সারাদেশে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষ্যে বিশালাকার কেক কাটছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষ্যে বিশালাকার কেক কাটছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহাসমারোহে ২০ মার্চ সারাদেশে উদযাপিত হলো ‘ওয়ালটন ডে’। দিনটি উপলক্ষ্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স, কর্পোরেট অফিস, ওয়ালটন কমপ্লেক্স মিরপুর, টাঙ্গাইলের গোসাই জোয়াইরসহ সারাদেশের সকল সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে ছিলো নানান বর্ণিল আয়োজন। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো, কেক কাটা, শে^ত কপোত অবমুক্তকরণ, আনন্দ র‌্যালি ও শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ শুরু হয় বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, আইসিটি, হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস পণ্য উৎপাদনের পথিকৃৎ ওয়ালটনের পথচলা। তবে দুই যুগ আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটনের যাত্রা শুরু হলেও এর বীজ রোপিত হয়েছিলো আরো অনেক আগেই। টাঙ্গাইলের প্রথিতযশা শিল্পোদ্যোক্তা আলহাজ¦ এস এম নজরুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৭ সালে ওয়ালটনের সূচনা ঘটে। সর্বাধুনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের গ-ি পেরিয়ে ওয়ালটন আজ পৌঁছে গেছে বিশ্বজুড়ে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিকেই ওয়ালটন পরিবার ‘ওয়ালটন ডে’ হিসেবে প্রতিবছর উদযাপন করে আসছে। প্রতি বছর ২০ মার্চ বিশ^জুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস এবং এমন একটি দিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে ওয়ালটন পরিবার আনন্দে উদ্বেলিত।

সোমবার (২০ মার্চ) সকালে করপোরেট অফিসে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। এরপর তিনি ওয়ালটন ডে’র লোগোসহ বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ২০ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া বিশালাকার কেক কাটেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়ালটনের উদ্যেক্তা পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। সে সময় অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

এরপর ‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে র‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। দেশব্যাপী ওয়ালটনের ২০ সহ¯্রাধিক সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করে ওয়ালটন পরিবার। ওয়ালটন ডে উপলক্ষ্যে ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য নির্দিষ্ট মডেলের কিছু পণ্যে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে।

ওয়ালটন ডে’র উদ্বোধন ঘোষণা করে ওয়ালটন পরিবারের সকল সদস্য, ক্রেতা, দেশি-বিদেশি পরিবেশক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আজ যে ওয়ালটনকে আমরা দেখতে পাচ্ছি তা একদিনে হয়নি। আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে ওয়ালটন এই অবস্থানে এসেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন। এই সফলতা ধরে রাখাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রচ- সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ওয়ালটনের চৌকস টিম এসব বাধা পেরিয়ে দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলছে। ওয়ালটনের প্রতি দেশবাসীর প্রচ- আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের সেই বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।

‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষ্যে করপোরেট অফিসে র‌্যালি ও শোভাযাত্রা।

এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘ওয়ালটন ডে’ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। স্বাধীনতার অগ্নিঝরা মাস মার্চেই ওয়ালটনের জন্ম। প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, স্টেকহোল্ডার, ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীসহ ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ওয়ালটন ডে উদযাপনে সবার বাধভাঙ্গা আনন্দের এই ধারা অব্যাহত থাকুক।

করপোরেট অফিসে ওয়ালটন ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. তানভীর রহমান, আমিন খান, ফিরোজ আলম, এস. এম. জাহিদ হাসান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম, দিদারুল আলম খান, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

হেডকোয়ার্টারে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, তাপস কুমার মজুমদার, নিজাম উদ্দীন মজুমদার, ইয়াসির আল ইমরান, শাহীনূর সুলতানা, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে ওয়ালটন কমপ্লেক্স মিরপুরের র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল-বিন আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ মিরপুর সার্ভিস সেন্টার, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স এবং ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তাবৃন্দ।

ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

ওয়ালটন এসি কিনে জাপানি গাড়ি পেলেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় এবার এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদরের ব্যবসায়ী মাসুদ করিম। এর আগে ক্যাম্পেইনের এই সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছিলেন যশোরের শার্শা উপজেলার আনসার বাহিনীর সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ওয়ালটন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পেইনের সিজন-১৮’তে ক্রেতাদের জন্য ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাচ্ছেন ১৫ জুলাই, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।

সোমবার (৫ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতা মাসুদ করিমের কাছে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এমদাদুল হক সরকার, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ এর স্বত্তাধিকারী শংকর চক্রবর্তী। গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে ২০ জন গ্রাহককে পুরস্কৃত করে ইলেক্ট্রো হাট শোরুম কর্তৃপক্ষ।

মাসুদ করিম দুই মেয়েসহ ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার খানপুর মেইন রোডে। খানপুরে ঈসা খাঁ রোডে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আল হেরা জেনারেল হাসপাতাল। গত ৩১ মে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘ইলেক্ট্রো হাট’ থেকে ৬৯ হাজার ৪০০ টাকায় ১.৫ টনের একটি ইনভার্টার এসি কেনেন তিনি। কেনার পর তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ক্রয়কৃত এসিটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ফ্রি গাড়ি পাওয়ার মেসেজ পান তিনি। ওয়ালটন থেকে মাত্র একটি এসি কিনে জাপানি ব্র্যান্ডের গাড়ি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মাসুদ।

