ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় এবার এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদরের ব্যবসায়ী মাসুদ করিম। এর আগে ক্যাম্পেইনের এই সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছিলেন যশোরের শার্শা উপজেলার আনসার বাহিনীর সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ওয়ালটন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পেইনের সিজন-১৮’তে ক্রেতাদের জন্য ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাচ্ছেন ১৫ জুলাই, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।

সোমবার (৫ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতা মাসুদ করিমের কাছে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এমদাদুল হক সরকার, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ এর স্বত্তাধিকারী শংকর চক্রবর্তী। গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে ২০ জন গ্রাহককে পুরস্কৃত করে ইলেক্ট্রো হাট শোরুম কর্তৃপক্ষ।

মাসুদ করিম দুই মেয়েসহ ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার খানপুর মেইন রোডে। খানপুরে ঈসা খাঁ রোডে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আল হেরা জেনারেল হাসপাতাল। গত ৩১ মে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ থেকে ৬৯ হাজার ৪০০ টাকায় ১.৫ টনের একটি ইনভার্টার এসি কেনেন তিনি। কেনার পর তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ক্রয়কৃত এসিটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ফ্রি গাড়ি পাওয়ার মেসেজ পান তিনি। ওয়ালটন থেকে মাত্র একটি এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মাসুদ।

গাড়ি ফ্রি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাসুদ করিম বলেন, ওয়ালটনের একটি এসি কেনার সঙ্গে যে এতোবড় সুখবর আসবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। গাড়ি পাওয়ার এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও বেড়ে গেলো। এসি বিক্রি করে গাড়ি ফ্রি দেওয়ার মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বিশাল সক্ষমতা প্রকাশ পেলো। আমার পুরো পরিবার ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জাতীয় দলের ক্রিকেট অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ওয়ালটন যে গ্রাহকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ। দেশের নাম্বার ওয়ান ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন করছে। ওয়ালটন দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখার মাধ্যমে জয় করে নিয়েছে মানুষের আস্থা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার বলেন, ক্রেতাদের হাতে ভালোমানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার প্রতি ওয়ালটন বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকদের গাড়িসহ নানান উপহার দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ওয়ালটন পণ্য কিনে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ফ্রি পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। ওয়ালটন ফ্রিজ ও এসি কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়েছেন দুই ক্রেতা। ঈদুল আজহার আগে আরো গাড়ি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে গাড়ি ফ্রিসহ লাখ লাখ উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

   

আমেরিকা থেকেও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ই-অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সম্প্রতি ই-অ্যাকাউন্ট সেবা চালু করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ই-অ্যাকাউন্ট সেবার উদ্বোধন করেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মাহমুদুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান জনাব মোঃ আকমল হোসেনসহ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এখন থেকে ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ “এসআইবিএল নাউ” ব্যবহার করে আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজেই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

;

ইসলামী ব্যাংকের শরী'আহ পরিপালন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের শরী'আহ পরিপালন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের শরী'আহ পরিপালন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের উদ্যোগে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন’ শীর্ষক আলোচনা সভা সম্প্রতি বরিশাল শাখা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মো. রুহুল আমিন রব্বানী প্রধান অতিথি এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা উপস্থাপন করেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েট-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। ব্যাংকের বরিশাল জোনপ্রধান মো. আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল শাখাপ্রধান মো. নূরুজ্জামান। কর্মশালায় জোনের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও গ্রাহকগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

গ্যাস অনুসন্ধানে মাটির ৬ কিলোমিটার নিচে যাবে বাংলাদেশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাটির তলদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রচলিত ৪ কিলোমিটার গভীরতার ধারা ভেঙে ৬ কিলোমিটারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে তিতাস, বাখরাবাদ, শ্রীকাইল ও মোবারকপুরে একটি করে অনুসন্ধান কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, আমরা ডিপ ড্রিলিংয়ে যাচ্ছি। এজন্য কনসালটেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি ভালো মজুদ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশে সাধারণত ২৬০০ মিটার থেকে ৪০০০ মিটার পর্যন্ত কূপ খনন করে গ্যাস তোলা হয়। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ-২ সহ কিছু কূপে ৪৯০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। গ্যাস স্তরের নিচে রয়েছে কঠিন শিলা। বাপেক্সের একটি ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) জরিপে বলা হচ্ছে এর নিচে গ্যাস স্তর থাকতে পারে। ওই থ্রিডিতে বলা হয়েছে শ্রীকাইলে ৯২৬ বিসিএফ (বিলিয়ন ঘনফুট) আর তিতাসে ১ হাজার ৫৮৩ বিসিএফ গ্যাস থাকতে পারে। সব মিলিয়ে মজুদের পরিমাণ আড়াই টিসিএফের (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) মতো হতে পারে। তবে কঠিন শিলার নিচের স্তরে কী আছে, তা কূপ খনন করে দেখা হয়নি। আর কূপ খনন না করা পর্যন্ত কোন কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। সে কারণে কূপ খনন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির (বিজিএফসিএল) ২টি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ২টি কূপে গভীর খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে বিজিএফসিএল’র তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ৩১ নম্বর কূপ এবং বাখরাবাদ-১১ নম্বর কূপ। বাপেক্সের দু’টি হচ্ছে শ্রীকাইল ও মোবারকপুর। কনসালটেন্ট নিয়োগ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করবে বাপেক্স। তাদের অধীনে কাজ করবে কনসালটেন্ট। ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেহেতু দেশীয় কোম্পানির ডিপ ড্রিলিংয়ের কোন অভিজ্ঞতা নেই তাই কূপ খননের জন্য বিদেশি ঠিকাদার নিযুক্ত করার সম্ভাবনা বেশি।

বিজিএফসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, সাইচমিক সার্ভেতে অনেক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে তিতাস-৩১ ও বাখরাবাদ-১১-তে ৫৬০০ মিটার খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি অনেক বড় মজুদ আবিষ্কার হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, ডিপ ড্রিলিংয়ের সিদ্ধান্তটি ভালো, অবশ্যই এটা করা উচিত। ওভার প্রেসার-আন্ডার প্রেসারের সমস্যা রয়েছে। খুব খুব চ্যালেঞ্জিং। হাইপ্রেসার জোনের পরেই এই স্তরের অবস্থান। ৪ হাজার মিটার খনন করতে ২ বছর ৪ মাস লেগেছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দক্ষ ও যোগ্য লোক দরকার। যারা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে প্রয়োজন অুনযায়ী সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। জরুরি প্রয়োজন হলে তাদেরকে যেনো পেট্রোবাংলা কিংবা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়। জরুরি প্রয়োজনে যদি চিঠি দিয়ে অনুমতির অপেক্ষায় থাকতে হয়, তাহলে বিষয়টি বিপজ্জনক হবে। অনুসন্ধান কার্যক্রম ডিপিপি করে করা সম্ভব না। এখানে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে।

সম্ভাবনা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওখানে যদি গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায় তাহলে অনেক বড় রিজার্ভ পাওয়া যাবে।

তবে কেউ কেউ একে বিলাসিতা বলে মনে করছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে আমাদের অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে সহজে নিশ্চিত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে সব জায়গায় না গিয়ে সময় ও অর্থ অপচয় করা হচ্ছে।

বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আর ডিপ ড্রিলিং করে খুব ভালো ফল পাওয়ার রেকর্ড কমই দেখা যাচ্ছে। ভারতের কৃষ্ণা গোদাবেড়ি বেসিনে পানির গভীরতা আড়াই হাজার মিটার এরপর সাড়ে ৪ হাজার মিটার মাটি খনন করা হয়। সব মিলিয়ে ৭ হাজার মিটারের মতো খনন করেছে। গ্যাস পেয়েছে টাইড সেন্ড ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭ মিলিয়ন করে উত্তোলন করতে পারবে। রাশান কোম্পানি গ্যাজপ্রম আজারবাইজানে ৬ হাজার মিটারে গেলে, হাইপ্রেসার ড্রিলিং করে আশানুরূপ ফল পায়নি।

বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে স্বাধীনতার পর মাত্র ৪৩টির মতো অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। প্রতিবেশী ত্রিপুরা রাজ্যে ছোট্ট আয়তনে কূপ খনন করেছে ১৬০টি। তারা ১৬০টি কূপ খনন করে মাত্র ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করেছে, এরমধ্যে ৭টি থেকে উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ সীমানায় ১১৩ বছরে (প্রথম কূপ খনন ১৯১০ সালে) ৯৮টি কূপ খননের মাধ্যমে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে মোবারকপুর ও কশবার মতো কয়েকটি ফিল্ড। যেগুলোতে গ্যাসের আঁধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করা হয়নি। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গভীর সমুদ্র এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে গেছে এখনও হিসেবের বাইরে। সাগরে আমাদের পাশের সীমানা থেকে মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন করছে, অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের পাশে অশোকনগরে তেল আবিষ্কার করেছে ভারত। এতে করে এতোদিন যারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (রংপুর,রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চল) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করতেন তারাও এখন নড়েচড়ে বসেছেন।

;

কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর মধ্যে “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। এই প্রকল্পে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে সেলট্রন ইএমএস এবং এহসান খান আর্কিটেক্টস।

মঙ্গলবার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কউক-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মাদ নুরুল আবছার, লে. কর্নেল মো. খিজির খান পি ইঞ্জ, সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং উপ নগর পরিকল্পনাবিদ ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর হাসান রেজাউল। এছাড়া সিএসসি-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিএসসি-এর ডিরেক্টর (প্ল্যানিং এন্ড কনস্ট্রাকশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সাদেক মাহমুদ।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলা (চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ) এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০.৬৭ বর্গ কি.মি. এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান এবং কক্সবাজার জেলার ২৪৯১.৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া টেকসই যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পাহাড়, বন, জলাশয় ও সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণ, সমুদ্র সৈকতের নির্দিষ্ট সীমানা সংরক্ষণ, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, আবাসন ব্যবস্থা বিষয়ক পরিকল্পনা, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভূমিক্ষয় রোধকরণ করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মোট ১৭৪.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দেয়। গত ১২ জানুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল এপ্রিল ২০২১ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।

;