কাজ হয়েছে বলেই গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে: পেট্রোবাংলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেশীয় ফিল্ডগুলোর গ্যাসের উৎপাদন ১৯০০ এমএমসিএফডিতে (মিলিয়ন ঘনফুট দৈনিক) নেমে আসার কথা ছিল। পেট্রোবাংলা তথা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কাজ করেছে বলেই প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে জ্বালানি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন দাবি করেন। গত ২ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার। সাংবাদিকদের সঙ্গে এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়।

এলএনজি আমদানির বিষয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, দেশীয় উৎস থেকে আগামী কয়েক বছরে গ্যাস সরবরাহ খুব বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাগরে বড় কোন রিজার্ভ পেলেও তা সিস্টেমে আনতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে নতুন নতুন শিল্পকারখানা হচ্ছে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। তাই চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও এলএনজি আমদানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, এলএনজি আমদানির জন্য দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে মহেশখালীতে। দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির সক্ষমতা রয়েছে। আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে নিদিষ্ট কোন দিনে হয়তো ৯৯৯ পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া সম্ভব। তবে গড়ে ৮৫ শতাংশের অর্থাৎ ৮৫০ মিলিয়নের বেশি সম্ভব না। এলএনজি আমদানির সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। পায়রায় একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এক মাসের মধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। টার্মিনালটির সক্ষমতা হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ও পরে বাড়ানো হবে।

মহেশখালীতে একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দূর হলেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ টার্মিনাল থেকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এলএনজি সরবরাহ করা যাবে। তবে পায়রায় পাইপলাইন না থাকায় গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন বছর লাগতে পারে। এর বাইরে মহেশখালীতে স্থলভাগের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। জমির বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অনাপত্তি পেলেই প্রস্তুতি শুরু হবে। এটি প্রথমে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার করা হবে, পরে দ্বিগুণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বছরে ৫৬টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে দেশ দু’টি। চুক্তি অনুসারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আনুপাতিক হারে এ দাম নির্ধারিত হয়। এতে করে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম চড়া হলেও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় এ চুক্তি অনুসারে। দেশ দু’টির সঙ্গে সরবরাহ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তারা সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হয়েছে, এখন দাম পরিমাণ চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের কাছে আরও বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করছে আরপিজিসিএল।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, একটি স্বস্তির খবর হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে (খোলা মার্কেটে) এলএনজির দাম কমে এসেছে। সর্বশেষ যে দরটি চূড়ান্ত হচ্ছে তাতে ১৩ ডলারের কাছাকাছি পড়বে। জুন পর্যন্ত ১২টি কার্গো আমদানি করা হবে।

তিনি বলেন, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়নের মতো। সরবরাহ করা হচ্ছে ৩ হাজারের মতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চাহিদা সংযোগ পাওয়া গ্রাহক বিবেচনায়। সংযোগের জন্য অপেক্ষমান গ্রাহকদের চাহিদা হিসাব করা হয়নি। অপেক্ষমাণ গ্রাহকের চাহিদা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাক্কলন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের স্থলভাগে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয় পেট্রোবাংলা। এটি এখন ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬টি কূপের উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৮টি করতে পারবে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স। বাকি কূপগুলোর কাজ বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে করানো হবে। তবে দরের ভিত্তি হবে পেট্রোবাংলা স্থলভাগে যে দরে কাজ করছে সেই দর। ৪৬টি কূপের মাধ্যমে ৬০০ মিলিয়নের মতো উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস সিএনজি আকারে আনার বিষয়টি চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে জুন মাস নাগাদ এই কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমধাপে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পরে আরও ২০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে দামের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাপেক্সসহ পেট্রোবাংলার অধীনস্থ কোম্পানিগুলোকে গতিশীল করার বিষয়ে তিনি বলেন, বাপেক্সে দু’টি মামলার কারণে পদোন্নতি ঝুলে ছিল। আমি যোগদানের পর তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সুরাহা করার উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের এসিআর নিয়ে একটি জটিলতা ছিল, সেটিও সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব না। কোম্পানিগুলো কাজের গতি ফিরে আসবে আশা করি। এইতো কয়েকমাস হলো যোগদান করেছি, আমাকে একটু সময় দেন দেখতে পাবেন কাজের গতি। না হলে তখন প্রশ্ন করবেন।

সিস্টেম লস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, এখন প্রত্যেকটি কোম্পানির প্রান্তে মিটার বসানো হয়েছে। যে কোম্পানি যতটুকু নেবে তাকে সেই পরিমাণ বিল দিতে হবে। এই কাজটি শুরু হয়েছে, ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় এবার এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদরের ব্যবসায়ী মাসুদ করিম। এর আগে ক্যাম্পেইনের এই সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছিলেন যশোরের শার্শা উপজেলার আনসার বাহিনীর সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ওয়ালটন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পেইনের সিজন-১৮’তে ক্রেতাদের জন্য ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাচ্ছেন ১৫ জুলাই, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।

সোমবার (৫ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতা মাসুদ করিমের কাছে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এমদাদুল হক সরকার, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ এর স্বত্তাধিকারী শংকর চক্রবর্তী। গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে ২০ জন গ্রাহককে পুরস্কৃত করে ইলেক্ট্রো হাট শোরুম কর্তৃপক্ষ।

