তারা বলেছে প্রায় তিন-শতাধিক ফাইল পড়ে রয়েছে, ধারাবাহিকভাবে এগুলো শেষ করা হবে।

প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতরের পরেই রয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত পদের বিপরীতে মাত্র ৩৩ শতাংশ জনবল রয়েছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী ৫৭৫ পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ১৮৯ জন। আর পদ শূন্য রয়েছে ৩৮৬টি।

বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা রয়েছে ৫৫টি। এরমধ্যে মাত্র ২৫টি পদে লোকবল রয়েছে, শূন্য পড়ে রয়েছে ৩০টি পদ। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ পদ খালি রয়ে গেছে গবেষণা কাউন্সিলের। বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডে ৩০৯টি পদের বিপরীতে ২১৭ জন লোকবল রয়েছে। শূন্য পড়ে রয়েছে ৯২টি পদ। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশে (ইজিসিবি) ৫৭২ পদের বিপরীতে শূন্য পড়ে রয়েছে ৬৫টি। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হাব আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) । বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীন থেকে পৃথক কোম্পানিতে রূপান্তরিত এপিএসসিএল’র লোকবল রয়েছে মাত্র ৮২৮ জন। আর শূন্য পড়ে রয়েছে ৫৫৫টি।

বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে পুরনো এবং বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এক সময় একক আধিপত্য থাকলেও, এখন তাকে ভেঙে অনেকগুলো বিতরণ, উৎপাদন ও একটি সঞ্চালন কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনও পাইকারি বিদ্যুতের একক ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিপিডিবি। আবার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার তার হাতেই রয়েছে। বিপিডিবিতে ৫ হাজার ১০৭টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ১৭ হাজার ৫৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৮৮৩ জন। তবে এই প্রতিষ্ঠানটির যেহেতু কর্ম এলাকা কমে এসেছে তাই বিষয়টিকে জরুরি বিবেচনা করেন না অনেকেই।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতে জ্বালানি সাশ্রয়, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানির অপচয় রোধকল্পে ২০১২ সালে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) গঠন করা হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে স্রেডার কার্যক্রম শুরু হয়। অতিরিক্ত সচিব পদ মর‌্যাদায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তার পদবী হচ্ছে চেয়ারম্যান। নাম, কাজ ও উদ্দেশ্যে বিশাল হলেও বাস্তবতায় খুবই অনালোচিত সংস্থাটি। অনুমোদিত পদ রয়েছে মাত্র ৪০টি, তারমধ্যে ১০টি এখনও শূন্য পড়ে রয়েছে। পরিচালক ১টি ও উপ-পরিচালক ১টি পদের বিপরীতে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্রেডা। এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) অনুমোদিত পদ রয়েছে ৫ হাজার ৭১৮টি। শূন্য পদের সংখ্যা রয়েছে ৩৪৫ টি। কোম্পানিটিতে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ রয়েছে ৮৫টি। ঢাকার আরেক বিতরণ কোম্পানি ডেসকোর ( ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) ২২১১টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২২১টি। পদোন্নতিযোগ্য ১১৪ জনকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওছার আমীর আলী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, শূন্যপদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। পদোন্নতির জন্য যোগ্য না হওয়ায় ১১৪ জনকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যোগ্য হলেই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, লোকবল ঘাটতি থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংকট হয়, অনেকের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যায়। আমাদের সেবার পরিধি বেড়েছে, বছরে ১ লাখের উপরে গ্রাহক বাড়ছে। আগে ছিল ১৬টি ডিভিশন এখন ২৪টি ডিভিশনে উন্নীত করা হয়েছে।

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২০১১ পদের বিপরীতে শূ্ন্য রয়েছে ৪৮৬টি। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ২৬১৯ অনুমোদিত পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৫৩৫টি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) পদ শূন্য রয়েছে ২৬৬টি। দেশের একমাত্র সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর ৪৬৭৭টি পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ৩২৭৩জন।

বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শূন্য পদে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

   

ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন শনিবার (২ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে.কিউ.এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন।

ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। সম্মেলনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্দ্ধতন নির্বাহীবৃন্দসহ সকল জোন ও শাখাপ্রধান এবং উপশাখাসমূহের ইনচার্জগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

ডিজিটাল বিজনেসে ‘মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ পেল বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেকোনো প্রয়োজনে লেনদেন করতে দিন-রাত যেকোনো সময়ে কার্ড থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টে অ্যাড মানি করার সুবিধা এনে মানুষের জীবনমান এবং অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রেখে ‘এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডিজিটাল বিজনেস ২০২২-২৩’ পেল দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আর্থিক লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে ১৭টি শ্রেণিতে এবার পঞ্চমবারের মতো দেওয়া হয় ‘মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ-এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিকাশ’র চিফ কমিউনিকেশনস অফিসার মাহফুজ সাদিক ও হেড অফ ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস আদনান কবির রকি। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের দুই পরিচালক- মোঃ শারাফাত উল্লাহ খান ও মোঃ মোতাসেম বিল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেইন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগের পরিচালক মোঃ সারোয়ার হোসেন, এবং মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

গ্রাহকসেবার উন্নয়ন এবং জরুরি আর্থিক সেবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করে আসছে বিকাশ। নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী এসব ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনেছে বিকাশ। আর তাই দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল অর্থ লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে বিকাশ।

;

ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এখন ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরী‘আহ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকটির নাম ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৬৬, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ এর মাধ্যমে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের নাম ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’ ইংরেজীতে ‘Union Bank PLC’ হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে।

এখন থেকে ব্যাংকটির নাম ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’ ব্যবহার করা হবে।

;

লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে

লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শেয়ারবাজারে দিন দিন অস্থিরতা বাড়ছেই। সমাপ্ত সপ্তাহেও বেশিরভাগ কার্যদিবসে পতন দেখেছে পুঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহ শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে। ধারাবাহিকভাবে গত সপ্তাহেও লেনদেন ও বাজার মূলধন কম ছিল।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিএসইর এ সূচকটি কমছে। গত সপ্তাহের পতন শেষে সূচকটি স্থির হয়েছে ৬ হাজার ২২৩ পয়েন্টে।

প্রধান সূচক কমলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচক বেড়েছে। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএসই এস' গত সপ্তাহে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএস ৩০' বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লেনদেন কমছে। এবার ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেন নেমে এসেছে দুই হাজার কোটির নিচে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ২০৭টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৯৪ কোটি টাকা।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিএসইতে লেনদেন কমছে। খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকের আমানতের সুদহার বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কিছুটা প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে। ফলে লেনদেনে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের শেয়ারবাজারের বাজার মূলধনও কমছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৪৯১ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ২৫৫ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৮১৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৭ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬৭৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬১৮ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২২২টির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৯২টির। বিপরীতে ৬৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়াও ২৭ কোম্পানির শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

এদিকে গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

;