ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন যশোরের রতন লাল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রিজ কিনে গাড়ি! যেন এক রূপকথার গল্প। কিন্তু এটাই বাস্তবে ঘটেছে যশোরের আনসার সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়ের জীবনে। ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছেন শার্শা উপজেলার রতন লাল। মাত্র ৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্টে ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ফ্রিজ কিনে জাপানি গাড়ি পাওয়ায় রতন লালের ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। এই আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রতনের পরিবারসহ পুরো এলাকায়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিজন-১৮য় ক্রেতাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার অথবা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। এ সুবিধা থাকছে ১৫ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত।

সোমবার বিকেলে (২৯ মে, ২০২৩) রতন লাল বাসফোড়ের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, ওয়ালটন প্লাজার ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর প্রমুখ।

জানা গেছে, যশোরের যাদবপুর নাভারণ রেলবাজার এলাকার মুকুল লাল বাসফোড়ের ছেলে রতন লাল। বান্দরবানের ৪ নং আনসার ব্যাটালিয়নের অধীনে চট্টগ্রামের ফয়েস লেক রেঞ্জে কর্মরত আছেন তিনি। ছুটিতে বাড়ি এসে চলতি মাসের ২৪ তারিখে কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ১৭৭ লিটারের ফ্রিজ কেনেন। এরপর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হলে গাড়ি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রতন।
তিনি বলেন, দেশীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। স্বপ্নেও ভাবিনি যে এতো দামি গাড়ি উপহার পাবো। গাড়িটি আমরা নিজেরা ব্যবহার করবো। ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে ক্যাশভাউচার কিংবা উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, আমরা বছরজুড়ে গ্রাহকদের নানাবিধ সুবিধা দিয়ে থাকি। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের চলমান সিজনে মেগা উপহার হিসেবে রয়েছে গাড়ি। এর পাশাপাশি বিশে^ একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, ওয়ালটন ক্রেতাদের চাহিদা এবং রুচি ও পছন্দ প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশেই উৎপাদন করছে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে যা রপ্তানি হচ্ছে বিশে^র বিভিন্ন দেশে। আমাদের লক্ষ্য শিল্প ও প্রযুক্তিখাতে সারা বিশে^ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা।

অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কিনে দেশের টাকা দেশেই রাখার আহ্বান জানান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকমানের দেশীয় পণ্য রেখে বিদেশী পণ্য কেনার কোনো মানে হয় না। আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে দেশে তৈরি পণ্য কিনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশীয় শিল্পখাত আরো শক্তিশালী হবে। দেশ উন্নত হবে এবং বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

 

   

কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর মধ্যে “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। এই প্রকল্পে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে সেলট্রন ইএমএস এবং এহসান খান আর্কিটেক্টস।

মঙ্গলবার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কউক-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মাদ নুরুল আবছার, লে. কর্নেল মো. খিজির খান পি ইঞ্জ, সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং উপ নগর পরিকল্পনাবিদ ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর হাসান রেজাউল। এছাড়া সিএসসি-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিএসসি-এর ডিরেক্টর (প্ল্যানিং এন্ড কনস্ট্রাকশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সাদেক মাহমুদ।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলা (চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ) এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০.৬৭ বর্গ কি.মি. এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান এবং কক্সবাজার জেলার ২৪৯১.৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া টেকসই যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পাহাড়, বন, জলাশয় ও সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণ, সমুদ্র সৈকতের নির্দিষ্ট সীমানা সংরক্ষণ, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, আবাসন ব্যবস্থা বিষয়ক পরিকল্পনা, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভূমিক্ষয় রোধকরণ করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মোট ১৭৪.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দেয়। গত ১২ জানুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল এপ্রিল ২০২১ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।

;

বিকাশ’র কালেকশন সল্যুশন সেবা ব্যবহার করবে ই-কুরিয়ার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ-এর বি২বি (বিজনেস টু বিজনেস) কালেকশন সল্যুশন সেবা ব্যবহার করবে দেশের অন্যতম অনলাইন কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ই-কুরিয়ার। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাদের ১০০টি হাবে এই সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেমন সহজ হবে, তেমনি পণ্য সরবরাহের কাজেও গতিশীলতা আসবে।

এই লক্ষ্যে সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে বিকাশ এবং ই-কুরিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং ই-কুরিয়ার এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ রাহুল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির ফলে, ই-কুরিয়ারের দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১০০টি হাব থেকে প্রতিদিন ই-মানি প্রদান করে ক্যাশ কালেকশন করবে বিকাশ। বি২বি এই সেবায় প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের সরবরাহ চেইনে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ক্যাশবিহীন, সহজ, স্বচ্ছ ও নিরাপদ হবে।

উল্লেখ্য, সিমেন্ট, বেভারেজ, লাইফস্টাইল, খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই বিকাশ-এর এই বি২বি কালেকশন সল্যুশন ব্যবহার করছে। এসব খাতে সরবরাহ চেইনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরো সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখছে বিকাশের এই বিজনেস টু বিজনেস কালেকশন সেবা।

 

 

;