মাসুদ করিম দুই মেয়েসহ ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার খানপুর মেইন রোডে। খানপুরে ঈসা খাঁ রোডে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আল হেরা জেনারেল হাসপাতাল। গত ৩১ মে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ থেকে ৬৯ হাজার ৪০০ টাকায় ১.৫ টনের একটি ইনভার্টার এসি কেনেন তিনি। কেনার পর তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ক্রয়কৃত এসিটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ফ্রি গাড়ি পাওয়ার মেসেজ পান তিনি। ওয়ালটন থেকে মাত্র একটি এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মাসুদ।

গাড়ি ফ্রি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাসুদ করিম বলেন, ওয়ালটনের একটি এসি কেনার সঙ্গে যে এতোবড় সুখবর আসবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। গাড়ি পাওয়ার এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও বেড়ে গেলো। এসি বিক্রি করে গাড়ি ফ্রি দেওয়ার মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বিশাল সক্ষমতা প্রকাশ পেলো। আমার পুরো পরিবার ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জাতীয় দলের ক্রিকেট অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ওয়ালটন যে গ্রাহকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ। দেশের নাম্বার ওয়ান ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন করছে। ওয়ালটন দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখার মাধ্যমে জয় করে নিয়েছে মানুষের আস্থা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার বলেন, ক্রেতাদের হাতে ভালোমানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার প্রতি ওয়ালটন বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকদের গাড়িসহ নানান উপহার দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ওয়ালটন পণ্য কিনে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ফ্রি পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। ওয়ালটন ফ্রিজ ও এসি কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়েছেন দুই ক্রেতা। ঈদুল আজহার আগে আরো গাড়ি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে গাড়ি ফ্রিসহ লাখ লাখ উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

;

‘সব লেনদেন ক্যাশলেস হলে প্রতি তিন বছরে একটি পদ্মা সেতু’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধুমাত্র ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতি বছর অন্তত দশ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শিরোনামের এক আলোচনা অন্ষ্ঠুানে এমন মন্তব্য করেন তানভীর এ মিশুক।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে এই আনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য তানভীর এ মিশুককে দেশের আর্থিক খাতে দেশের বিবর্তনের নানান ধাপ এবং ভবিষ্যত অগ্রযাত্রার দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন।

আলোচনায় তানভীর এ মিশুক বলেন, প্রতি বছর কেবল টাকা ছাপতেই সরকারের ৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। তাছাড়া এই টাকার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, লেনদেনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা এবং তার ফলে যে সম্ভাবনার অপচয় হয় সেটির মূল্য অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ২০১৯ সালেই উল্লেখ করা হয়েছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বা স্মার্ট লেনদেনের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমাদের এ দিকে যেতেই হবে,’ বলেন তানভীর এ মিশুক।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে দেশের বিশেষ কোনো এলাকা বা অঞ্চলকে দেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন, তাহলে আমরা নগদ থেকে ওই অঞ্চলকে ক্যাশলেস লেনদেনের মডেল হিসেবে তৈরি করে দেব।’ এটি করা গেলে অভাবনীয় একটি কাজ হবে বলেও তিনি মনে করেন।

শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন গ্রহণ করার কারণে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি তিন গুণ হয়েছে উল্লেখ করে নগদের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত দেশ হওয়ার যে ভিশন এখন আমাদের সামনে আছে, সে অনুসারে এগোতে পারলে অল্প দিনেই আমাদের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।’

মোবাইল লেনদেনের একচেটিয়াত্ত্ব ভাঙার উদ্দেশে ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নগদের যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে এই চার বছরে একের পর এক সরকারি ভাতা বিতরণ পদ্ধতিকে ডিজিটালাইজড করেছে নগদ। ফলে সরকারের খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যার ভাতা তার হাতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রদান করে সাড়া ফেলেছে নগদ। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপকরণ ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ আরো অন্তত দশটি মন্ত্রণালয়ের ভাতা ও সরকারি সহায়তা নগদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

সরকারের ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে খুবই সময়োপযোগী বলেও মন্তব্য করেন তানভীর এ মিশুক। তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা গেলে ব্যাংকের সকল সুবিধা চলে আসবে হাতের মুঠোয়। কৃষকদের সার কেনার জন্য দশ হাজার টাকার জন্য তখন আর দাদন নিতে হবে না। হাতের মুঠে থাকা মোবাইল থেকেই ঋণ নিতে পারবে আবার ফসল বিক্রি করে ওই মোবাইলের মাধ্যমেই ঋণ পরিশোধ করবে। একইভাবে আমদানি-রপ্তানির লেনদেনের মতো বড় বড় কাজও তখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হবে টোয়েন্টিফোর সেভেন।

একই অুনষ্ঠানের অন্য একটি সেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে কথা বলেন। অন্ষ্ঠুানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কি-এক্সপার্ট ড. মোয়াজ্জেম গোলাম হোসেন।

এবার জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের জন্য আটটি বিষয়ের ওপর আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে ওই নির্দিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

;

১১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

;

গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ার ১৫০০ এর অধিক প্রান্তিক কৃষকের হাতে ‘এবি স্মার্ট কৃষি ঋণ’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবি ব্যাংক লিমিটেড গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৫০০-এর অধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঋণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এবি ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তারিক আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নিটুল রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ এবং জনাব আয়নাল হোসেন শেখ, সাধারণ সম্পাদক, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

;