বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে গত ২৮ মে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দারাজের সৌজন্যে বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনের। আয়োজনটির সঞ্চালনায় ছিলো ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সহযোগিতায় এটুআই - এসপায়ার টু ইনোভেট এবং সম্পৃক্ততায় মাস্টারকার্ড, দ্য ডেইলি স্টার ও উইমেন এন্ড ই-কমার্স। দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশ এবং বিদেশের ই-কমার্স সেক্টরে কর্মরত বিশেষজ্ঞ, সিদ্ধান্ত প্রণেতা এবং চিন্তাবিদেরা অংশগ্রহণ করে আলোচনা এবং মত বিনিময় করেন। আধুনিক যুগের জন্য ই-কমার্সকে নতুনভাবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র নিয়েই আলোচনা গুলো আবর্তিত হয়।

৪টি কিনোট সেশন, ৩টি প্যানেল ডিসকাশন, ২টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি এবং ১টি পলিসি ডায়লগের সমন্বয়ে এই বছরের ই-কমার্স সামিটটি আয়োজিত হয়। বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা উন্নয়নশীল প্রযুক্তি, জালিয়াতি নিরাপত্তা, ভোক্তা পুনরাবৃত্তি, লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্টসহ ই-কমার্স সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। ই-কমার্সের মতো নিত্য পরিবর্তনশীল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে কার্য পরিচালনার জন্য এইসকল আলোচনা সামিটে আগত পেশাজীবীদের দিক নির্দেশনার মতো কাজ করবে। সামিটে কিনোট বক্তা হিসেবে নিজদের মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন বিশ্বপ্রিয় ভট্টাচার্য, ডিরেক্টর, বিটুবি এন্ড টেকনোলজি, ইনসাইটস ডিভিশন, কানটার; দাতো এরিক কু ইয়ি ফিই,, ডেপুটি চেয়ারম্যান, ডিজিটাল ইকোনমি কমিটি, এসিসিআইএম; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, আইট্রেন (এম) এসডিএন. বিএইচডি; জাকারিয়া বেগ, সাবেক গ্লোবাল মার্কেটিং ডিরেক্টর, রেকিট; জ্যাক ইয়াও, সেক্রেটারি জেনারেল, চায়না কাউন্সিল ফর প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, প্রেসিডেন্ট, এশিয়া কাউন্সিল ফর স্মল বিজনেস, ১ম ভাইস প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন; চেয়ারপারসন, আইসো/টিসি ৩৪২ (ম্যানেজমেন্ট কনসালটান্সি)।

২য় বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটটির দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শমী কায়সার। তার বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিট আয়োজনটির প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষক বক্তব্যে কথা তালাত রহিম, চিফ মার্কেটিং অফিসার, দারাজ বাংলাদেশ এবং সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, কান্ট্রি ম্যানেজার, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ এবং চোংয়া ওয়াং, এসিস্টেন্ট রিসার্চার, চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি)।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক; শরিফুল ইসলাম, সম্মেলনটির স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, ""ই-কমার্স একটি দ্রুত অগ্রগতিশীল খাত। প্রতি বছরই আমরা এই খাতে অনেক আধুনিক উদ্ভাবন ও অনুশীলন লক্ষ্য করেছি। তাই, এসকল পরিবর্তনগুলির যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করা আমাদের দায়িত্ব। এই সম্মেলনটি ই-কমার্স খাতকে অভিনব যাবতীয় পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও সামিটের অন্যান্য আলোচনায় বক্তা হিসেবে ছিলেনঃ ডঃ সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন (এএমএফ); প্রফেসর এবং ইমিডিয়েট পাস্ট ডিরেক্টর, আইবিএ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (এডিশনাল সেক্রেটারি), এটুআই -এসপায়ার টু ইনোভেট; রাসেলটি. আহমেদ, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস); রাফেজা আক্তার কান্ত, এডিশনাল ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক; এবং এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, দারাজ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধনশীল ই-কমার্সের গতিবিধি ও দিকনির্দেশনা প্রণয়নে আলোচিত হয়েছে উপমহদেশীয় ই- কমার্সের সংস্কৃতি সহ ওপেন ডিজিটাল কমার্স, ই-কমার্সের স্থানীয় ও ক্রস বর্ডার লজিস্টিক সমাধান, ই- কমার্সের চ্যাট জিপির প্রয়োগ এবং বাংলাদেশে এফ-কমার্সের প্রসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি। দারাজের সৌজন্যে বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনটি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ। আয়োজনটির সঞ্চালনায় ছিলো ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সহযোগিতায় এটুআই -এসপায়ার টু ইনোভেট এবং সম্পৃক্ততায় মাস্টারকার্ড, দ্য ডেইলি স্টার ও উইমেন এন্ড ই-কমার্স। এছাড়াও আয়োজনটির অংশীদারিত্বে ছিলো চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রোমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড। সাপোর্টেড বাই- বাই হেয়ার নাও; স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার-এশিয়া কাউন্সিল ফর স্মল বিজনেস, মার্কেটার্স ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, স্টাইজেন, সাসটেইনাবিলিটি পার্টনার- বাজার ৩৬৫; নলেজ পার্টনার-এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন, মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; হসপিটালিটি পার্টনার-রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন; টেকনোলজি পার্টনার - আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; পিআর পার্টনার - ব্যাকপেজ পিআর।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;