নিউইয়র্কের রেমিট্যান্স মেলায় এসআইবিএল’র স্টল উদ্বোধন 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হিল্টন মিড টাউনে দুই দিনব্যাপী বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স মেলায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন ব্যাংকের পরিচালক মাহমুদুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান আকমল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের স্টল পরিদর্শন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।

মেলায় বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নানামুখী সেবা পণ্য ও সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়।

;

শেভরনকে ৮ ও ১১ গ্যাস ব্লক দিচ্ছে বাংলাদেশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেভরনকে ৮ ও ১১ গ্যাস ব্লক দিচ্ছে বাংলাদেশ

শেভরনকে ৮ ও ১১ গ্যাস ব্লক দিচ্ছে বাংলাদেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা নিয়ে গঠিত গ্যাস ব্লক-৮ এবং সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও ময়মনসিংহ এলাকা নিয়ে গঠিত ১১ নম্বর ব্লক শেভরনকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন ফর্মুলায় চুক্তি হবে সে বিষয়টি এখনও চুড়ান্ত হয় নি। তাদের সঙ্গে আগের সম্পাদিত চুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে নাকি নতুন পিএসসি (উৎপাদন বন্টন চুক্তি) হবে। শেভরনকে পুর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা জমা দিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবনা পেলে ফর্মুলার বিষয়ে চূড়ান্ত হবে।

গত বছরের মাঝামাঝি বিষয়টি আলোচনা এলেও ডিসেম্বরে লিখিত আবেদন দেয় শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার। কোম্পানিটি বিশেষ বিধান আইনের আওতায় ব্লক-৮, ব্লক-১১ এবং রশীদপুর গ্যাস ফিল্ড উন্নয়ন প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। তবে রশীদপুর গ্যাস ফিল্ড দেওয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন নসরুল হামিদ।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ব্লক-৮ এ দ্বিমাত্রিক জরিপ এবং ১১ নম্বর ব্লকের একটি অংশে ত্রিমাত্রিক জরিপ করেছে বাপেক্স। সম্ভাবনাময় ১১ নম্বর ব্লকে ২ দশমিক ৪৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।শেভরন বাংলাদেশ এসব ব্লকে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ করবে। জরিপের ফলাফল ইতিবাচক হলে পরবর্তী ধাপে (কূপ খনন) যাবে কোম্পানিটি।

বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ মোট ৩টি ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তাদের হাতে রয়েছে ব্লক-১২ নম্বরে থাকা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র, ব্লক-১৩ নম্বরে থাকা জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র এবং ব্লক-১৪ নম্বরে থাকা মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র। এর মধ্যে বিবিয়ানা দেশের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র। গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্যাস উত্তোলনের হিসাব অনুযায়ী ১০৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করেছে গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে। ওই দিন শেভরন বাংলাদেশের মালিকানাধীন ৩টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ১২৮০ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে শেভরনের বিবিয়ানা ফিল্ডের নতুন এলাকায় কূপ খনন করতে ত্রিপক্ষীয় সম্পূরক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা ও শেভরন বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শেভরনের বিবিয়ানা ফিল্ডের নতুন এলাকায় ২৭নং কূপ খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই কূপে সফলতা পেলে নতুন আরও একটি কূপ খনন করতে চায় কোম্পানিটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বিবিয়ানার সম্প্রসারিত এলাকায় ভালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেভরন সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ আইনে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে রিপোর্ট পাওয়ার আগে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের রিপোর্ট পেতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। মডেল পিএসসি আকর্ষণীয় করার কারণে অনেক বড় বড় বিদেশি কোম্পানি সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সন মবিল খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে দুই দফায় প্রস্তাবনা দিয়েছে।

২০০৮ সালের গভীর সমুদ্রের ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ নম্বর ব্লক ইজারা পেয়েছিল আমেরিকান কোম্পানি কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি দুই বছর অনুসন্ধান করার পর চুক্তি সংশোধন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির দাবি জানায়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় ব্লক দুটি ছেড়ে দিয়ে চলে যায় ২০১৪ সালে। অন্যদিকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক দরপত্রে গভীর সমুদ্রের ডিএস-১২, ডিএস-১৬ ও ডিএস-২১ এই তিন ব্লকের জন্য যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল কনোকো ফিলিপস ও স্টেট অয়েল। পরবর্তী সময়ে কনোকো নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ব্লকগুলো ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। একই সময়ে অগভীর সমুদ্র্রের ব্লকগুলোর জন্য ভিন্ন একটি দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। এই দর প্রক্রিয়া এসএস ১১ নম্বর ব্লক সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি এবং এসএস ৪ ও এসএস ৯ নম্বর ব্লক ভারতীয় দুটি কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া (ওআইএল) ইজারা নিয়েছিল। সান্তোস এসএস-১১ ব্লকে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ করার পর কূপ খনন না করেই বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। ওএনজিসি দুই ব্লকে থ্রি-ডি ও টু-ডি সাইসমিক জরিপ চালানোর পর ৪ নম্বর ব্লকে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করে, কিন্তু গ্যাস মেলেনি। তারা আরও দুটি কূপ খনন করবে বলে জানা গেছে।

;