গাড়ি ফ্রি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাসুদ করিম বলেন, ওয়ালটনের একটি এসি কেনার সঙ্গে যে এতোবড় সুখবর আসবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। গাড়ি পাওয়ার এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও বেড়ে গেলো। এসি বিক্রি করে গাড়ি ফ্রি দেওয়ার মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বিশাল সক্ষমতা প্রকাশ পেলো। আমার পুরো পরিবার ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জাতীয় দলের ক্রিকেট অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ওয়ালটন যে গ্রাহকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ। দেশের নাম্বার ওয়ান ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন করছে। ওয়ালটন দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখার মাধ্যমে জয় করে নিয়েছে মানুষের আস্থা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার বলেন, ক্রেতাদের হাতে ভালোমানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার প্রতি ওয়ালটন বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকদের গাড়িসহ নানান উপহার দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ওয়ালটন পণ্য কিনে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ফ্রি পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। ওয়ালটন ফ্রিজ ও এসি কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়েছেন দুই ক্রেতা। ঈদুল আজহার আগে আরো গাড়ি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে গাড়ি ফ্রিসহ লাখ লাখ উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

;

‘সব লেনদেন ক্যাশলেস হলে প্রতি তিন বছরে একটি পদ্মা সেতু’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধুমাত্র ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতি বছর অন্তত দশ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শিরোনামের এক আলোচনা অন্ষ্ঠুানে এমন মন্তব্য করেন তানভীর এ মিশুক।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে এই আনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য তানভীর এ মিশুককে দেশের আর্থিক খাতে দেশের বিবর্তনের নানান ধাপ এবং ভবিষ্যত অগ্রযাত্রার দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন।

আলোচনায় তানভীর এ মিশুক বলেন, প্রতি বছর কেবল টাকা ছাপতেই সরকারের ৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। তাছাড়া এই টাকার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, লেনদেনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা এবং তার ফলে যে সম্ভাবনার অপচয় হয় সেটির মূল্য অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ২০১৯ সালেই উল্লেখ করা হয়েছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বা স্মার্ট লেনদেনের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমাদের এ দিকে যেতেই হবে,’ বলেন তানভীর এ মিশুক।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে দেশের বিশেষ কোনো এলাকা বা অঞ্চলকে দেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন, তাহলে আমরা নগদ থেকে ওই অঞ্চলকে ক্যাশলেস লেনদেনের মডেল হিসেবে তৈরি করে দেব।’ এটি করা গেলে অভাবনীয় একটি কাজ হবে বলেও তিনি মনে করেন।

শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন গ্রহণ করার কারণে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি তিন গুণ হয়েছে উল্লেখ করে নগদের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত দেশ হওয়ার যে ভিশন এখন আমাদের সামনে আছে, সে অনুসারে এগোতে পারলে অল্প দিনেই আমাদের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।’

মোবাইল লেনদেনের একচেটিয়াত্ত্ব ভাঙার উদ্দেশে ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নগদের যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে এই চার বছরে একের পর এক সরকারি ভাতা বিতরণ পদ্ধতিকে ডিজিটালাইজড করেছে নগদ। ফলে সরকারের খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যার ভাতা তার হাতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রদান করে সাড়া ফেলেছে নগদ। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপকরণ ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ আরো অন্তত দশটি মন্ত্রণালয়ের ভাতা ও সরকারি সহায়তা নগদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

সরকারের ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে খুবই সময়োপযোগী বলেও মন্তব্য করেন তানভীর এ মিশুক। তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা গেলে ব্যাংকের সকল সুবিধা চলে আসবে হাতের মুঠোয়। কৃষকদের সার কেনার জন্য দশ হাজার টাকার জন্য তখন আর দাদন নিতে হবে না। হাতের মুঠে থাকা মোবাইল থেকেই ঋণ নিতে পারবে আবার ফসল বিক্রি করে ওই মোবাইলের মাধ্যমেই ঋণ পরিশোধ করবে। একইভাবে আমদানি-রপ্তানির লেনদেনের মতো বড় বড় কাজও তখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হবে টোয়েন্টিফোর সেভেন।

একই অুনষ্ঠানের অন্য একটি সেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে কথা বলেন। অন্ষ্ঠুানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কি-এক্সপার্ট ড. মোয়াজ্জেম গোলাম হোসেন।

এবার জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের জন্য আটটি বিষয়ের ওপর আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে ওই নির্দিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

;

১১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

;

গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ার ১৫০০ এর অধিক প্রান্তিক কৃষকের হাতে ‘এবি স্মার্ট কৃষি ঋণ’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবি ব্যাংক লিমিটেড গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৫০০-এর অধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনে এ ঋণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এবি ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তারিক আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নিটুল রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ এবং জনাব আয়নাল হোসেন শেখ, সাধারণ সম্পাদক, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

;